আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন ধারার সরকার দেব: খালেদা

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেছেন, বিএনপি আগামীতে ক্ষমতায় গেলে ‘নতুন ধারার’ সরকার গঠন করবে।
এক ইফতার অনুষ্ঠানে এই প্রতিশ্রুতি দেয়ার সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের দাবি আদায়ে ঈদের পর জোরাল কর্মসূচির জন্যও কর্মীদের তৈরি হতে বলেছেন তিনি।
বিরোধীদলীয় নেতা বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে স্থানীয় সরকারের জনপ্রতিনিধিদের জন্য ইফতার অনুষ্ঠান আয়োজন করেন।
এতে সাম্প্রতিক সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিজয়ী বিএনপি নেতারাসহ বিরোধী দল সমর্থক জনপ্রতিনিধিরা যোগ দেন।
খালেদা জিয়া বলেন, “আগামীতে আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন ধারার একটি সরকার গঠন করব।

অন্যায় ও দুর্নীতির সঙ্গে আমরা কোনো আপস করব না।
“আমাদের দেশ ছোট, কিন্তু জনসংখ্যা ব্যাপক। তাই আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে পারলে বাংলাদেশকে একটি মর্যাদাশীল দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হব,” জনপ্রতিনিধিদের উদ্দেশে বলেন তিনি।
নির্দলীয় সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে আন্দোলনে জনপ্রতিনিধিদের সমর্থন চেয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বলেন, “আমরা গণতন্ত্র ও ভোট রক্ষার এই আন্দোলনে আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা চাই। আমি বিশ্বাস করি, আগামীতে আন্দোলনের মাধ্যমে নিদর্লীয় সরকারের দাবি জনগন আদায় করবে।


আওয়ামী লীগ সরকার সংবিধান সংশোধন করায় তাদের অধীনে আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে। বিএনপি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারে দাবি জানিয়ে এলেও তাতে সরকারের সায় মিলছে না।     
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পাঁচ সিটি কর্পোরেশনে বিরোধী দল সমর্থিত প্রার্থীদের বিজয় দেখিয়ে ক্ষমতাসীন দলের নেতারা বলছেন, নির্বাচিত সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনও নিরপেক্ষভাবে হওয়া সম্ভব।
খালেদা জিয়া বলেন, “বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু হয়নি। গাজীপুরেও  তারা ব্যাপক অনিয়মের চেষ্টা করেছে।

কিন্তু তাদের কোনো ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত সফল হয়নি। তাই তাদের (সরকার) অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।
“পাঁচ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জোট প্রার্থীদের বিজয়ের মাধ্যমে নির্দলীয় সরকারের দাবি আরো জোরাল হয়েছে। ”
ইফতারের আগে বিএনপি চেয়ারপারসন ঘুরে ঘুরে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়রদের মধ্যে গাজীপুরের এম এ মান্নান, রাজশাহীর মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, খুলনার মনিরুজ্জামান মনি, বরিশালের আহসান হাবিব কামাল, সিলেটের আরিফুল হক চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।


উপজেলা পরিষদ অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আতাউর রহমান আতা, পৌরসভা সমিতির মহাসচিব অধ্যক্ষ শামীম আল রাজী, ইউনিয়ন পরিষদ ফোরামের সভাপতি সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলমও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিরোধীদলীয় নেতা জনপ্রতিনিধিদের সততা  ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করার পরামর্শ দিয়ে বলেন, “জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনকল্যাণে কাজ করুন। আমরা ক্ষমতায় গেলে আপনাদের ন্যায্য দাবির প্রতি সন্মান জানাব। ”
বর্তমান সরকারকে ‘দুর্নীতিবাজ-খুনি সরকার’ আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, “সংসদে যে দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলেন, সে দেশে কখনোই সুশাসন প্রতিষ্ঠা হতে পারে না। দেশের মানুষ এই সরকারের পরিবর্তন চায়।


“দেশ ও জনগণ দুঃশাসন ও জুলুমের মধ্যে দিনযাপন করছে। রমজানের ইফতারে আসুন আমরা মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে দোয়া করি, এই জুলুমবাজ ও দুঃশাসনের কবল থেকে দেশবাসী যেন মুক্ত হয়। ’’
অনুষ্ঠানে ইফতারের আগে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
অনুষ্ঠানে নবনির্বাচিত মেয়রদের সঙ্গে এক মঞ্চে বসে ইফতার করেন খালেদা জিয়া। তাদের সঙ্গে ছিলেন ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকাও।


বিএনপি নেতাদের মধ্যে অনুষ্ঠানে ছিলেন আর এ গনি, খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মওদুদ আহমদ, মাহবুবুর রহমান, এম কে আনোয়ার, জমিরউদ্দিন সরকার, আ স ম হান্নান শাহ, সারোয়ারি রহমান, রফিকুল ইসলাম মিয়া, মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, আবদুল মঈন খান, রুহুল কবীর রিজভী প্রমুখ।
উপজেলা চেয়ারম্যানের মধ্যে ছিলেন বগুড়ার শিবগঞ্জের মীর শাহে আলম, বগুড়া সদরের আলী আজগর হেনা, সোনাতলার এ কে এম আহসানুল তৈয়ব জাকির, নেত্রকোনোর কলমাকান্দার গোলাম রাব্বানী, চট্টগ্রামের রাউজানের কাজী আবদুল্লাহ আল হাসান।
নেত্রকোনার মদনের পৌরমেয়র দেওয়ান মোদ্দাসের হোসেন, সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বেলাল হোসেন, নোয়াখালীর চাটখিলের মোস্তফা কামাল, রাজশাহীল তানোরের ফিরোজ সরকারও অনুষ্ঠানে ছিলেন।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.