আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বৃষ্টি পড়ছে: Bristi is reading (বৃষ্টি দিনের কৌতুক)

...and when you gaze for long into an abyss, the abyss gazes also into you. - Nietzsche ১ টা কিঞ্চিত ১৬+ হইতে পারে। আজ সারাদিন ঘুমিয়ে কাটালাম। ইফতারের আগে একঘেয়েমি কাটানোর জন্য কিছু পুরনো কৌতুক ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ভাবলাম সামুতে শেয়ার করি। ১। নদীর দিকে যাওয়ার পথে বকের সঙ্গে দেখা হয়ে গেল কচ্ছপের।

জানতে চাইল বক, কোথায় যাচ্ছ? কচ্ছপ বলল, নদীতে। কী গরমটাই না পড়েছে দেখেছ? ভাবছি নদীর পানিতে শরীরটা জুড়িয়ে আসি। বক বলল, এখন তো গ্রীষ্মকাল। এক ফোঁটা পানি নেই নদীতে। এখন গিয়ে কী করবে? কচ্ছপ হাসতে হাসতে জবাব দিল, আমি যেতে যেতেই বৃষ্টির দিন চলে আসবে।

২। গ্রামের ছোট্ট এক ক্লাব ঘরে বসে তাস পেটাচ্ছে কয়েকজন। একজন উঠে বলল: —এক মিনিট! ছোট কাজ সেরে আসি। —সে ফিরে এলে দেখা গেল, তার সারা পোশাকে পানির ছিটা। সবাই জিজ্ঞেস করল: —বাইরে বৃষ্টি? সে বলল: —না, প্রচণ্ড বাতাস! ৩।

এক বৃষ্টির দিনে মালিক তার কাজের লোককে বলছে- মালিক : রহিম, বাগানে পানি দিতে যা। কাজের লোক : হুজুর আজকে তো বৃষ্টি হচ্ছে। মালিক : বৃষ্টি হলে ছাতা নিয়ে যা! ৪। একদিন বৃষ্টি হচ্ছিলো। ঝিরিঝির বৃষ্টিতে প্রেমিক-প্রেমিকা ঘুড়তে বেরিয়েছে।

ট্যাক্সি ক্যাব ভাড়া নিয়ে ঘুড়ছে লাভ বার্ডস। ট্যাক্সি নিজ গতিতে চলছে। কিন্তু হঠৎ ট্যাক্সি আস্তে চলতে লাগলো ! প্রেমিক ট্যাক্সি ড্রাইভারের কাছে জানতে চাইলো প্রমিক : হঠৎ আস্তে চালানোর কারন কী? ড্রাইভার : আপুমণি যে বললেন আস্তে...আস্তে...আস্তে... ৫। বর্ষা কাল, অহরহই বৃষ্টি হয়। তখন অনেক রাত, বাইরে ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে।

অনেকক্ষন বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তা ঘাটে প্রচুর পানি জমে আছে। এর ভিতর আমাদের পলাশ ভাই চিৎকার করে কেদে কেদে বলছে, কে আছো ভাই? একটু ধাক্কা দাও। তনু তার স্বামীকে স্বপনকে ডেকে তুলে বললো- "আমার মনে হয় তোমার যাওয়া উচিত। " স্বপন- কিন্তু বাইরে অনেক বৃষ্টি। রাস্তায় অনেক কাদা।

তনু- তোমার গত বছরের কাহিনী মনে নাই? স্বপন- আছে মনে আছে। কিন্তু এই ব্যাটার গলা শুনে ত মনে হচ্ছে পুরা মাতাল। তনু- তোমার গলা শুনে সেদিন কি অন্যরা মাতাল ভাবে নি? গত বছর তনুর বাচ্চা হবে। রাতের বেলা হাসপাতালে নিয়ে যাবে। সেদিনও এমন বৃষ্টি হচ্ছে।

রাস্তাঘাট ভেসে যাচ্ছিল। তাদের গাড়িটা আটকা পড়ে গিয়েছিল কাদায়। অনেকক্ষন ঠেলে ঢুলেও স্বপন গাড়িটা গর্ত থেকে বের করতে পারছিল না। এদিকে বউয়ের বাচ্চা প্রসবের সময় হয়ে যাচ্ছে। বার বার স্বপন ধাক্কা মারছিল।

কিন্তু গাড়িটা বের করে আনতে পারছিল না। একসময় হতাশায় সে চিৎকার করে কাদা শুরু করেছিল । ধাক্কা দাও। কেউ একজন এসে ধাক্কা দাও। আশেপাশের বাসা থেকে দুইজন সহৃদয় মানুষ বের হয়ে এসেছিল।

নিজেরা ভিজে, কাদায় মাখামাখি হয়ে গাড়িটা বের করে দিয়েছিল ধাক্কা মেরে। আর সেদিন রাতেই তাদের ফুটফুটে একটা মেয়ে হয়েছিল। আজকে, বছরখানেক পর, আরেক বৃষ্টির দিনে এক লোক চিৎকার করে বলছে, ধাক্কা দাও। আমাকে ধাক্কা দাও। স্বপন বের হয়ে আসল।

রাস্তার পাশের লাইটগুলাও নিভে আছে কেন জানি। বেশ অন্ধকার। কিছুই দেখা যাচ্ছে না। শুধু চিৎকার শোনা যাচ্ছে, ধাক্কা দাও। স্বপন বলল, ভাই আপনি কই? - এদিকে আসেন।

স্বপন সামনে এগিয়ে যায়। - বাগানের ভিতর আসেন। স্বপন বাগানে ঢুকে পড়ে। ভাই, আপনাকে দেখছি না তো। - ভাই, টবগুলার পাশে আসেন।

স্বপন টবের পাশে এসে দাঁড়ায়। - ভাই, আপনার মত মানুষ হয় না। আসেন, একটু ধাক্কা দেন তো। অনেকক্ষন দোলনায় বসে আছি। এত ডাকছি।

কেউ ধাক্কা দিতে আসে না। * সবগুলো কৌতুকই ইন্টারনেট থেকে সংগৃহীত।  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.