আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোরআনের সমালোচনা- যেভাবে আপনার উপকার করতে পারে..

তার্কিক দুই প্রকার: সু-তার্কিক আর কু-তার্কিক... আজকাল ব্লগের নাস্তিকদের ইসলাম আর কোরআন নিয়ে সমালোচনায়-একদিক দিয়ে কিছুটা উপকারই হচ্ছে বলে আমি মনে করি। কারন‍: এইতো আজকের একটি পোষ্ট দেখলাম- যার লেখক সর্বশেষ প্রশ্ন রেখেছেন- নিচের অংশ সেই পোষ্ট থেকেই কপি পোষ্ট- মূমীনেরা কি জবাব দেবেন একজন অমুসলিম কেন শুয়োর, বানর , গাধা বা কুকুর ? আমার হাতের কাছে কিন্তু পবিত্র গ্রন্থ। সুরা ৭:১৭৬ এ কুকুরের সাথে তুলনা করা আছে। সুরাহ ৭৪:৫০ এ গাধা বলা আছে, সুরাহ ৫:৬০ এ বলা আছে বানর এবং শুয়োর। কেন? কেন? কেন? ------------------------------------------------------------------ আমার মনে প্রশ্ন জাগল- আচ্ছা অনুবাদটি একটু দেখিনা কেন- কি লেখা সেখানে? কম্পিউটারেই ছিল- জিকর সফটয়ারটি-পেয়ে গেলাম অনুবাদ- পোষ্টের লেখকের বর্ননা অনুযায়ী- প্রসঙ্গ:-০১- (পাঠকের জন্য সঠিক অনুবাদ:7:176) ----------------------- অনুবাদ নিচে ---------------------------- -7:176- অবশ্য আমি ইচ্ছা করলে তার মর্যাদা বাড়িয়ে দিতাম সে সকল নিদর্শনসমূহের দৌলতে।

কিন্তু সে যে অধঃপতিত এবং নিজের রিপুর অনুগামী হয়ে রইল। সুতরাং তার অবস্থা হল কুকুরের মত; যদি তাকে তাড়া কর তবুও হাঁপাবে আর যদি ছেড়ে দাও তবুও হাঁপাবে। এ হল সেসব লোকের উদাহরণ; যারা মিথ্যা প্রতিপন্ন করেছে আমার নিদর্শনসমূহকে। অতএব, আপনি বিবৃত করুন এসব কাহিনী, যাতে তারা চিন্তা করে। ------------------------------- অনুবাদ শেষ ---------------------- (আলোচ্য আয়াতে অতীথে সংঘঠিত কোন ঘটনার বর্ননা অনুযায়ী এক প্রকার লোকের বর্ননা পেশ করার পর ছিল উপরের অনুবাদকৃত প্রসঙ্গটি) পোষ্ট লেখকের ০২. নং প্রসঙ্গটি : যার আগে এবং পরের লাইটির অনুবাদও উঠিয়ে দেয়া হয়েছে: ---------------------------- অনুবাদ নিচে ------------------------- তাদের কি হল যে, তারা উপদেশ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়? (74:50 যেন তারা ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত গর্দভ) হট্টগোলের কারণে পলায়নপর।

বরং তাদের প্রত্যেকেই চায় তাদের প্রত্যেককে একটি উম্মুক্ত গ্রন্থ দেয়া হোক। ---------------------------- অনুবাদ শেষ ---------------------------- এখানেও এক প্রকার লোকের বর্ননা দেয়া আছে- এবং সেই প্রসঙ্গেই আলোচনাটি এসেছে। পোষ্ট লেখকের ০৩. নং প্রসঙ্গটি : -------------------------- আয়াতের অনুবাদ নিচে--------------------- বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি, তাদের মধ্যে কার মন্দ প্রতিফল রয়েছে আল্লাহর কাছে? যাদের প্রতি আল্লাহ অভিসম্পাত করেছেন, যাদের প্রতি তিনি ক্রোধাম্বিত হয়েছেন, যাদের কতককে বানর ও শুকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন এবং যারা শয়তানের আরাধনা করেছে, তারাই মর্যাদার দিক দিয়ে নিকৃষ্টতর এবং সত্যপথ থেকেও অনেক দূরে। --------------------------------- অনুবাদ শেষ------------------------ আলোচ্য প্রসঙ্গটি: অতীতে সংঘটিত ঘটনার বর্ননায় শুকর আর বানর বানানোর কথা বলা হয়েছে- যা হযরত জাকারিয়া (আঃ) এর যুগে সংগঠিত হয়েছিল। এখন পোষ্ট লেখক: মনে করলেন- তাদেরকে শুকর বানর বলা হয়েছে।

তাহলে আমার প্রশ্ন হলো : আপনি চুরি করলেন-সেটা আমি দেখলাম। কিন্তু আমি সেটা কারো কাছে কেন বলতে পারবনা যে- "বীরেন্দ্র চুরি করেছে আমি সেটা দেখেছি। অথবা বীরেন্দ্র যা করেছে সেটা চোরের মত আচরন। দ্বিতীয় প্রসঙ্গে-- কেন বলা যাবেনা যে "বীরেন্দ্র যে কাজটি করছে সেটা গাধার মত বা বোকার মত আচরন"। ........ বিচারের ভার পাঠকের হাতে।

---------------------------------------------------------------- • এবার আসা যাক এই পোষ্টের মুল আলোচনায়: ওদের সমালোচনার কারনেই আজ আমি সঠিক অনুবাদটি পড়লাম। সমালোচনা যতার্থই হোক আর ভুলই হোক- আমাকে আমার ঈমানের কারনে কোরআন দেখতে হলো। এতে আমার উপকারই হয়েছে বলে আমি মনে করি। • ইমাম আবু হানিফার কাছে তাঁর এক সাগরেদ প্রশ্ন করল: আমার অন্তরে সব সময় শয়তান অসুওয়াসা (খারাপ চিন্তা) সৃষ্টি করে যার জন্য আমি মানষিক ভাবে কষ্ট পাই। -- তিনি জবাব দিলেন-”যখন অন্তরে অসওয়াসা আসে তখন তুমি মনে মনে এই চিন্তা করে খুশী হবে যে- তোমার অন্তরে শয়তান এসেছে কারন তুমি ঈমানদার- আর শুণ্য ঘরে কখনও চোর আসেনা।

সাথে সাথেই তোমার কাছ থেকে শয়তান চলে যাবে। কারন মুমিনের খুশী শয়তান দেখতে পারেনা। যার ফলে খারাপ চিন্তাও থাকবেনা। এই কথাটা জানার পর থেকে আমি নিজেও পরীক্ষা করে দেখেছি এটা একটা অব্যর্থ চিকিৎসা। এভাবে ব্লগের মুসলিমদের এই কথা চিন্তা করে খুশী হওয়া প্রয়োজন আছে- ইসলামের মধ্যে ভাল একটা কিছু আছে- আর আছে বলেই – এর আবির্ভাবের পর হতেই অদ্যাবধি এর বিরোদ্ধে শয়তানের এত ক্যাচাল।

• আর যারা মুসলিম হবার পরেও দুদুল্যমান চিন্তাধারার মানুষ তারা যদি এই ব্লগের নাস্তিকতার সামান্য আঘাতে ইসলাম বা ঈমানহারা হয়ে যায়-? বা সামান্য আঘাতে নিজে যদি কোরআন, হাদিস, আর ইসলামকে নিয়ে নিজেকে একটু ঝালিয়ে নিতে না পারে তাহলে তার পরিনতির জন্য তো আর অন্য কেউ দায়ী নয়। শেষকথা : নাস্তিকদের কথায়, পবিত্র কোরআনের ভুল ব্যাক্ষায় ‍বিচলিত হবার কিছু নাই। আপনি নিজেও নিজের কম্পিউটারে পবিত্র কোরআনের অনুবাদসহ সম্পুর্ন সফটওয়ারটি সেটআপ করে রাখতে পারেন। যে কোন আয়াত সাথে সাথেই অনুবাদ দেখে নিতে পারেন। কিভাবে সেটআপ দিবেন বিস্তারিত আছে এই পোষ্টে।

Zekr : শক্তিশালী কুরআন সফটওয়্যার ও তার বাংলা এক্সটেনশন : ইন্সটলেশন ও ব্যবহারবিধি যে পোষ্ট প্রসঙ্গে এই লেখাটি : এইখানে দেখুন ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।