আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

আমার বিড়ি খাওয়া

বিনা অপরাধে যারা শাস্তি পায়, তাদের কষ্ট শেয়ার করা যায় না। ধুমপান বিষপান। খাইলেও মরবেন, না খাইলেও মরবেন। আজ পর্যন্ত করো মুখে শুনি নাই বিড়ি খাওয়া ভালো। সবাই শুধু ভালো উপদেশ দেয়।

কিন্তু ভালো উপদেশ শুনতে ইচ্ছা করে না। এবার বলি আমি কিভাবে বিড়ি টানা শিক্ষি। আসলে চেইন স্মোকার আমি এক দিনে হই নাই। আর এর জন্য আমার বন্ধুরাদেরও দায়ী করা যায় না। আমার স্মোকার হওয়ার পিছে সবচেয়ে বেশী দায়ী সমাজ।

ক্লাস ৯-১০ এ পড়ার সময় আমি কোন খেলার মাঠ পাইনি। কৌশর মনে কি কষ্ট ছিলো তা তখনই বুঝতাম। বিকালে রের হতাম বন্ধুদের সাথে দেখা করতে। বন্ধুদের সাথে দেখা করার পর আমরা রাস্তায় হাঁটতাম। একসময় হাঁটতে আর ভালো লাগত না।

সিন্ধান্ত নিলাম কোন চায়ের দোকানে আড্ডা মারব। তখন থেকে আমার চায়ের দোকানে আমার আড্ডা মারা শুরু। প্রথম প্রথম শুধু এক কাপ চাই খেতাম। প্রায় ঘন্টা দেড়েক আড্ডা মারতাম। পরে একদিন ঠিক করলাম একটা সিগারেট কিনি সবাই ভাগ করে খাই।

প্রথমে সিগারেট খেতে খুবই খারাপই লাগছিলো এবং ভয়ও পেয়েছিলাম। যদি কেউ দেখে ফলে, লুকিয়ে লকিয়ে সিগারেট খেতাম। আস্তে আস্তে খেয়াল করলাম একটা সিগারেট এ সবার হয় না। তারপর সকলে একটা করে সিগারেট খাওয়া শুরু করলাম। এভাবে শুরু করলাম যা এখনও শেষ করতে পারি না।

এখন আর বিড়ি খতে গেলে মানুষ দেখলে লুকাইনা। এখন আমার প্রশ্ন আমার বিড়ি খাওয়া শিখার পিছে দায়ী কে? যে সময়টা আমার খেলার কথা ছিলো সে সময়টা কেন আমাকে চায়ের দোকানে আড্ডা মারতে হত?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।