আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অস্বাভাবিক হারে বেড়েই চলেছে তালাক দেয়ার পরিমান

কামনায় পৃথিবীর সকল সুন্দর দুচোখ মেলে দেখতে চাই সকলের অন্তর। একটি সংবাদ পেলাম এইমাত্র, "রাজধানীতে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদকারীদের সংখ্যা। নারী নির্যাতন, মাদকাসক্তি, আর্থিক সংকট, পরকীয়া, সামাজিক অস্থিরতা, যৌতুকসহ বিভিন্ন কারণে নগরজীবনে ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। ঢাকা সিটি করপোরেশন (ডিসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুরুষদের তুলনায় স্ত্রীরাই বেশি তালাকের নোটিশ দিচ্ছে। এদের মধ্যে গৃহিণীর সংখ্যাই (২৩ শতাংশ) বেশি।

অন্যদিকে চাকরীজীবীদের তুলনায় ব্যবসায়ী পুরুষদের (২২ শতাংশ) মধ্যে ডিভোর্সিদের সংখ্যা বেশি। আবার সরকারি চাকরিজীবীদের (৫ শতাংশ) তুলনায় বেসরকারি চাকরিজীবীদের (১৯ শতাংশ) মধ্যে ডিভোর্স দেয়ার প্রবণতা বেশি। সবচেয়ে কম বিয়ে বিচ্ছেদ হচ্ছে শিক্ষক ও চিকিৎসকদের মধ্যে। শতকরা হিসেবে এ সংখ্যা মাত্র ৪ শতাংশ। অন্যদিকে ডিভোর্সকারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশেরই সন্তান রয়েছে।

ডিসিসি সূত্রে জানা যায়, ২০০৩ সালে ডিসিসি’র আইন বিভাগে বিয়ে বিচ্ছেদের জন্য সর্বমোট ৩২০২টি আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে স্ত্রী কর্তৃক দেয়া নোটিশের সংখ্যা ছিল ২১১০টি। ২০০৪ সালে ডিভোর্সের জন্য ৩৩৩৮টি আবেদন জমা পড়ে, যার ২৩৩৬টি দেয় স্ত্রীরা। ২০০৫ সালে ৫১১১টি তালাকের আবেদনের মধ্যে স্ত্রীর দেয়া নোটিশের সংখ্যা ছিল ৪১০৯টি। ২০০৬ সালে ২৬২৭টি আবেদনের মধ্যে ১৭৬৪টি ছিল স্ত্রীদের।

২০০৮ সালে ডিসিসি’র আইন বিভাগে ২২০৮টি তালাকের আবেদন জমা পড়ে। ২০০৯ সালে এ সংখ্যা ছিল ২৬৪৫টি এবং ২০১০ সালে ২৮৫৪টি। ২০০৭ সালের কোনো পরিসংখ্যান ডিসিসি’র সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাওয়া যায়নি। ২০০৬ সালের পর ডিসিসি’র সালিস পরিষদের কার্যক্রম নগর ভবন থেকে ডিসিসি’র ১০টি অঞ্চলে ভাগ করে দেয়া হয়। কিন্তু অঞ্চলগুলো থেকে নিয়মিত নগর ভবনের সংশ্লিষ্ট শাখায় তথ্য সরবরাহ না করার কারণে রাজধানীতে ডিভোর্সের প্রকৃত পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান ঢাকা সিটি করপোরেশনের আইন কর্মকর্তা মো. মফিজুল ইসলাম।

তবে রাজধানীতে প্রতিবছরই ডিভোর্সকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে জানান তিনি। ডিভোর্সের সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ প্রসঙ্গে তিনি জানান, স্বামীদের অন্য নারীতে আসক্তি, মাদকাসক্তি ও যৌতুকের কারণে বেশি বিয়ে বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটছে। " একটি বাংলা দৈনিক অবলম্বনে  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।