আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুইটি লোকের একই রকম আঙ্গুলের ছাপ হয় না কেন ?

আমার সোনার বাংলা কালির প্যাডের উপর তোমার হাতের বুড়ো আঙ্গুলকে প্রথমে চেপে তারপর সাদা কাগজের উপর চেপে ধরলে দেখবে এক অদ্ভুত ছাপ ফুটে উঠেছে। অন্যান্য আঙ্গুলের ক্ষেত্রেও ঐ একই রকম ছাপ ফুটে উঠবে। তোমার দশ আঙ্গুলের ছাপ একদমই অদ্বিতীয় (Absolutely) জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ঐ ছাপগুলো বলতে গেলে অবিকৃতই থাকে। প্রকৃতি আমাদের প্রতিটি আঙ্গুলে আলাদা আলাদা শিরাল রৈখিকচিত্র (Ridge Pattern) সৃষ্টি করেছে। কোন দুটি লোকের আঙ্গুলের ছাপ একই রকম থাকে না।

এই মজার সত্য ঘটনাটি চীনারা জেনেছিল আজ থেকে প্রায় ২০০০ বছর আগে। আর তাই চৈনিক সম্রাটেরা গুরুত্বপূর্ণ দলিল বা প্রমাণপত্র সই করতে গিয়ে তাদের হাতের বুড়ো আঙ্গুলের ছাপ লাগিয়ে তার উপর সই করত। ১৮৯২ সালে স্যার ফ্লান্সিস গ্যালটন (Sir Francis Galton) নামক এক ইংরেজী বৈজ্ঞানিক সর্বপ্রথম এই ব্যাপারটির সত্যতা প্রমাণ করেন। উক্ত আবিষ্কারের ভিত্তিতে স্যার এডওয়ার্ড হেনরী (Sir Edward Henry) অপরাধী বা দূষ্কৃতিকারীদের (Criminal) সনাক্ত করবার এক উপায় উদ্ভাবন করেন। সেই থেকে পৃথিবীব্যাপী পুলিশ বাহিনীর লোকেরা দূষ্কৃতিকারীদের ধরতে গিয়ে আঙ্গুলের ছাপকে কাজে লাগিয়ে আসছে।

স্যার এডওয়ার্ড হেনী আঙ্গুলের ছাপকে আকৃতি অনুযায়ী তার প্রকারভেদ করেন। প্রকারভেদগুলি হল ফাসের রেখা (Loops) কেন্দ্রীয় অংশে ফাসের রেখা (Central pocket Loops) দুই ফাসওয়ালা রেখা (Double Loops) তোরণাকার রেখা (Arches) ঘণায়মান রেখা (Arches) এবং অনিয়মিত আকস্মিক রেখা (Accidentals) । এক একটি আকৃতির (Pattern) দুই বিন্দুর মধ্যবর্তী শিরাল রেখার সংখ্যা গুনে দশ আঙ্গুলের প্রত্যেকটিকে এক একটা নিদৃষ্ট গ্রুপে ভাগ করা যায়। তারপর সব কয়টি গ্রুপকে একত্র করে একটি ইউনিট গঠন করলেই তোমার কাছে আঙ্গুলের ছাপকে শ্রেণীবিভক্ত করার পূর্ণ একটি প্রণালী তৈরী হয়ে গেল। পুলিশ বিভাগ তাদের অফিস ফাইলে লক্ষ লক্ষ আঙ্গুলের ছাপ সংরক্ষন করে রাখে।

এর সাহায্যে খুব তাড়াতাড়ি অপরাধীদেরকে চেনা বা সনাক্ত করা যায়। দুই ব্যক্তির এমনকি একটি মাত্র আঙ্গুলের ছাপের শিরাল রেখা একই রকম হওয়ার সম্ভাবনা প্রতি ২৪ মিলিয়নে (৩২ কোটি ৪০ লক্ষ) মাত্র এক। ভাল লাগলে দয়া উত্তর দিবেন। গুড ভাই ! ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১০ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।