আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এরাই একদিন মেধাবী হবেন

এরাই একদিন মেধাবী হবেন ৫ বিষয়ে ফেল করে দ্বিতীয় বর্ষে যাওয়ার আন্দোলন করছেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। তারা চাইছেন ৫ এক বিষয়ে পাশ করলেও যাতে দ্বিতীয় বর্ষে যাওয়া যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই অদ্ভুত নিয়ম চালু ছিল আগে থেকেই আর এ কারণে গত কয়েক বছরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার মান নেমে গেছে। বছরের পর বছর ক্লাসে অনুপস্থিতি অতঃপর রাজনৈতিক বা অন্য বিবেচনায় ফরম পূরণের সুযোগ এবং পরীক্ষার হলে নকল বা দেখাদেখি করে পরীক্ষায় পাস- টিউটরিয়াল বা ভাইবাতে অতিরিক্ত নম্বর আদায় এর মাধ্যমে তৈরি হচ্ছেন আমাদের ভবিষ্যত। দোষটা এদের যতটা তার চেয়ে বেশি কর্তৃপক্ষের।

গণহারে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনার্স প্রদান- কার্যকর মনিটরিং ব্যবস্থার অনুপস্থিতিতে এই অনার্স কোর্স চালু করা হয়েছে কলেজের জন্য ব্যবসা। প্রথম বছর অধিভূক্তির জন্য যে সংখ্যক শিক্ষক প্রয়োজন সেটি কোনো ভাবে দেখিয়ে তার পর শিক্ষক ছাড়াই চলে অনার্স কোর্স। ১০০ ভর্তি হলে ক্লাস করে ৩০/৪০ জন। প্রথম বছর এর পর ২য় বষে এই উপস্থিতি ১০/২০ শতাংশে নেমে আসে। ৩য় আর ৪র্থ বর্ষে কখন ক্লাস হয় আর কখন পরীক্ষা হয় তাও বোঝা যায় না।

আমি ব্যক্তিগতভাবে জানি ঢাকা শহরের অনেক নামকরা কলেজের ছাত্ররা পরীক্ষার হলে কি করেন। আসন পরিকল্পনা বাদ। যেখানে খুশী সেখানে বসে পরীক্সা দেওয়া- আরেকজনের খাতা দেখা এগুলো অধিকারের মতো। এমনিভাবে ক্লাস করে, এমনিভাবে পরীক্সা দিয়ে, ৫ বিষয়ে ফেল করে তাদের ২য় বর্ষে উন্নীত করার আন্দোলন করা হবে এবং বিশ্ববিদ্যালয় চাপের মুখে তা দিয়েও দেবেন। আর এই পন্থায় পাশ করে আমাদের শিক্ষার্থীরা একদিন নিজেদের মেধাবী বলে দাবী করবেন আর আমাদের অবশ্য সেই তালে বাতাস দিতে হবে।

প্রকৃত অর্থে যারা পরিশ্রম করে জ্ঞান অর্জন করে তাদের শ্রমটিও এখানে ব্যর্থ হয়। তারা যখন চোখের সামনে অন্যের এমস আচরণ দেখে তখন তারাও কি সুযোগটি নেওয়ার চেষ্টা করবেন না? বলতে পারেন জতীয় বিশ্ববিদ্যালয়েই এমন হয়। অন্য কোথায় কি হয় তা তারাই বলতে পারেন- তবে শুদ্ধতার সংকট সর্বত্রই বিদ্যমান। আর একারণে পত্রিকার পাতায় দেখতে পাই বিভিন্ন বিভাগের ফলাফল দূর্নীতির কথা। সাধারণভাবে সবচেয়ে গরীব ও মাঝারী মানের শিক্ষার্থীরাই জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।

কিন্তু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানটি এখনো প্রশ্নবিদ্ধ। আসলে এই প্রতিষ্ঠানে রাজনীতি ঢুকে একাডেমিক পরিবেশটিই নষ্ট করেছে। তাছাড়া কর্তা ব্যক্তিরা এখানে আসা যাওয়া করেছেন বটে কিন্তু কমিটমেন্ট ছিল এর প্রমাণ আদৌ দৃশ্যমান হয় নি। আর এভাবেই চলছে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মেধাবী তৈরির প্রক্রিয়া। ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.