আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

মানচিত্রে নতুন দেশ দক্ষিণ সুদান

এই আমি কতটা পেরেছি চিনতে এই আমাকে, আমি কি স্বার্থপর না স্বার্থের কারনে পরোপকারী !!! আত্মপ্রকাশ করল দক্ষিণ সুদান প্রজাতন্ত্র। আফ্রিকা মহাদেশের অন্তর্ভুক্ত দক্ষিণ সুদান জাতিসংঘ স্বীকৃত বিশ্বের ১৯৩ তম স্বাধীন রাষ্ট্র। দক্ষিণ সুদানের স্থানীয় সময় শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় (বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টা) স্বাধীন দেশ হিসেবে যাত্রা শুরু হয় দক্ষিণ সুদনের। দক্ষিণ সুদানের রাজধানী জুবার কেন্দ্রস্থলে স্থাপিত একটি ক্ষণগণনা ঘড়ির সময় 'শূন্য'র (রাত ১২টা) ঘরে এসে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে টেলিভিশনে নতুন দেশের পতাকা প্রদর্শন করে জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়। এরপর হাজার হাজার দক্ষিণ সুদানি নতুন দেশের পতাকা নিয়ে নেচে গেয়ে আনন্দে ফেটে পড়ে।

তারা গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে সেই আলোতে নাচতে নাচতে "দক্ষিণ সুদান ও-য়ি, স্বাধীনতা ও-য়ি, এসপিএলএম ও-য়ি" বলে স্লোগান দেয়। এ সময় তারা বাজি পোড়ায় ও বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে উল্লাস করে। তারা সদ্য স্বাধীন দেশটির প্রেসিডেন্ট সালভা কির মায়ারদিতের নামেও স্লোগান দেয়। দক্ষিণ সুদানকে স্বাধীনদেশ হিসেবে প্রথম আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয় সুদান। শুক্রবারই তারা এ ঘোষণা দেয়।

২০০৫ সালে একটি শান্তিচুক্তির মাধ্যমে প্রায় পাঁচ দশক ধরে চলা গৃহযুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে সুদান নামক রাষ্ট্রটি উত্তর ও দক্ষিণ অংশে ভাগ হয়ে যায়। তবে স্বাধীনতার প্রশ্নে অর্থাৎ চুক্তি অনুযায়ী দক্ষিণ সুদানে গণভোট নেওয়া হয়। গণভোটে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার পক্ষে ৯৯ শতাংশেরও বেশি ভোট পড়ে। ফলে চুক্তি অনুযায়ী ২০১১ সালের ৯ জুলাই দক্ষিণ সুদান প্রজাতন্ত্র নাম নিয়ে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র হলো সুদানের দক্ষিণাংশ। উত্তরাংশ এখনও সুদান নামেই আছে।

অনেক রক্তের বিনিময়েই দক্ষিণ সুদান স্বাধীনতা লাভ করল। উত্তরের সাথে দীর্ঘ গৃহযুদ্ধে নিহত হয় প্রায় ১৫ লাখ মানুষ। স্বাধীনতা দিবসের সরকারি অনুষ্ঠান শনিবার সকালে রাজধানী জুবায় অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। স্বাধীনতার ওই অনুষ্ঠানে দক্ষিণ সুদানের আইন পরিষদের স্পিকার জেমস ওয়ানি লা¹া স্থানীয় সময় সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে দক্ষিণ সুদানের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। এর পরই অনুষ্ঠানস্থলে সুদানের জাতীয় পতাকা নামিয়ে স্বাধীন দক্ষিণ সুদানের নতুন পতাকা উত্তোলন করা হবে।

ওই অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত থাকবেন সুদানের প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশির ও জাতিসংঘের মহাসচিব বান কি মুন। এ ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কলিন পাওয়েল, জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের স্থায়ী প্রতিনিধি সুসান রাইস, যুক্তরাষ্ট্র সামরিক বাহিনীর আফ্রিকা কমান্ডের প্রধান জেনারেল কার্টার হ্যাম। সদ্য স্বাধীন দক্ষিণ সুদান একটি খনিজ তেল সমৃদ্ধ এলাকা হলেও বিশ্বের সবচেয়ে অনুন্নত দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.