আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঢাকায় আছি-১ ...

... বিমান থেকেই দেখতে পাচ্ছিলাম ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি হচ্ছে। ল্যান্ডিয়ের সময় ভয় পেয়ে গেলাম, পাইলটকে বেশ কসরত করতে হয়েছে। ২৯ জুন আবহা থেকে রওনা হয়েছি রাত ১১ টায়। ১ ঘন্টাতেই রিয়াদ পৌছে যাই। রিয়াদে ৬ ঘন্টার জন্য অপেক্ষা, সকাল ৬ টায় ফ্লাইট।

খেয়ে দেয়ে, ঝিমিয়ে যখন বিমানে উঠলাম তখন মনে হচ্ছিল বাংলাদেশে বুঝি পৌছেই গেছি। রিয়াদ হয়ে খুব কম বাংলাদেশিই আসতে চায়। রিয়াদ ইমিগ্রেশন নাকি খুব কড়া, তাই বেশীরভাগই দাম্মাম বা জেদ্দা হয়ে বাংলাদেশে আসে। আমরা অবশ্য রিয়াদ হয়েই আসি, আমাদের কাছে তেমন ঝামেলার মনে হয়নি। সৌদি এয়ারলাইন্সের বিমান যখন রানওয়ের মাঝখানে তখন "যান্ত্রিক ত্রুটি'র" ঘোষণা আসলো।

১ ঘন্টা ধরে ভেতরে বসে আছি, বিরক্তি যখন চরম পর্যায়ে তখনই আকাশে উড়লাম। ভাগ্য ভালোই বলতে হবে, ঢাকা ইমিগ্রেশনে তাড়াতাড়িই ছাড়া পেলাম। কিন্তু লাগেজ কালেক্ট করতে গিয়ে অনেক্ষন অপেক্ষা করতে হলো। বৃষ্টিতে সব লাগেজ ভিজে গেছে। ... ঢাকায় নামতে না নামতেই শাকিলা বায়না ধরলো- ফুচকা খাবে।

আমাদের উত্তরার বাসার পাশেই পার্ক। ওখানে একজন দারুন চটপটি আর ফুচকা বানায়, কিন্তু এবার এখানে খেতে সাহস পেলাম না। যদি পেট খারাপ হয় ! অথচ আগে এসব চিন্তা করিনি। পরের দিন বিকালে নর্থটাওয়ারের ফুডকোর্টে গিয়ে ২ প্লেট ফুচকা সাবার করে দিলাম। বাসায় আসতে না আসতেই আমার পেটে মোচড়।

তাড়াতাড়ি মেট্রিল খেয়ে এ যাত্রা রক্ষা পেলাম। ঢাকায় এসে সবচেয়ে বড় সত্যের মুখোমুখি হলাম- আমরা দু'জন বেকার, আমাদের কোন কাজ নেই। একে ওকে ফোন করলাম, সবাই যার যার অফিস আর কাজ নিয়ে ব্যস্ত। বৃষ্টি আর হরতালে আমরা গৃহবন্দী। দু'দিন শ্বশুড়বাড়ী বেরিয়ে আসলাম- কেমন যেন ম্যাড়ম্যাড়ে, সময় কাটতে চায়না।

তাই প্রতি বিকেলবেলা মাস্কাট প্লাজা আর নর্থটাওয়ার হতে ঘুরে আসি। পার্কে গিয়ে বুড়োদের পাশে বসে থাকি। ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলা দেখি। ... মনিরকে ফোন দিলাম, সে রিক্সায় ছিল। শ্বশুড়বাড়ী হতে বাসায় ফিরছে।

সে কাউকে না জানিয়ে দেশে ফিরেছে, সবাইকে সারপ্রাইজ দিবে বলে। এতে নাকি বাসায় বিশাল কাহিনী ঘটে গেছে, দেখা হলে বলবে। মিলন লিজার জন্য নতুন করে Work ভিসা প্রসেস করছে। লিজা এবার গিয়ে কিং খালিদ ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করবে, ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে। হরতালের কারনে এম্বাসির কাজগুলো শেষ করতে দেরী হচ্ছে।

এবছর বাংলাদেশ হতে আরো নতুন ১৪ জন কিং খালিদ ইউনিভার্সিটিতে জয়েন করতে যাচ্ছে, সবাই ইংলিশ ডিপার্টমেন্টে। আমাদের জন্য এটা একটা ভালো খবর। ইশরাত ও শাহনাজের খবর এখনও পাইনি। মনে হয় বাসায় ঘুমুচ্ছে, ঘুমই নাকি ওদের সব। দিবার আম্মা অসুস্থ, হাস্পাতালে আছে।

তাই তাকে সেখানেই সময় দিতে হচ্ছে। আদিল ভাই শুক্রবারে ওনার বাসায় সবাইকে দাওয়াত করেছেন। আবহা থাকতেই এটা প্লান করা ছিল। আশা করছি ওখানে জম্পেস আড্ডা হবে। তারপর সবাই মিলে ঠিক করবো কোথাও ঘুরতে যাওয়া যায় কিনা।

কক্সবাজার বা পদ্মা রিসোর্টে যাবার চিন্তা করছি, দেখি সবাই কি বলে। ঢাকার আশেপাশে একদিনের জন্য কোথায় যাওয়া যায় বলুনতো ?... প্রকৃতির কাছাকাছি যেতে চাই। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।