আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

জাতিসংঘ- কিছু অপ্রিয় কথা, ব্যক্তিগত দৃষ্টিকোণ হতে।

"বিশ্ব আজ যুদ্ধ নামের এক মহামারির দিকে ধাবমান। এর মাঝেও মানবজাতি স্বপ্ন দেখে এক বুক আশা নিয়ে- যুদ্ধ থামবে, পৃথিবীতে নেমে আসবে শান্তি। এর জন্যে আছি আমরা। " এমন কথাই লেখা আছে বিশ্বনন্দিত, নোবেল বিজয়ী জগদ্বিখ্যাত সব শান্তিকামীনেতৃবৃন্দ তৈরির কারখানা, সর্বোপরী পৃথিবীব্যাপী লক্ষ কোটি অভুক্ত মানুষের মুখে হাসি ফোটানো একমাত্র প্রতিষ্ঠান জাতিসংঘের এক যুদ্ধবিরোধী দলিলে। আমেরিকার আগ্রাসী নীতির ঘোর বিরোধী এই জাতিসংঘ।

আবার অপরদিকে ভুক্তভোগীদেশগুলোর বিরুদ্ধে আমেরিকাকে উসকে দিতেও তার জুড়ি নেই। পৃথিবীর নির্লজ্জতম প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হয়ে বহাল তবিয়তে মজা দেখতে থাকা জাতিসংঘকে যদি একটি অক্ষমতার উদাহরণ হিসেবে উপস্থাপন করা হয় তবে এর বড়কর্তারাও বোধহয় খুব অবাক হবেন না। আমাদের দেশের জাতীয় বেহায়া যদি এরশাদ হয়ে থাকেন, তবে পৃথিবীতে আজ বেহায়াপনায় নোবেল বিজয়ী হতে পারে এই জাতিসংঘ। দিত্বীয় বিশ্বযুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে পৃথিবীকে মুক্ত রাখতে বিভিন্ন যুদ্ধপ্রিয় দেশের এক দুর্দান্ত পদক্ষেপ হিসেবে এই জাতিসংঘ যাত্রা শুরু করে। এরপর পরবর্তীকালে ভিয়েতনাম যুদ্ধ, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন স্বৈরশাসকের আগ্রাসন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ, মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমবর্ধমান অস্থিরতা, আফগানিস্তান যুদ্ধ, সাদ্দাম নিধন প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য সব ক্রান্তিকালে জাতিসংঘ তা নিরসনে কোন ভূমিকা না রেখে এবং এতে নিজেকে না জড়িয়ে যুদ্ধের প্রতি নিজঘৃণার যে অসামান্য দৃষ্টান্ত করেছে তা নিঃসন্দেহে নিজনামের প্রতি সুবিচারের সামিল।

অনেকেই হয়ত বলবেন যুদ্ধ থামানো কোন সোজা কাজ নয়; কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির প্রধান উদ্দেশ্যই তো তা! যে কাজে তার জন্ম তাকে তো তা করতেই হবে। এমন হতো অনেক যুদ্ধ থামিয়ে, পৃথিবীব্যাপি শান্তি স্থাপন করে সে দু'একটি ক্ষেত্রে ব্যর্থ তাহলে কথা ছিল। কিন্তু এই মহাবীর যে শুরু থেকেই ব্যর্থ! ধনতান্ত্রিক দেশগুলোর তাবেদারি এবং যুদ্ধবিদ্ধস্ত দেশগুলোতে শান্তিস্থাপনের নামে যুদ্ধ আরও দীর্ঘায়িত করাই হল জাতিসংঘের প্রধান সাফল্য। আমার এই লেখায় কোন পরিসংখ্যান বা জাতিসংঘের নির্লজ্জতার কোন প্রমাণ তুলে ধরা হয়নি। বিশ্বব্যাপি ব্যর্থতার যে দগদগে ঘা নিয়ে জাতিসংঘ তার কার্য পরিচালনা করছে তাতে তার প্রয়োজনও পড়ে না।

লেখাটির জন্ম অনেকদিনের জমে থাকা আক্রোশ নিয়ে। নিজের চোখদুটোই জাতিসংঘের বিভিন্ন ভন্ডামির স্বাক্ষী। মানববন্ধনের নামে টাকা তোলা এবং সমাজের উন্নতির চেয়ে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিলই জাতিসংঘ সম্পৃক্তদের প্রধান উদ্দেশ্য। কোথাও যুদ্ধ থামাতে না পেরেও, কোথাও দূর্ভিক্ষ দূর করতে না পেরেও, কোথাও শান্তি স্থাপন না করতে পেরেও জাতিসংঘ বিভিন্ন সময় ভন্ডামির যে চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে, তাতে একেই বিশ্বের সবচেয়ে বড় শত্রুদের একজন হিসেবে চিহ্নিত করা উচিত। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.