আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাচ্চাদের পোশাক

ছোটদের কাছে ঈদ মানেই নতুন পোশাক আর পকেট ভরা সেলামি। বাংলাদেশের পোশাক প্রতিষ্ঠাগুলোর পাশাপাশি শপিংমলগুলো তাই শিশুদের জন্য আলাদা পোশাকের পসরা সাজিয়ে বসে। দেশীয় পোশাকের প্রতিষ্ঠানগুলো এবারের ঈদে শিশুদের পোশাকের জন্য ঋতুটাও বিবেচনা করেছে।
বৃষ্টির মৌসুমে ঈদ হলেও গরমটাও কম নয়। তাই রংয়ের খেলা, নকশা আর জমকালো ভাবের পাশাপাশি পোশাকগুলো গরমের উপযোগী করেই তৈরি করা হয়েছে।

রয়েছে সুতি, তাঁত, মসলিন, খাদির প্রাধান্য। আজকাল বড়দের পোশাকের মতো বাচ্চাদের পোশাকেও বিভিন্ন মাধ্যমে নকশা করা হচ্ছে।
সাধারণভাবেই বাচ্চাদের পছন্দ উজ্জ্বল রং। পোশাক তৈরি প্রতিষ্ঠান ‘রঙ’-এর ডিজাইনার বিপ্লব সাহা বলেন, “আমরা এবার উৎসব নির্ভর পোশাকে রং দিয়ে কল্পনার বাহার ফুটিয়ে তুলেছি। এছাড়াও একক রংও প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

যেমন লালের উপর সাদা সুতার কাজ, সাদার উপর সাদা সুতার কাজ ইত্যাদি। হালকা ও গাঢ় রংয়ের সুতা ব্যবহার করে নকশা করা হয়েছে। সবকিছুর সঙ্গেই ‘রঙ’-এর বৈশিষ্ট্য উজ্জ্বল রংয়ের ট্রেন্ড বা ধারা বজায় রয়েছে। কেননা ছোটরা সাধারণত উজ্জ্বল যে কোনো রংয়েই আকৃষ্ট হয়। ”
তিনি আরও জানান, পোশাকে ব্যবহার করা হয়েছে বিভিন্ন ধরনের নকশা।

ব্লক, স্প্রে, টাইডাই, স্ক্রিনপ্রিন্ট এগুলো মিডিয়া হিসেবে ব্যবহার হয়েছে। এছাড়া রয়েছে এপলিক, এমব্রয়ডারি, কারচুপি, আড়ি, লেস, কাতান ও হাতের ভরাট কাজ।
কে-ক্র্যাফটের স্বত্বাধিকারী খালিদ মাহমুদ খান বলেন, “বাচ্চাদের পোশাকগুলোতে উজ্জ্বল রং ব্যবহার করা হয়েছে। সবুজ, ফিরোজা, নীল এবং এর সঙ্গে রয়েছে কিছু মেরুন রং। ”
বাচ্চাদের পোশাকের কাপড়গুলো একটু নরম হওয়া দরকার, যাতে তারা পরে আরাম পায়।

‘চরকা’-র স্বত্বাধিকারী জাভেদ কামালের ভাষায়, “বাচ্চাদের পোশাক তৈরিতে বেছে নেওয়া হয়েছে টাঙ্গাইল, রাজশাহী, মানিকগঞ্জ, নরসিংদী, সিরাজগঞ্জ, মিরপুর ও কুমিল্লার তাঁতের কাপড়। বুননেও আনা হয়েছে নতুনত্ব। ”
অঞ্জনসের স্বত্বাধিকারী শাহিন আহম্মেদ জানান, তারা বাচ্চাদের পোশাকের ক্ষেত্রে সুতি ও অ্যান্ডি কাপড় প্রাধান্য দিয়েছেন। এর মধ্যে কিছু আছে মেশিনে আর কিছু তাঁতে বোনা।
দেশীয় প্রায় প্রতিটি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান এবারের ঈদের জন্য শিশুদের পোশাক এনেছে।

২ থেকে ১২ বছর বয়সী শিশুদের সব ধরনের পোশাকই থাকছে। এগুলোর মধ্যে আছে মেয়ে-বাচ্চাদের সালোয়ার কামিজ, ফ্রক ও ফ্রক কাটিং শার্ট-প্যান্ট, কুর্তি ও ফতুয়। ছেলে-বাচ্চাদের জন্য রয়েছে পাঞ্জাবি, ফতুয়া, শার্ট। এমনকি রয়েছে মেয়ে-বাচ্চাদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি শাড়ি।
এসব প্রতিষ্ঠানের বিক্রয় কেন্দ্রগুলোর শিশুদের বিভাগের দিকে তাকালেই চোখে পড়বে পোশাকগুলো।

বাংলার মেলা, নগরদোলা, অন্যমেলা, কে-ক্র্যাফট, অঞ্জনস, চরকা, তহু’স ক্রিয়েশন, এড্রয়েট, আড়ং, গ্রামীণ পোশাক, দেশাল, বাসন্তি, লীলাবালি, ফড়িং, আবর্তন, এবি ফ্যাশন মেকার, উত্তরাঙ্গন বুটিক, বার্ডস আই, নিখুঁত বাংলাদেশ, নিত্য উপহার, কিডস কালেকশনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কেন্দ্রে শিশুর পোশাক পাওয়া যাবে।
এসব প্রতিষ্ঠানে বাচ্চাদের পোশাকের মূল্য ৬শ’ টাকা থেকে ৩ হাজার টাকার মধ্যে।
এছাড়া রাজধানীর আজিজ সুপার মার্কেট, গাউছিয়া, নিউমার্কেট, বসুন্ধরা সিটি শপিংমল, গুলিস্তান, মিরপুর সুপার মার্কেট, উত্তরা মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটেও পাওয়া যাবে শিশুর পোশাক।

সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.