আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র বনাম সুন্দরবন

নজরুল ইসলাম (নবীণ) বাংলাদেশ সরকার ও পরিবেশবিদসহ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ যখন সুন্দরবনকে সপ্তাচর্যের অংশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছে। ঠিক একই সময় রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প চালু করা হচ্ছে সুন্দরবনের পরিবেশগত বিপর্যয় ঘটানোর জন্য। কোনো এলাকায় যে কোন ধরনের স্থাপনা বা খনন বা কোনো পরিকল্পনা গ্রহণের আগে অবশ্যই সেই এলাকার প্রাথমিক পরিবেশগত পরীক্ষা এবং পরিবেশগত প্রভাব যাঁচাই-বাছাই করে জনগণের সর্বসম্মতিক্রমে প্রকল্পটি কার্যকর করা এবং অবশ্যই জনসমক্ষে প্রকাশ করার নিয়ম থাকলেও আমাদের দেশে এর ঠিক উল্টোটাই ঘটতে দেখা যায়। এখানে কয়েকজন ব্যক্তিবিশেষের ইচ্ছাই প্রাধান্য পায়। রামপাল তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি সুন্দরবনের পরিবেশগত ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবেÑ এ ব্যাপারে পরিবেশবাদী বিশ্লেষকরা বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় অভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন।

এ কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বছরে ৩৭ লাখ টন কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গত হবে। যা প্রায় ১৬ কোটি বৃক্ষ নিধনের সমান এবং মাটি, বায়ু, জলদূষণ প্রভৃতি ছাড়াও এখানে বিপুল পরিমাণ ছাঁই ও বর্জ্য বেরিয়ে আসবে। যা রামপালের মতো জনবসতিপূর্ণ এবং সুন্দরবন অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী পরিবেশ বিপর্যয় তৈরি করবে। একই সাথে সুন্দরবনের প্রাণীকূলের উপর পড়বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া এবং ক্ষতিকর প্রভাব। এ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জনগণ তাদের কৃষি জমি ও ভিটে-বাড়ি থেকে উৎখাতই হবে না।

হারিয়ে যাবে উপকূলীয় জীবন-জীবিকার ধারাবাহিকতা। একই সাথে ক্ষতিগ্রস্ত হবে মংলা বন্দর। সর্বোপরি এই তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প আমাদের অমূল্য সম্পদ সুন্দরবনকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দেবে। বাংলাদেশের বন্যপ্রাণী আইনে প্রকৃতিগতভাবে সংরক্ষিত বনভূমিতে শিল্প-কারখানা স্থাপন ও বাণিজ্যিক খনন নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও কিভাবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ এ ধরনের কর্মকা- পরিচালিত করে তা প্রশ্নাতীত। সূত্র : সাপ্তাহিক বৈচিত্র ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।