আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপাল নিয়ে মিথ্যাচার



ড.আঞ্জুমান ইসলাম নামের এক 'পানি পরিশোধন' ও 'পরিবেশ প্রকৌশলী' বিডিনিউজ২৪ এ জনাব তৌফিক ইলাহি চৌধুরির সাথে আলাপ চারিতার ভিত্তিতে একটি লেখা লিখেছেন যেখানে তিনি রামপাল কয়লা বিদ্যুৎ প্রকল্প বিরোধীতাকারীদের তোলা বিভিন্ন যুক্তিকে 'অসত্য' বলে দাবী করে নানান কথা বলেছেন। Click This Link লেখাটি তার দেয়া ইআই রিপোর্টের সাথে মিলিয়ে পড়লে যে কেউ ই বুঝতে পারবেন, সরকারি ইআইএর মতো তার লেখাটিও অসত্য ও জালিয়াতিতে ভর্তি। পুরো লেখাটির একটি প্রতিক্রিয়া লিখছি, এখানে আপাতত উনার লেখার দুইটা জালিয়াতি ও প্রতারণার উদাহরণ দিই: ১) আঞ্জুমারা তার লেখায় ১০ কিমি দূরত্বের কথা বলে প্রমাণ হিসেবে যে লিংকটি দিয়েছেন, সেখানে ঢুকলে যে কেউই দেখতে পারবেন, এই গাইড লাইনটি তাপবিদ্যুৎ স্থাপন সংক্রান্ত নয়, এটি হলো: Guidelines for diversion of forest land for non-forest purpose অর্থাৎ বনভূমির কত দুরের ভূমি বনায়ন ব্যাতিত অন্যান্য কাজে ব্যাবহার করা যাবে সে সম্পর্কিত গাইড লাইন। প্রকৃতপক্ষে, ভারতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সংরক্ষিত বনাঞ্চল, শহর-বন্দর থেকে কত দূরত্বে স্থাপন করতে হবে সে বিষয়ে আলাদা করে একটি ইআইএ গাইড লাইন আছে যেখানে স্পষ্ট বলা হয়েছে: “Locations of thermal power stations are avoided within 25 km of the outer periphery of the following: – metropolitan cities; – National park and wildlife sanctuaries; – Ecologically sensitive areas like tropical forest, biosphere reserve, important lake and coastal areas rich in coral formation;” সূত্র: Click This Link তাহলে, ভারতের পরিবেশ ও বনমন্ত্রণালয়ের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইআইএ সংক্রান্ত গাইড লাইনে যখন স্পষ্ট করে নগর, জাতীয় উদ্যান, বণ্যপ্রাণী অভায়ারণ্য, সংরক্ষিত বনাঞ্চল, পরিবেশগত স্পর্শকাতর এলাকা ইত্যাদির ২৫ কিমি সীমার মধ্যে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ এড়িয়ে চলার কথা বলা হয়েছে, সেখানে আঞ্জুমারা ইসলাম কি কারণে বনভূমির অবনজ ব্যাবহারের গাইড লাইনটি বেছে নিলেন? জানতে ইচ্ছা করছে, জনাব তৌফিক ইলাহি চৌধুরি কি তাকে এটার সন্ধান দিয়েছেন? সন্ধান দিলেই বা উনি কেন যাচাই না করে লিখে বসলেন? নাকি যেনে বুঝেই পাঠককে বিভ্রান্ত করার উদ্দেশ্যে এই কৌশল? ২. সীসা, পারদ, আর্সেনিক ইত্যাদি বিষাক্ত ভারি ধাতুসম্পন্ন ছাই দিয়ে ১৪১৪ একর জমি ভরাট করার তথ্যটিকে তিনি সোজা অসত্য বলে দিয়েছেন! আচ্ছা , তিনি কি তার দেয়া লিংক এর ইআইএটি আসলেই পড়েছেন নাকি সম্পূর্ণ ভিন্ন একটি ইআইএ’র অস্তিত্ব আছে? ইআইএর ১০৬ পৃষ্ঠায় তো দেখছি স্পষ্ট লেখা আছে: “At first phase, only 420 acres of land will be developed for the main plant and township by dredged material and the rest area (1,414 acres) will be developed gradually with generated ash.” অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ে কেবল ৪২০ একর জমি মূল প্ল্যান্ট এবং টাউনশিপ এর জন্য ড্রেজিং করা মাটি দিয়ে ভরাট করা হবে আর বাকি এলাকা(১৪১৪ একর) উৎপাদিত ছাই দিয়ে পর্যায়ক্রমে ভরাট করা হবে। এই রকম নগ্ন, নিলর্জ্জ মিথ্যাচারের জবাব কি হতে পারে? -কল্লোল মুস্তফা

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।