আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রামপাল অতঃপর...।

আমি সাম্প্রদায়িক । বাংলাদেশকে একটি সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র রুপে দেখতে চাই। তবে সম্প্রদায় থাকবে একটাই, "বাংলাদেশি"।

আকাশের রং নীল বলেই জানত বৃষ্টি, গাঢ় নীল । কিন্তু আজ দেখছে আকাশের রং সাদা; কোথাও একটু ধূসর ।

আকাশ যে এভাবে কাঁদতে পারে জানতই না বৃষ্টি । বৃষ্টি এটাও জানে না যে আকাশের এই কাঁদার নামেই তার নাম বৃষ্টি রেখেছে তার বাবা নুহাশ । আকাশের অশ্রুর অল্প স্পর্শ নিয়েছিল বৃষ্টি, তখন থেকেই হাতে জ্বলুনি হচ্ছে । বৃষ্টির মা সুনয়না আর বাবা নুহাশ পাশের রুমেই আছে, ওরাও বৃষ্টি দেখছে । অনেক দিন পর আজ বৃষ্টি দেখছে ওরা ।

বৃষ্টির মত স্বর্গীয় কিছু একটা যে আছে ওরা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল । আগে বৃষ্টি হলে সময়ে-অসময়ে ওরা বৃষ্টি স্নান করত, এখন আর সেই সুযোগ নেই । এখন আর বৃষ্টি হয় না; হয় এসিড বৃষ্টি । যার জলফোটায় স্নিগ্ধতা নেই,আছে শুধুই বিষ । সুনয়না মোটা লেদার জ্যাকেট পড়েছে তবু মনে হচ্ছে ঠাণ্ডা যেন ঘিরে ধরেছে তাকে ।

আগেকার দিনে নায়িকাদের ঠাণ্ডা লাগলে নায়করা জ্যাকেট খুলে তাদের পড়তে দিত। কিন্তু সেই দিন আর নেই । নুহাশ দেখল রুমের টেম্পারেচার নেমে এসেছে মাইনাস বার ডিগ্রিতে । গত শীতে কেনা হলুদ চাদরটাই এগিয়ে দিল সুনয়নাকে । চাদর না নিয়ে নুহাশকেই জড়িয়ে ধরল ও ।

আকাশটার সঙ্গে সুনয়নাও কাঁদছে । সুনয়নার অশ্রুতে ধ্বনিত হচ্ছে বৃষ্টিস্নান না করতে পারার অভিমানের কাব্য । নুহাশের কিছুই করার নেই ও শুধু উদাস ভঙ্গিতে জানলা দিয়ে বৃষ্টি দেখছে...। একটু পরে হয়ত এটাও দেখা যাবে না । ঠাণ্ডা ক্রমশ বাড়ছে ।

শীতল থেকে শীতলতর তার পর আরোও হিমশীতল...। নুহাশ ভাবছে কেন এমন হল ? আগে ত প্রতি বর্ষায় বৃষ্টি হত, সেই বৃষ্টিতে বাচ্চারা ভিজত, ভিজত ইউনিভার্সিটির কপোত-কপোতীর দল..। শীত গুলো হত সাত-আট ডিগ্রির । গরমটা একটু বেশি ছিল বটে কিন্তু কলেজের সামনের বট গাছের ছায়ায় একটু জিরিয়ে নিলেই সব ক্লান্তি ধুয়ে যেত । কিন্তু এখন গরম পড়ে আটচল্লিশ-পঞ্চাশ ডিগ্রির ।

ভাবতে ভাবতে নুহাশের মনে পড়ে গেল তের সালে কেউ একজন ওকে একটা বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ করার দাবিতে রাজপথে নামতে বলেছিল । কিন্তু ও তখন ব্যস্ত ছিল; অনেক ব্যস্ত...। নুহাশ ভাবছে, সেদিনের সেই ব্যস্ততাই কি সুনয়নার কান্নার কারণ!!!???

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।