আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ঘুড়ি উড়ানোর বাতাস দিন

তোকে দেখিনা, কতো হাজার বছর হয়ে গেলো... তুমুল বর্ষণ সারাটা দিন। ঘোরের মধ্যে পড়ে থেকে ভুলে গেছি বর্ষনমুখর এমন দিনের স্বাদ নেওয়ার কথা। শুয়ে থেকে থেকে ঘেমে জুবজুবে হয়ে গেছি। একটা ডাকের আশায় ঘন্টার পর ঘন্টা কেটে গেছে। কেটে গেছে বিনিদ্র রাত; রাতের পর রাত।

কেটে যাচ্ছে আজও... মেঘ থেকে বিষাদ চুরি করে নিজের মধ্যে ভরে নিয়েছি। বিষাদের এক স্বর্গীয় স্বাদ আছে। সে স্বাদে বিমুগ্ধ হওয়ার তীব্র ইচ্ছা আজ। আমার ইচ্ছাগুলোকে কেউ কোনো দিন মূল্য দেয়নি। আমি নিজে তাই আমার ইচ্ছাকে বুকে জড়িয়ে ধরে আদর করছি।

সান্ত্বনার মিথ্যে বাণী শুনিয়ে শান্ত করার বৃথা চেষ্টা করছি। ইচ্ছেরা তবু শান্ত হয়নি। তাই ইচ্ছেদের পিছনের ছুটে ছুটে বিচ্ছেদের করুণ সূর বাজিয়ে ছেড়েছি... আমার এই শুয়ে থাকা। আমার এই নিজেকে লুকিয়ে রাখার অদমনীয় আকাংখা আসলে তোমাকে হারানোর অসহ্য যন্ত্রণা থেকে। যে জীবনে তুমি নেই, সে জীবনে আর কেউ না থাকুক।

আমি আসলে চাইনা কাউকে। তোমার মতো মানুষটাকে যেখানে আগলে রাখতে পারলাম না! সেখানে আর কাকেই বা আমি পারবো আগলাতে! অনুতাপের অনল বড় অদ্ভুদ; পুড়ে পুড়ে ছাই বানিয়ে দেয়, তবুও কোনো পোড়া গন্ধ বেরোয়না! ০২ গুমোট বাঁধা এই সব দিন রাত্রি আমাকে বাইরে বেরে আনলো এক বিকেলে। বিকেলজুড়ে তখন দিকভ্রান্ত উদ্বেলিত বাতাস। কী আনন্দে যে উদ্বেলিত কে জানে! সে বাতাসে আমার এলোমেলো চুল উড়ে উড়ে ছিঁড়ে যেতে চায়... সে বাতাসে উড়ে আসে নস্টালজিয়া। আমার চোখের জল চুষে আনে সে বাতাস।

বাতাসে উড়ে আসে আরও ঘুড়ি উড়ানোর শৈশব... এ বাতাস কি তোমাকেও ছুঁয়ে আসে একটু আধটু?  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।