আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

হাসান সাইদ,একজন নরপিশাচ,তার আগে সে একজন ইঞ্জিনিয়ার,তার আগে সে একজন বুয়েটিয়ান এবং সব বুয়েটিয়ান রাই একেকজন হাসান সাইদ।

http://rmpalash.blogspot.com/ হাসান সাইদ। একজন ইঞ্জিনিয়ার। একজন স্বামী। একজন বাবা। কিন্তু অন্য স্বামী বা বাবাদের থেকে তার পার্থক্য হল সে একজন ব্যর্থ স্বামী,একজন ব্যর্থ বাবা।

সে একজন নির্যাতনকারী। যার নির্মম নির্যাতনে আহত হয়ে আজ উচ্চশিক্ষিত একজন মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। যেই চোখভরা স্বপ্ন নিয়ে তিনি দেখেছিলেন সর্বোচ্চ অর্জন পি এইচ ডি ডিগ্রী অর্জনের স্বপ্ন আজ সেই চোখ অন্ধ প্রায়। সবাই একথা জানেন। নতুন করে বলার কিছু নেই।

সবাই যেদিক দিয়ে চিন্তা করছেন আমি একটু অন্যদিকে বলি। হাসান সাইদ ফৌজদারহাট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র ছিলেন। ক্যাডেট কলেজে থাকাকালিন তাকে পাগলা বলে ডাকা হত। তার মানসিক অসুস্থতার প্রমান এই যে তিনি বুয়েট থেকে পাস করে বের হতে পারেন নি। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল রুমানা মনজুরের মত একজন উচ্চশিক্ষিত মেয়েকে কেন এই ধরনের একটা এবনর্মাল ছেলের সাথে বিয়ে করতে হবে?যে বুয়েট থেকেই পাস করে বের হতে পারেনি? তারা কি বিয়ের আগে খোজ নেয়নি?নাকি ছেলে বুয়েটের ইঞ্জিনিয়ার এই কথা শুনেই আর কিছু ভাবার চেষ্টা করেনি।

একটা ছেলে শিক্ষিত হতে পারে,হতে পারে পয়সাওয়ালা ফ্যামিলির। সেজন্যে কি সে সকল যাচাই বাচাইয়ের উর্ধে উঠে যাবে? একজন মানুষ হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়না। এত বিভৎস একটা ঘটনা হঠাৎ করে ঘটানো সম্ভবও না। এই লোক আগেও হয়তো স্ত্রী নির্যাতন করতো। রুমানা মনজুর আর তার ফ্যামিলির কি উচিত ছিলনা মানসিক বিকার গ্রস্থ এই লোকের চিকিৎসার ব্যাবস্থা করা?সুস্থ হলে ভাল।

না হলে এই ধরনের একজন লোক যে নিজের স্ত্রীর গায়ে হাত তোলে তার সাথে সংসার করা কোন বাস্তব বিচার বিবেকে ধরেনা। আমি যদি বলি তাদের ক্রমাগত প্রশ্রয় পেয়েই এই লোক এই ধরনের একটা ঘটনা ঘটিয়েছে? ************************************************ আমাদের সমাজে মেয়েদের একটা কমন টেন্ডেন্সী আছে। শান্ত,ভদ্র,বিনয়ী ছেলে তাদের ভাল লাগেনা। তারা চায় ড্যাশিং,ড্যাম কেয়ার উদ্বত ছেলে। শত শত উদাহরন আছে।

আর চায় টাকা। শুধু আমাদের সমাজে নয় যে কোন সমাজে টাকা দিয়েই অধিকাংশ মেয়েকে বশ করে ফেলা যায়। সব কিছুরই পার্শপ্রতিক্রিয়া আছে। এই গুলার পার্শপ্রতিক্রিয়া হিসেবে উপরের ঘটনার মত ঘটনা ঘটে। আমাদের ক্যাম্পাসে ছেলে আছে ৩৫০০ ছেলে আছে।

এর ভেতরে সবচেয়ে খারাপ যে ছেলেটা,যার নামে কয়েকদিন পরে পরে পত্রিকায় খবর আসে,যার নামে রয়েছে একাধিক নারী কেলেংকারীর ঘটনা,যার রুমে নিয়মিত মদ গাজার আসর বসে,ক্যাম্পাসে প্রতিটা মারামারিতে যার সক্রিয় অংশগ্রহন,তার সাথে রিলেশন আমাদের ক্যাম্পাসের অন্যতম সুন্দরী একটা মেয়ের সাথে। এই মেয়ে কেন এত ছেলে থাকতে এই রকম একটা লোফারের সাথে রিলেশনে আছে? পাওয়ার। ক্ষমতা। নেতার গার্লফ্রেন্ড। এই ছেলে যে ভবিষ্যতে বৌ পেটাবে সেটা তো নিশ্চিত।

এই রকম হাজার উদাহরন আছে। আমাদের সমাজের মেয়েদের আর তাদের গার্জিয়ান দের মানসিকতা চেঞ্জ করতে হবে। টাকা ওয়ালা ছেলে দেখলেই অজ্ঞান হয়ে গেলে এই রকম ঘটনাই ঘটবে। ****************************************** সে একজন এক্স বুয়েটিয়ান। বুয়েটে সে পড়েছে ৪ বছর।

তার আগে সে ছিল ফৌজদার হাট ক্যাডেট কলেজে ৬ বছর। বুয়েট একটা ইঞ্জিনিয়ারিং ভার্সিটি। কোন মাদ্রাসা না। ইঞ্জিনিয়ারিং সিলেবাসে নৈতিকতা পড়ানো হয় না। সে যদি ভাল ইঞ্জিনিয়ার না হয় সেই জন্যে বুয়েট দায়ী।

কেউ বৌ পেটাল,কেউ খুন করল এইটা দেখার দায়িত্ব বুয়েটের না। এটা তার পরিবারের দায়িত্ব,সমাজের দায়িত্ব। বুয়েট থেকে প্রতিবছর হাজার ইঞ্জিনিয়ার বের হয়। এর ভেতরে একজন এই ঘটনার জন্ম দিয়েছে তাতে সমগ্র বুয়েটিয়ান দের ঢালাও ভাবে দোষ দেওয়া মোটেই সমীচিন না। ********************************************* ব্লগ ফেসবুকে গত কয়েক দিন ধরে ঢালাও ভাবে আজে বাজে কমেন্ট পড়ে মানসিকভাবে আমরা অত্যন্ত ব্যথিত।

আমরা সবাই চাই সেই নরপশুর বিচার হোক। কিন্ত দয়া করে আমাদের মুক্তি দিন। সে একাই বুয়েটের সাইনবোর্ড না। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.