আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গরমের খাদ্যাভ্যাস

গরম মানেই অস্বস্তি। সামান্য খাওয়া-দাওয়া করলেও হাঁসফাঁস অবস্থা আর ক্লান্তি এসে ভর করে। তবে খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে গরমেও সুস্থ ও কর্মড়্গম থাকা যায়। প্রথমেই খাদ্যতালিকায় নিয়ে আসুন মওসুমি ফল ও সবজি। এতে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাবে ও ভালো থাকবে।

গরমের সময় অতিরিক্ত তেল-মসলাযুক্ত খাবারের বদলে হালকা ও সহজপাচ্য খাবার খান। যেসব ফল ও সবজিতে পানির পরিমাণ বেশি সেগুলো বেছে নিন। এ গরমে আপনার খাদ্যাভ্যাসই পারে আপনাকে সুস্থ ও কর্মড়্গম রাখতে। তাই এ সময় কী ধরনের খাদ্য গ্রহণ করবেন তা জেনে নিন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন গরমের সময় দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করুন।

এ সময় ঘামের মাধ্যমে শরীর থেকে যে পরিমাণ পানি বের হয়ে যায় সে পরিমাণ পানি পূরণ করতেই বেশি করে পানি পান করতে হবে। চকোলেট মিল্ক, চিনি, লেবুর শরবত, ডাবের পানি, দইয়ের ঘোল- এগুলো খেতে পারেন। এতে ডিহাইড্রেশন সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন। ডাবের পানিতে রয়েছে সোডিয়াম, পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, কপার, ফসফরাস, সালফার ইত্যাদি প্রয়োজনীয় উপাদান। বাইরে বের হলে কোল্ড ড্রিঙ্কস না নিয়ে সঙ্গে গস্নুকোজ ওয়াটার নিতে পারেন।

হারবাল টি, যেমন পিপারমেন্ট টি, গ্রিন টি খেতে পারেন। ঠান্ডা দই, দইয়ের সালাদ বা দই দিয়ে ভাত খেলেও উপকার পাবেন। গরমের ফল ও সবজি গরমে তরমুজ, শসা, ডাব, পেঁপের মতো সিজনাল ফল দিনে অন্তত একটি করে খেতে পারলে খুব ভালো। এগুলো শরীরের পানির চাহিদা পূরণ করে। ফল দিয়ে শরবত করেও খাওয়া যায়।

সালাদের সঙ্গে কাঁচা আমের টুকরো মিশিয়ে দিন। কাঁচা আমের শরবত এ সময় খুব কাজে দেয়। এতে হিটস্ট্রোকের মতো সমস্যা প্রতিরোধ করা যায়। কাঁচা আম লবণ মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে অতিরিক্ত ঘামের জন্য সোডিয়াম ক্লোরাইড ও আয়রন ঘাটতির যে সমস্যা দেখা দেয় তা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

বাঁধাকপি, ঢেঁড়স, কুমড়া, লাউ ইত্যাদি সবজিতে পানির পরিমাণ বেশি। দই, লেবুর রস বা হালকা মসলা দিয়ে এসব সবজি রান্না করুন। কষানো রান্নার চেয়ে স্টিমে রান্না বেশি উপকারী। পেট ঠান্ডা রাখার জন্য শসা, টমেটো ও গোলমরিচ বেশ কার্যকর। গরমে হালকা খাবার গরমের সময় বেশি তেল-মসলাযুক্ত, পেঁয়াজ, রসুন দিয়ে কষানো রান্নার বদলে বেকড, গ্রিল বা স্টিমড রান্না খেতে পারেন।

মেরিনেট করলে মেয়নিজ, মাখন ইত্যাদি এড়িয়ে চলুন। কারণ এ ধরনের খাবার গরমে প্রতিদিন খেলে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। শরীরে সবসময় অস্বস্তি অনুভূত হয়। ময়দা, ঘি, ক্রিম, বাদাম, রেড মিটের মতো খাবার এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। গরমের সময় বার বার খাবার গরম করবেন না।

এতে খাবারের নিউট্রিশনাল ভ্যালু তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। গরমে পেটের সমস্যা গরমের সময় ডায়রিয়া, বদহজমের সমস্যা প্রায়ই লেগে থাকে। এগুলো থেকে রেহাই পেতে কিছু ব্যাপারে খেয়াল রাখুন। বেশিড়্গণ ফল কেটে ফেলে রাখবেন না। আস্ত ফল খাওয়ার চেষ্টা করম্নন।

সবুজ শাকসবজি রান্নার আগে ধুয়ে নিন। বাইরে খাওয়া-দাওয়া কম করম্নন। একান্তই খেতে হলে নিরামিষ খাওয়ার চেষ্টা করুন। চিকেন, বিফ বা মাটন এড়িয়ে চলুন। বরফ দেওয়া ঠান্ডা পানি কম খান।

অতিরিক্ত কোল্ড ড্রিঙ্কস খাওয়া থেকে হজমের অসুবিধা দেয়, রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। আম ও কাঁঠাল হাই ক্যালরিযুক্ত খাবার। অতিরিক্ত খেলে বদহজম হতে পারে। তাই পরিমিত খান। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।