আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

নতুন ঝামেলার নাম ""মোবাইলে ট্রেন এর টিকেট করা ""

আমদের বাংলাদেশ নাকি আগামি কয় বছর এর মধ্যে সম্পুর্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে যাবে। এই কারনে আমরা নিজেরাই কতটা ডিজিটাল হচ্ছি নাকি ডিজিটাল নামক শব্দটির ফাদে পরে সবাই টাল হয়ে যাচ্ছি ! সড়ক পথে কোথাও ঠিক সময় এ পৌছাতে পারা আর এখন বাংলাদেশ এ সম্ভব না। কিন্তু কিছুটা ভরসা এখনও করা যায় কারন কিছু ট্রেন আছে যাদের বদৌলতে আমরা অন্তত রাস্তার হেনস্তা থেকে বাচতে পারি ( যদিও সব ট্রেন মোটামুটি ১-২ ঘন্টা বিলম্ব করে ) ! যাই হক এই ট্রেন এর টিকেট নিয়েও ডিজিটাল বাংলাদেশ এর কিছু মহৎপ্রাণ মানুষের ও মাথা ব্যথা , পুরোপুরি ডিজিটাল না করে তারা শান্তি পাবেন না। বাংলাদেশ এর বিভাগীয় অথবা জেলা শহর এর ট্রেন স্টেশন বাদে বাকিগুলোর অবস্থা কতটা খারাপ আমরা জানি। বাংলাদেশ এর সবচেয়ে বেশি ব্যবসা সফল মোবাইল কোম্পানিগুলো এখন যুক্ত হইয়েছে টিকেট বাণিজ্যের সাথে ।

প্রতি টিকেটে তারা অতিরিক্ত ২০ টাকা করে নিচ্ছে । সুবিধা কি? টিকেটের জন্য লাইন এ দাড়াটে হবে না । এর সুবিধা আমরা কতটুকু পাচ্ছি ? সুবিধা আমরা কতটুকু পাচ্ছি তা আপ্নারাই বিবেচনা করুন। আমাদের অর্ধশিক্ষিত / অশিক্ষিত মানুষ গুলো কি কাস্টমার সেন্টার এ গিয়ে টিকেট নিতে পারছে ? যাত্রার ১১ দিন আগে টিকেট বিক্রি শুরু হয়, কিন্তু যতটা না মানুষ কিনতে পারছে তার চেয়ে বেশি কিনে নিচ্ছে কালোবাজারি রা । ফলে কি হচ্ছে ? টিকেট অল্প সময় এর মদ্ধ্যে শেষ হইয়ে যায় এবং পরে কালবাজারি গুলো দিগুন দাম এ টিকেত গুলো বিক্রি করে ।

যার ফলে টিকেট না পেয়ে আমরা মাতাল এর মত টাল হয়ে যাই । আমরা বাঙালি । অত বেশি আধুনিকায়ন এর ফুটানি আমদের মানায় না । কি দরকার এত কাহিনি করে সহজ একটা জিনিসকে এত জটিল করার ???? ট্রেন যেমন সোজা পথে চলে তেমন চললে ক্ষতি ??? ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.