আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চলুন, একটু ঘুরে আসি

গান গাই, আর মনরে বুঝাই অবশেষে এসেই গেল ২৪ মে ... Texas থেকে কয়েকদিনের মুক্তি ... পাড়ি দিলাম New York এর পথে. আগের রাতে কিছুই গোছগাছ করা হয়নি. সকালে উঠে তারাহুরা করে কোনমতে রেডী হয়ে রওনা দিলাম Dallas-Lovefield এয়ারপোর্ট এর উদ্দেশে, সাথে মইন আর মাহদী ভাই. মোটামোটি ঝামেলা ছাড়াই এয়ারপোর্ট এর কাজ শেষ করে উঠে পড়লাম প্লেনে. বোর্ডিং পাস আগে থেকে নেয়া ছিল, তাই জানালার পাশে সীট পেতে অসুবিধা হয়নি. আকাশে উড়ার পর মোবাইলের ক্যামেরা দিয়ে কিছু ছবি তোলার চেস্টা করলাম, মেঘ গুলা দেখতে কেমন যেন অদ্ভুত! কোথাও এক পাল মেষ এর মত, আবার কোথাও সাদা মরুভূমি. যাহোক, প্রায় সোয়া এক ঘন্টার ফ্লাইট শেষে Barmingham এসে নামলাম. এক ঘন্টার মত বিরতি, তারপর আরেক ফ্লাইট এ করে Buffalo, NY পৌছতে পৌছতে প্রায় আট টা. এখানে তখনও সন্ধ্যা. হালকা নাস্তা সেরে বের হলাম নায়াগ্রা ফলস এর উদ্দ্যেশে... হোটেল থেকে ছয়-সাত মিনিট হেটে যেতেই নায়াগ্রা নদীর একটা ব্রীজ পেয়ে গেলাম... নদীর দুপাশ থেকে লাইট দিয়ে এক অন্যরকম পরিবেশ তৈরী করা. নদীর ধার ধরে হাটতে থাকলাম... ফলস এর দিকে. মাঝে মাঝে কিছু ছবি তুলে নিচ্ছি. একটু পর পানির ঝর-ঝর শব্দে বুঝতে পারলাম আর বেশি অপেক্ষা করতে হবেনা... :-) কিন্তু কারো কি তর সয়! সবাই দৌড় দিলাম. হঠাৎ, অসাধারণ এক দৃশ্য,... ভাষায় প্রকাশ করার অপচেষ্টা করবনা. আপনারাই দেখে নিন :-) কানাডা থেকে বিভিন্ন রং এর আলো ফেলা হচ্ছে. আপনাদের কাছে অনুরোধ, যদি কখনো নায়াগ্রা ফলস দেখতে আসেন, অবশ্যই অবশ্যই রাতের নায়াগ্রা দেখে যাবেন. পরদিন সকালেই তারাতারি নাস্তা সেরে বেরিয়ে গেলাম. ফলস এর কাছাকাছি যাবার জন্য Maid of the Mist নামে একটা টুর আছে. একটা ছোটখাটো লঞ্চে করে পুরোটা ফলস ঘোরানো হয়. টিকেট কাটার সময় মনে হচ্ছিল এতগুলা টাকা চলে যাচ্ছে :-( পরে বুঝলাম এই জিনিস দেখার জন্য টাকার চিন্তা করাটা বোকামি. আর কথা নয়, চলুন আপনাদের ও একটু ঘুরিয়ে আনি ... চলবে  

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.