আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একটু দূর্নীতি, একটু ঘুষ খাওয়া, একটু খাদ্যে ভেজাল দেওয়া........আইনসম্মত করা হউক

চলে যেতে যেতে বলে যাওয়া কিছু কথা

সুইডেনের পার্লামেন্টে এমন একটি বিল পাস করা হয়েছে যাতে করে ডাক্তারেরা হেরোইন আসক্ত রোগীদের জন্য হেরোইন প্রেসক্রাইব করতে পারবেন। দেখা গেছে হেরোইন সেবনের ফলে এইসব হেরোইনসেবীদের ক্রাইম করার প্রবনতা কমে গেছে। আমাদের দেশেও যদিও ঘুষখোরদের ঘোষ খাওয়া, খাদ্য মজুদকারীদের খাদ্য মজুদ করতে না দেওয়া, খাদ্যে ভেজাল দানকারীদের খাদ্যে ভেজাল দেওয়া, অসাধু আমলা কিংবা রাজনীতিবিদদের দুর্নীতি করা একেবারেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাহলে হিতে বিপরীত হতে পারে। যেহেতু এগুলোতে তাদের আসক্তি আছে, পুরোপুরি এগুলো বন্ধ হয়ে গেলে তারা আরো বেশি বেপোরোয়া হয়ে উঠতে পারেন।

সামাজিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তাইত কেউ কেউ এই বলে উষ্মা প্রকাশ করে থাকেন যে রাজনীতিতে কিছুটা অসচ্ছতা থাকতেই পারে। তা নইলে দল পরিচালনার পয়সা মিলবে কোথা থেকে। আরো একহাত বাড়িয়ে অনেকে বলেন রাজনীতিবিদরা দেশের যে কয়টা টাকা হাতিয়ে নেন তার ভাগবাটোয়ারা তৃণমুল পর্যায়ে চলে যায়, আর তা অর্থনীতির জন্যও স্বাস্থ্যকরও বটে। ঠিক তেমনিভাবে ঢাকা শহরে যে আলীশান দালানকোঠার চোখধাধানো মিছিল তা দেখে চোখ জুড়ানো যেত না, যদি না ঘুষখোরেরা ঘোষের টাকা এসবকিছুতে লগ্নি না করতেন।

তাই আমাদের জাতীয় সংসদে এমন একটি আইন প্রননয় করা উচিত যাতে করে ঘুষখোরেরা সহনীয় পর্যায়ে ঘুষ খেতে পারেন, খাদ্য মজুদকারীরা সীমিত আকারে খাদ্য মজুদ করতে পারেন, খাদ্যে ভেজাল দানকারীদের খাদ্যে ভেজাল দেওয়াটা এমন পর্যায়ে থাকে যাতে করে কারো প্রানহানি হঠাত করেই না ঘটে। আর রাজনীতিবিদরা যেহেতু এই আইন প্রনয়ন করবেন আমলাদের সহায়তায় তাই তাদের দূর্নীতির পরিধিটা আর সবকিছুর চাইতে এককাঠি উপরে হলেও তাতে কারো আপত্তি থাকার কথা নয়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.