আমি ওই দাঁড়কাকটাকে উড়ে যেতে দেখেছিলাম, ঠোঁটে রজনীগন্ধা ছিলো,
পাথরঘাটার পুকুরঘাটে কোন এক অলস বিকেলে, প্রাচীন বটের ছায়ায়।
বটের ঝুড়িগুলোয় লুকিয়ে ছিল প্রেত থেকে পতিতা...আরো হরেক আদল,
মাঝে মাঝে চোখ পড়লে আঁতকে উঠতাম।
সেই কোন ভোরে আযান দিয়েছিল মুয়াজ্জিন, এখনো ঘরে সূর্য উঠেনি।
দেয়াল দরজা কর্ণিশ জুড়ে সাত আসমান, তারই নিচে
একদিন...বাবার অফিস ফেরত গলায় ছিল অনেক ক্লান্তি,
“আয় করতে করতেই আয়ু ফুরিয়ে গেল” – দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলেছিলেন।
সেই থেকে আমি উড়নচন্ডী, ব্যয় করতে ব্যত্যয় করিনা।
অন্ধকার নামলেই বমি করি, ভাসিয়ে দেই পথঘাট, মনে হয়-
রোদে যদি পিচ গলতো...আমরা রাস্তার দু’পাশে
দাঁড়িয়ে থেকে, হাতে হাত ধরতাম।
কালোর মাঝে কালো দেখে দেখে হতাশা বাড়তে থাকে,
কালো আকাশ, কালো দালান, কালো কবুতর...
ভাবলেই গায়ের রোম দাঁড়িয়ে যায়।
অনেক আলো চাই।
ফুঁ দিয়ে প্রদীপ নিভিয়ে দেই, জ্বালিয়ে দেই দাবানল।
আমার নামের দু’পাশেই আগুন, মাঝখান থেকে আমি পুড়ে পুড়ে খাক।
বাতাস বইলেই একজন থেকে দশজন হই-উলুধ্বনি বাজে,
মাটি ফুঁড়ে উঠতে থাকে দেয়াল, খোলা ছাদ বেয়ে নামে কালপুরুষ।
এ ধার থেকে ও ধার ঠোকর খেতে খেতে একসময় নিশ্চুপ হয়ে যাই।
দাঁড়কাকটাকে পাহারায় বসিয়ে্ আরামে চোখ বুজি,
চাবিওয়ালা আসলেই ও আমায় খবর দেবে।
ইচ্ছে নেই, তবুও...
ফিরে আসতে হবে তৃতীয় মাত্রায়। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।