আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভালোবাসা বনাম কঠিন বাস্তবতা!

চাই ভালো থাকতে, চাই ভালো রাখতে...
কি যে হলো আমার একদমই বুঝতেছি নাহ!! আমি তো কখনও এত আবেগপ্রবন ছিলাম না, ছিলাম না বাস্তব জগত থেকে এত দূরে। তবে কেন আবেগপ্রবন এই ব্যাপারগুলো আমাকে আজ এত বেশি স্পর্শ করে যাচ্ছে? সব কিছুর মুলে কে? আমি না তুমি? যেকোন জনই হতে পারে! হয়তবা কেউই না হতে পারি আমরা!! তুমি কি একবারও মনে করতে পারো সেই আমাদের শুরুটা! কিভাবে কিভাবে কথায় কথায় হলো পরিচয়, সেখান থেকে বন্ধুত্ব! আজ এত দূর! কিন্তু বিশ্বাস কর, তুমি সেদিন বলেছিলে যে আমরা দুজন কি খুব ভালো বন্ধু হতে পারি না? অনেক ভেবে চিনতে আমি বলেছিলাম, হ্যাঁ পারি তো অবশ্যই। আমার ভাবনা দেখে তুমি আবার জিজ্ঞাসাও করেছিলে, কোন সমস্যা? হয়ত বড় কোন সমস্যা না থাকার কারনেই আমি বলেছিলাম, না! কোন সমস্যা বলে কি মনে হচ্ছে? আমি সেদিন হিসেব করিছিলাম খুব ভালো করেই যে, তোমার আমার মধ্যে কি কি কারণে কোন সিরিয়াস রিলেশন হওয়া সম্ভব না। যার হাজারটা যুক্তিযুক্ত কারনও আছে এবং তুমিও সেটা খুব ভালো করে জানো! তবে কেন তুমি আজ আমাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছ তোমার দিকে, তোমার ভিতরে, তোমার অতল গহ্বরে? কেনো? আমি জানতে চাই? হয়তো এর কোন সুনির্দিষ্ট কারন তোমার কাছেও নাই! মানুষের জন্মগত কিছু আকর্ষনের কারনেই হয়তবা ফলের কথা না ভেবে আপাত খনিক সুখের মোহে এত দূরে আসা! হয়তোবা অন্য কিছু! আমি জানি না! আমি তোমাকে অনেক অনেক ভাবে সরাসরি বা অনেক সময় রুপক অর্থে বোঝানোর চেষ্টা করেছি যে সিরিয়াস কোন চিন্তা ভাবনা করার কোন ইচ্ছা বা সামর্থ বা অবস্থা আমার এখন নাই। অনেকবার অনেকভাবে বলার, বুঝানোর চেষ্টা করেছি।

তুমি খুব ভালো করে ব্যাপারটা বুঝতেও পেরেছ বলে আমার বিশ্বাস। তবে কেন আজ এত ব্যাপারটাকে টেনে এত দূরে নিয়ে যাবে? ধীরে ধীরে তুমি আমাকে বলেছ, আমাকে জানিয়েছ, তোমার বুকের ভিতর অনেক দিনের অনেক ঘাত প্রতিঘাতের আঘাতের কারণে জমে থাকা একরাশ কষ্টের কথা। আমি আমার জায়গা থেকে চেষ্টা করেছিলাম তোমার ওই কষ্টগুলোকে খনিকের জন্য হলেও দূর করে দেওয়ার। কিন্তু প্রতিবারই, প্রতিটি মুহুর্ততে আমি তোমাকে বোঝাতে চেয়েছি বাস্তবতার কথা, কঠিন বাস্তবতার কথা। কিন্তু কেন তুমি একটুও বোঝ না? তোমার দুঃখগুলো দূর করাটাই কি আমার অনেক বড় অপরাধ ছিলো? তুমি আমাকে একটা জিনিস বার বার বোঝানোর চেষ্টা করেছ যে তুমি কখনও ভালোবাসা নামক জিনিসটা পাও নাই।

তুমি চাও যে তোমাকে খুব গভীরভাবে তোমাকে কেউ ভালোবাসুক, তোমাকে কাছে টেনে নিক, তোমাকে আগলে রাখুক সারাটা জীবন। আর তাই আমি তোমাকে অনেক অনেক বার বলেছি, আজও বলি, ভালোবাসার একজন মানুষ খুজের নিতে, বিশ্বাস কর সে তোমাকে অনেক অনেক বেশী সুখে রাখবে। যেটা আমার দ্বারা ঠিক এই মুহুর্তে অসম্ভব। আমি যে এখন জীবন যুদ্ধে অবতীর্ন হতে যাচ্ছি। পড়াশুনার শেষ পর্যায়ে এসে উপনিত।

নামতে হবে জীবনের কঠিন বাস্তবতায়। আমি জানি কত কঠিন সেই বাস্তব জগতটা, কত কঠিন। নিজের পায়ে খুব ভালো করে দাড়ানোর পুর্বে তো আমি আর কিছুই ভাবতে পারছি নাহ। নাকি তুমি চাও আমি আমার জীবনকে তোমার জন্য সেক্রিফাইস করে সব কিছু ফেলে তোমার কাছে চলে আসি, তোমাতেই মজে যাই, আমাদের দেশের আর দশটা ছেলের মত!!! নিশ্চয়ই তুমি তা চাও না। তবে কেন তুমি আমাকে, আমার বাস্তবতাকে, আমাদের বাস্তবতাকে একটুও বুঝতে চেষ্টা করো না? তুমি এই কথা অকপটেই বলতে পারবে যে, তোমার প্রতি আমি একবারও একটি খনের জন্যও বিন্দুমাত্র দুর্বল হইনাই, যদিও আমরা পরিস্থিতির শিকার হয়ে অনেকবার অনেক কাছাকাছি এসেছি।

আমি কখনো আমার প্রতি তোমার দুর্বলতাটাকে সুযোগ হিসেবেও গ্রহন করি নাই। আমি যেদিন থেকে বুঝতে পেরেছি আমার প্রতি তোমার দুর্বলতার কথা সেদিন থেকেই তোমাকে বাস্তবতা বুঝানোর চেষ্টা করেছি, অনেকবার, অসংখ্যবার। তুমিও প্রত্যেকবার বুঝেছো, তার পরেও কেন তুমি বুঝেও বুঝো না, কেন পারো না নিজেকে স্থির রাখতে। আমার দিকটা কি তুমি একবারও ভেবে দেখবে না? আমিও একজন জলজ্যান্ত মানুষ। আমি আর কতক্ষন পারি, নিজেকে ঠিক রাখতে, যদি অন্য দিক থেকে একতরফা ভাবে চাপ আসতেই থাকে, আসতেই থাকে, প্রতিটি মুহুর্তে, প্রতিটি ক্ষণে।

আজ আমি আর পারছি না আর আগের মত নিজেকে শক্ত রাখতে। জানি না, কতক্ষনই বা আর পারবো। প্লিজ, তুমি একটি বারের জন্য, একটু আমাকে বোঝ? তোমাকে বলেছিলাম, আমি পারি না মানুষের মনে কষ্ট দিতে। চাই না আমার কোন ব্যবহার দ্বারা কেউ কোন কষ্ট পাক, বিন্দুমাত্রও। তবে সেটাই কি আমার জন্য কাল হয়ে দাড়ালো? কেন তুমি আমার এই দুর্বল অবস্থানটার সুযোগ নিলে? তুমি আমাকে যেমনটি চাও, ঠিক তেমনটি কিন্তু আমিও চাই।

আমিও চাই তোমাকে চিরদিনের জন্য আপন করে পেতে। কিন্তু জীবনের কঠিন বাস্তবতা যে আমাদের সামনে। আর তোমাকে এখন থামতে হবে। টেনে ধরতে হবে তোমার আবেগের রাশ। গতদিনই আমি এটা প্রথম টের পেলাম।

আমি আমার কাজের ফাকে ল্যাপ্টপের স্ক্রীনে তোমার ছবিগুলো মনের অজান্তেই দেখা শুরু করলাম। আবার ৩-৪টা দেখেই সাথে সাথে নিজেকে প্রশ্ন করলাম এ আমি কি করছি? বন্ধ করে ফেললাম। কেন জানি আমিও ধীরে ধীরে তোমার প্রতি ইমোশলাম হয়ে পড়ছি, হয়তোবা। এটা ছিলো অনেকখানি তারই আভাস। সাথে সাথে তোমাকে ফোন করে বললাম, একটা কথা ছিল।

-কি কথা? -আমি কিছু সমস্যায় পড়ছি লাস্ট কয়েকদিন ধরে! -কি সমস্যা? -(চুপ)! -কোন ধরনের সমস্যা? -তোমার রিলেটেড সমস্যা! -বলে ফেল! -এখন না, রাতে অফিস থেকে ফেরার সময় বলবো! রাত পার হয়ে সকাল, সকাল থেকে বিকাল, আবার রাত। হয়না আর তোমাকে বলা, বলিই বা কিভাবে? জানি, উপায়টা খুজতে হবে আমাকেই। যে করেই হোক, যে ভাবেই হোক। কারন, আমাকে যে অনেক দূরে যেতে হবে, অনেক পথ অতিক্রম করতে হবে। আমি দেশের আর দশটা সাধারন ছেলের মত জীবনের রাশ এখনই টেনে ধরতে চাই না।

চাই না যাত্রা শুরুর আগেই যাত্রা বিরতি দিতে। চাই না ক্ষণিক সুখের মোহে জীবনটাকে বরবাদ করে দীর্ঘস্থায়ী সুখটাকে চিরতরে ধূলিসাৎ করতে।
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.