আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছোট্ট মেধাবী

প্রতিবিম্ব এর মত সবকিছু, কিছুটা বাস্তব আবার কিছুটা

প্রতিদিনের সাথে আজকের সকালটার বিশেষ পার্থক্য আছে। কারন আজ আদিব প্রাইমারীস্কুল থেকে হাইস্কুলে যাবে, তার চেয়েও বড়কথা নতুন স্কুলটা শহরের সবচেয়ে প্রসিদ্ধ নামিদামি বিদ্যালয়। ছোটবেলা থেকে তার মা বাবা এই স্কুল এর স্বপ্ন তাকে দেখিয়েছে, এখানে সব মেধাবীরা এই ছোট বয়সে অনেক যুদ্ধ করে তারপরে আসে। আজ সকালে সবার আগে সে ঘুম থেকে উঠেছে, প্রধান আগ্রহ নতুন কেনা এপেক্স এর জুতো। নাশতা সেরে তার মামুনি আদর করে বুজিয়ে বলল ক্লাশে যেয়ে কি কি করতে হবে।

সে আস্তে আস্তে বলল মামুনি শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে, টাই বেশি জোরে আটকে গেছে গলায়। গলার বাধন হালকা করে গাড়িতে গিয়ে বসলো আদিব। স্কুলে ঢুকে একটু একটু ভয় ভয় করতে থাকে। এত বড় খেলার মাঠ, কত স্টুডেন্ট, বিল্ডিং এর একমাথা থেকে আর এক প্রান্ত দেখতে পাচ্ছে না! তাদের ড্রাইভার তাকে ক্লাশ রুম পর্যন্ত দিয়ে গেল। একটা ফাকা জায়গা দেখে চুপচাপ বসে পড়ল।

কিছুক্ষনের মধ্যে ক্লাশ শুরু হবে, ভিতরে ভিতের ভীষণ উত্তেজিত। কিন্তু বিরক্ত লাগছে পাশে বসা ছেলেটাকে দেখে। ময়লা মলিন একটা শার্ট পরা, জটলা চুলে একটু পরপর হাত ঢুকিয়ে মাথা চুলকাচ্ছে, এই জায়গাতে একদম বেমানান। স্যার চলে এসেছেন, একে একে সবার রোল ডাকা শুরু করলেন। আদিবের অবস্থান ৯ নম্বরে, এতগুলো ছেলের মাঝে সে নবম হয়েছে।

৬ চলে আসলে সে সোজা হয়ে প্রস্তুত হল। কিন্তু স্যার রোল ৭ বললে দুইজন একসাথে ইয়েস সার বলল। কি ব্যাপার! রোল ৭, আবরার চৌধুরী। একজন ইয়েস সার বলে বসে পরলো। সার আমিতো ৭ম হইছি, এই যে রেজাল্টের কাগজ।

আমার নাম... কি নাম তোমার? মোহাম্মাদ ইয়াসিন। তোমার ভর্তির ফি এর কাগজ আমার হাতে আসে নাই। তাই তোমার নাম লিখা হয় নাই। তুমি হেডমাষ্টার স্যারের রুমে যাও, ফি এর কাগজ না পাওয়া পর্যন্ত আমি নাম তুলতে পারব না। জীর্ণ ছেলেটা মাথা নিচু করে চুপচাপ বের হয়ে গেল।

আদিব কিছুই বুঝতে পারছে না। রোল ৮......রোল নাম্বার ৮...। ।


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.