আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দুনিয়াতে সবচেয়ে ছোট্ট দুটি শব্দ হ্যা এবং না, ।। (ছোট্ট গল্প)।



দুনিয়াতে সবচেয়ে ছোট্ট দুটি শব্দ হ্যা এবং না, অথচ এই দুটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত দিতেই আমাদের হিমশিম খেতে হয়........ এই শব্দ দুটির ভিতর দিয়েই আমাকে একবার যেতে হয়েছিল। : বৎস, তোমাকে আমি কিছু প্রশ্ন করব, তুমি হ্যা এবং না-তে উত্তর দিবার চেষ্টা করবা, অহেতুক উত্তরকে টানিয়া দীর্ঘায়িত করার চেষ্টা করিবা না। : আব্বাজান, পৃথিবীর বেশির ভাগ প্রশ্নের উত্তর আছে যাহা হ্যা এবং না-তে দেওয়া যায় না, আমার ক্ষেত্রে তেমন হইলে আমি কি করিব। : বৎস, তুমি চালাকির চেষ্টা করিতেছ, যেখানে চালাকির মতো বিষয় থাকে, বুঝিতে হইবে সেখানে আর বিশ্বাস থাকে না। অবিশ্বাসের জন্ম নিতে থাকে।

: না, মানে আব্বাজান, আমি কোন চালাকি করতে চাইছিনা, আর তাছাড়া আমাকে ভুল বুঝঝেনা, । । আমি শুধু বলতে চাইছিলাম...... : বৎস, দুনিয়াতে তোমার আগে আমি আছিয়াছি, দুনিয়ার হালচাল আমাকে আর শিখাতে যাইও না। : আব্বাজান-ধরুন আমাকে আপনি প্রশ্ন করলেন, বৎস তুমি কোথায় গিয়েছিলে, এখন আমি যদি বলি হ্যা অথবা না, তাহলে আপনি কি বুঝবেন। : বৎস. তোমাকে প্রশ্ন করার আগেই তুমি কিভাবে বুঝলা আমি এই ধরনের প্রশ্ন করব।

... এতে কি বুঝা যায় না তোমার মনে দূর্বলতা রইয়াছে। । : আব্বাজান কি যে বলেন, আমার মনে দূর্বলতা থাকবো ক্যান, : বৎস,, অবশ্যই তোমার মনে দূর্বলতা আছে, দূর্বলতা না থাকলে তুমি এত প্যাচাতে যাইতা না, আমি যেহেতু বলিয়াছি, তুমি হ্যা এবং না -তে উত্তর দিবা, তোমার বুঝা দরকার ছিল, আমি তোমাকে সেই ধরনেরই প্রশ্ন করব. : তারপরও আব্বাজান, একটা ব্যাপার স্যাপার ও থাকতে পারে। : বৎস, তুমি আমার সামনে থেকে এখন যাও, তোমার সাথে আমার কথা বলতে ইচ্ছা করিতেছে না। যে ছেলে হ্যা বা না'র মতো উত্তর নিয়া এত মারপ্যাচ করে তার মনে যে কত কুটিলতায় ভরা তা আর বুঝার কিছু নাই।

: ;(আব্বাজান কিছুতেই বুঝিতে চাইলেনা না. হ্যা ও না দিয়া উত্তর দেওয়া যে কত কঠিন বিষয়...)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।