আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রোগের নাম “ভাল লাগে না”

কিছু লেখার নাই

ভাল লাগে না…এই কথাটি জিবনে একবার বলে নাই এমন মানুষ পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। ভাল লাগা বা না লাগা কিসের উপর নিরভর করে তা বলা সত্যি কঠিন কিন্তু ভাল লাগাতে আমরা সফল নই। আমাদের কি কি ভাল লাগে না তার হিসেব আমরা নিজেরাই জানি না। এমন হাজার ছাত্র আছে যাদের পরতে ভাল লাগে না কিন্তু তারা ছাত্র, এমন অনেক চাকুরিজিবি আছে যাদের চাকুরি ভাল লাগে না কিন্তু তারা চাকুরিজিবি আবার এমন অনেক মানুশ আছে যারা তার সংসার নিয়ে ভাল নাই কিন্তু তারা সংসারি। নদির এপার থেকে ওপার অনেক সবুজ মনে হয় আর মানুষ অন্য মানুষের সুখ বেশি বলে মনে করে।

ক্লাসে যখন শিক্ষক জানতে চায় পরাশুনা কেমন লাগে তখন সবার উত্তর ভাল লাগে না খেলতে ভাল লাগে। আবার এই ছাত্রদের যদি সারাদিন রোদে খেলতে লাগানো হয় তাহলে তাদের এই খেলাও ভাল লাগে না। খেলা বা পড়া দোষ কারও না দোষ আমাদের কারন আমাদের ভাল লাগে না। মানুষের শিশু কালে ভাল লাগে না পড়া আবার অনেক সময় খেলা। এবার আসা যাক যুবকদের কথায়।

এদের আচরণ আরও জটিল। এদের কোন কিছুই বেশি দিন ভাল লাগে না। ধরা যাক এক যুবকের গিটার ভাল লাগে কিন্তু তার কত দিন এই ভাল লাগা থাকে বলা কঠিন। একজন ছেলে অথবা একজন মেয়ে যখন প্রথম প্রথম প্রেম করে তখন সব ভাল লাগে এমন কি মিথ্যা ভালবাসি বলাটাও অনেক ভাল লাগে। কিছুদিন পর সব কিছুই আবার ভাল লাগে না।

এই সময় অনেকের প্রেম ভাল না লাগা রোগে আক্রান্ত। কোন কারন ছারাই বেশি দিন প্রেম ভাল লাগে না শুধু মাথার মাঝে বাজে “ভালবাশার কস কসানি ভাল লাগে না আর, তরে নিয়া সপ্ন দেখার পরছে ঠ্যাকা কার” সংশার জিবনেও মানুশের এই রোগ আরও জটিল। মানুশ তার বউ বা সামী নিয়ে এক বিচিত্র কারনে ভাল থাকে না। কেন জানি নিজের বউ বা সামীর চেয়ে অন্নের বউ বা সামীকে বেশি ভাল মনে হয়। সংশার ভাল লাগে না আর এমন কেউ কি আছে যে সংশার ছারা ভাল আছে?তবে কেন সংশার জীবন নিয়ে আমরা ভাল নাই।

আসলে ভাল থাকা কি বার এ গিয়ে বিদেশি মদ খাওয়া নাকি অনেক অনেক টাকার কেনাকাতা করা? বাস্তবতা অনেক মানুষকে রাস্তায় দাড়িয়ে হাত পেতে টাকা চাইতে আবার অনেক মানুষ্ কে হাত দিয়ে টাকা দিতে দেয় কিন্তু তাদের কেও কি ভাল আছে? কেমন আছেন এই প্রস্নর উত্তরে আপনি সারা জীবন বলেছেন – ভাল আছি। তাহলে কেন ভাল লাগে না, ভাল লাগে না এই কথাটা মাথায় নিয়ে ঘুরছেন। আপনি যখন ভাল লাগে না ভাল লাগে না করছেন তখন হয়ত অনেক অনেক মানষ আছে জারা ক্ষুদায় কষ্ট পাচ্ছে অনেক মা হয়ত তার শিশু্র লাশ নিয়ে আছে অথবা কেউ হয়ত বেওয়ারিশ লাশ হয়ে মরগে পরে আছে……। । তারপরও আমাদের ভাল লাগে না…।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.