আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্পর্শক পুরুষ, স্পর্শিত নারী এবং কিছু স্পর্শকাতর বিষয়

লড়াই যেন ঝড়ের রাতে হেরে গেলেও বাঁচতে শেখা...
প্রচন্ড ভীড়ের বাস....হয়ত মুগদা, বাসাবো থেকে রামপুরা বাড্ডা হয়ে উত্তরা যাবে। বা অন্য কোনো রুটে। বাসের সামনের তিনটি সীট মহিলাদের জন্যে সংরক্ষিত হলেও বাসে মহিলাদের সংখ্যা তারচেয়ে অনেক বেশী। অতএব দাড়িয়ে আছেন অনেকেই। যাদের পাশে দাড়িয়ে আছেন আরও অনেক পুরুষ।

ভারতীয় বিভিন্ন কৌতুকে ট্রামের মধ্যে এই ধরনের ভীড়ে পারষ্পারিক স্পর্শময়তার যে মজার (!) কাহিনী আমরা পড়ি তার মহড়া আমাদের বাসগুলোতেও হয়। [ ব্যাখ্যা করার প্রয়োজন বোধ করছি না কারন কি ঘটে তা আমরা সবাই ই জানি]। তাই মাঝেমধ্যে কাউকে হয়তো ঝগড়া করতে দেখি বাসে কোন পুরুষকে বলছেন ঠিকঠাক দাড়ানোর জন্যে। আরে সেই ব্যাক্তিটি তো ঠিক ভাবেই দাড়িয়েছেন মানে তিনি যেভাবে দাড়াতে তিনি চেয়েছেন আরকি। এরই মধ্যে আবার কেই হয়ত সামনের স্টপে নামবেন।

যে প্রক্রিয়ায় তিনি ভীড় ঠেলে বের হবেন তা হয়ত ভালো পুরুষেরা (!!!!) করেন না। বলে রাখা ভালো আমিও মহাপুরুষ বা ভদ্রলোকের মধ্যে পড়িনা। স্পর্শিত সেই নারীটির হয়ত কিছুই বলার থাকে না। আবার অনেকে বলেন তারা নাকি কিছু বলতে চান না। তারা বিষয়টিকে এনজয় করেন।

যারা বলেন এটা তাদের ব্যাপার। আমি কোন রেজুলেশন দিতে চাই না। ভীড়ের লোকাল বাস থেকে আসা যাক রিকশায় ভ্রমনে। এখানে পাশের পুরুষটি অপরিচিত নয়। আমার এক বান্ধবী এমই এক রিকশা ভ্রমনে আমাকে জিজ্ঞেসা করেছিলো আমি দিন দিন এতো মোটা হচ্ছি কেন।

উত্তরে বলেছিলাম, মোটা হবার সুবিধা হচ্ছে কোন মেয়ের সাথে রিকশায় উঠলে বেশ ঘেষাঘেষি করেই বসা যায়। প্রচন্ড আমুদের বিষয়। বান্ধবীটি মজা ভেবে উড়িয়ে দিলো আরেকটি সত্যকে। পৌরুষিক সত্য। আবার বাস,ট্রেন ইস্যু।

তবে এবারেরটা ইন্টার সিটি। একলা কোন পুরুষ বাসে ট্রেনে উঠেছেন এবং মনে মনে পাশে কোন সুন্দরী সহযাত্রী আশা করেননি এমনটা দুর্লভ। অন্তত আমি সেই দুর্লভ দলের না। কিন্তু ভাগ্য এদের সাথে খুব একটা সমীহ হয় না। আমার অধিকাংশ একলা ভ্রমনের সঙ্গী আঙ্কেল বয়সী উপদেশ প্রদানকারী শ্রেনী।

যাদের ভাগ্য সুপ্রসন্ন কিন্তু তারা কথা বার্তা চালাতে পারেনি তাদের সহযাত্রীদের সাথে তারা কেউ কেউ আবার আশ্রয় নেন স্পর্শ-আনন্দের কাছে। ব্রমনের সময়ে ঘুমানো যেহেতু অপরাধ নয় তাই ঘুমের ভানটি( অথবা সত্যিকারের ঘুম) বেশ কাজে দেয়। কি কাজ করে ব্লগাররা আশা করি জানেন। ভীড় সবসময় স্পর্শ-আনন্দের তীর্থস্থান। খুব ভীড়ের যায়গা গুলোতে কিছু মানুষ প্রায়ই জুটে যায় যারা ঘুরে ঘুরে এই স্পর্শ আনন্দ লাভ করেন।

ছুটির দিনের বানিজ্য মেলার স্বন্ধ্যা, ঈদের গাউসিয়া মার্কেট কিংবা প্যাসেঞ্জার লিফট। আপনি হয়ত অভিজ্ঞতা পাননি, আমি পেয়েছি। আমরা পেয়েছি। যাদের অন্তরটা কৃষ্ণকায় বলে আপনি দাবি করেন। ফ্যান্টাসি কিংডমের ওয়াটটার ওয়ার্ল্ড গিয়েছেন? ওগুলো এখনো এই লেখায় উল্লেখিত আম ঘটনার পর্যায়ে আসেনি।

যেমনটি আসেসি কোন সাধারন লাইনে আপনার সামনে দাড়ানো নারীটি এবং আপনি। আমরা মহাপুরুষ হতে পারিনি তবে পেরেছি পুরুষ হতে। ধারন করেছি আদি অকৃত্রিম পৌরুষিক সত্য।
 


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.