আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলোমেলো আমার ভাবনাগুলো. . .। -কেউ একটু সাজিয়ে-গুছিয়ে দেন।

ব্লাডঃ এবি নেগেটিভ।

পাশের বাড়ীর একজন লোক। কোন এক প্রয়োজনে তার গঞ্জে যাওয়া দরকার। কয়েক ক্রোশ দূরে, তিনি একদিন গঞ্জের দিকে রওয়ানা হলেন। যাচ্ছেন তো যাচ্ছেনই।

কিছুদূর যাওয়ার পর, গঞ্জের কাছাকাছি গিয়ে দেখতে পেলেন এদিকের মানুষ গুলি বেশ ছিমছাম। এদের দেখতে বেশ পরিপাটি। স্মার্ট। গায়ের বেষ-ভূষাও যুঁৎসই। এবার তিনি নিজেকে লজ্জিত ভাবলেন।

গাঁয়ের, পাশের বাড়ীর লোকটি নিজেকে ছোট ভাবলেন। তাই ভাবলেন নিজেকে একটু স্মার্ট হওয়া দরকার। নিজের মধ্যে একটু শহুরে ভাব না থাকলে শহরে গেলে মানাবেনা আমাকে, সবাই আমাকে ক্ষেত ভাববে। নিজেকে তাই একটু ফিটফাট রাখতে মাথাটা চিরুনী করে, গামছাটা গলায় পেঁচিয়ে, শার্টের নিচটা ঢুকিয়ে দিলেন লুঙ্গীটার ভিতরে (বাংলাদেশের একটি বিশেষ নৃতাত্ত্বিক গোষ্ঠিকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করছি, লুঙ্গীর ভিতরে শার্ট ঢুকিয়ে পোষাক পড়া যাঁদের রীতি)। যাক্ এবার নিজেকে কিছুটা হলেও আপটুডেট করতে পেরেছি।

এবার আর কেউ ক্ষেত বলতে পারবেনা। মনের সুখে চলে গেলেন শহরে। শহরে এসে লোকটি ভ্যাবাচ্যাকা। এই শহরের মানুষদের পোষাক-আষাক দেখে লোকটা এবার কী করবে বুঝতে পারে না। আধুনিক হতে গিয়ে লোকটি অতি আধুনিক হয়ে গেছেন, অত্যাধুনিক -এটা আর তার বুঝতে বাকী রইলনা।

এবার তিনি বুঝলেন আমি আগে যা ছিলাম তা-ই আমার জন্য ভালো ছিলো। আমার আগের সাজ পোষাকই আমার জন্য ছিল সাধারণ আর যথেষ্ট মডার্ণ। অন্যের দেখা-দেখি আমার মডার্ণ সাজতে যাওয়াটা নিতান্তই বোকামী। কী ব্যক্তি জীবন, কী সামাজিক জীবন, কিংবা রাষ্ট্রীয় জীবনের সর্বত্রই আমরা উপরোক্ত উপমিত লোকটার ন্যায় আধুনিক থেকে আধুনিকতর হচ্ছি- হতে চাচ্ছি। আধুনিক হতে চাচ্ছি ভালো কথা।

আমরা কেউ পিছিয়ে থাকতে চাইনা। কাউরো আজ্ঞাবহ হয়ে থাকতে চাইনা। কিন্তু সেটা অন্যের দেখাদেখি কেন ? নিজের, নিজেদের স্বত্বাকে বিলিয়ে দিয়ে কেন ? সেদিন বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগীতায় বড় দলের ৮০০ মিঃ দৌঁড়ের ১ম, ২য়, ৩য় স্থান নির্ধারণের দায়িত্বে ছিলেন ৩ জন শিক্ষক। দৌঁড়বিদদের পূরো মাঠ ৬ চক্র দৌঁড়াতে হবে। ১ম স্থান অধিকারীকে বাদদিয়েই বিচারকগণ ১ম, ২য়, ৩য় স্থান নির্ধারণে ব্যস্ত।

দর্শকগণ হৈচৈ করে উঠলেন। দেখাগেল আসল ১ম স্থান অধিকারী সবার পিছনে। কারণ, সে অনেক আগেই ৫ চক্র শেষ করে ৬ চক্রের সময় অন্য সবার পিছনে। আর অন্যদের হয়েছে সবেমাত্র ৫ চক্র। অর্থাৎ ১ম স্থান অধিকারী চোখের দৃষ্টিতে সবার পিছনে, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সে-ই সবার আগে।

আমাদের জীবনের এমন অনেক কিছু এই সময়ে ঘটে যাচ্ছে যা- আমাদের কাছে নতুন মনে হলেও আমরা এই সংস্কৃতিগুলো যাদের কাছ থেকে ধার নিচ্ছি, যাদের কাছে শিখছি, যাদেরকে অন্ধ অনুকরণ-অনুসরণ করছি তাদের কাছে সেটা ব্যাকডেটেড। অন্ততঃ আমার কাছে তা-ই মনে হয়। চোখের দৃষ্টিতে তাদের সংস্কৃতি আধুনিক দেখালেও প্রকৃতপক্ষে তারা কতটা অগ্রগামী, কতটা পিছিয়ে তা ভাববার বিষয়। পশ্চিমা সংস্কৃতিতে এক সময় যৌথ পরিবার প্রথা ভেঙ্গে শুরু হয় একক পরিবার প্রথা। আর তা দেখে আমরাও শুরু করি।

দেখছি আজ তারা আবার যৌথ পরিবারে কথা ভাবছে। মাটি পোড়ালে ইট হয়, কিন্তু ইট পোড়ালে আর মাটি হয়না। বিয়ে বহির্ভূত তথা কথিত লিভটুগেদারে ফায়দা নাই এটা তারা এখন বুঝে গেছে। আর আমরা কেবল তার চর্চা শুরু করছি। শিখতেছি।

আজকের দিনে তাদের পোষাক ছোট হতে হতে প্রায় নাই এর কোঠায় এসে ঠেকেছে। আর তা দেখে আমরাও ওদের সাথে নেমেছি প্রতিযোগীতায়। অথচ শুনেছি মানুষের সভ্যতার প্রথম নিদর্শন, মাপকাঠি নাকী পোষাক আর আগুণের ব্যবহারে। জানিনা এদের মাপকাঠি কিসে। জানি, আমার এই লাইন দু’টাতে ব্লগের অনেকেরই আপত্তি আসবে।

কিন্তু এ-ও জানি, এদের কাছে আধুনিকতাটা মুখ্য না। মুখ্য হচ্ছে ভোগ। একটা সময় রাস্তার ডানে-বামে চোখে পড়তো- “দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত, "একভাগ শোষিতের আর একভাগ শাষকের”। সত্যিই দেশ আজ দুই ভাগে বিভক্ত। তবে পূর্বোক্ত দুইভাগে নয়।

আজকের দু’টি ভাগ হচ্ছে ভারত আর পাকিস্তান। ব্লগটাও কয়েকটি ভাগে বিভক্ত হলেও মূলতঃ দু’টি মেরুতে বিভক্ত। যা নিয়ে অনেককেই উচ্চবাচ্য করতে দেখি। দেখি কেউ একজন গুরুত্বপূর্ণ একটি লেখা পোস্ট করে ক্ষুধার্ত কুকুরের হাড্ডি পাহারা দে’য়ার মতো বসে আছেন একটামাত্র মন্তব্য পাওয়ার জন্য। অনেককেই দেখি মন্তব্য নয়, শুধুমাত্র তার লেখাটা পাঠককে জোর করে পড়াবার জন্য একাধিকবার রি-পোস্ট করেন।

অবশ্য আমি নিজেও প্রায়-ই এই কাজটা করি। অন্যদিকে কেউ কেউ তার “বেগুনের চচ্চরীতে লবণ বেশী হয়েছে” জাতীয় পোস্ট দিয়েছেন, তার পোস্টে মন্তব্যের বন্যা বয়ে যায়। ব্লগের এই ব্যপারটা দেখে ভালোই লাগে। অন্ততঃ এই একটি জায়গায় আমরা সবাই এক কাতারে দাঁড়াতে পারি। ছাগু, পাগু, হাগু, ভাদা, ফাকি, আস্তিক, নাস্তিক সব্বাই এক প্লাটফর্মে জড়ো হই।

যদিও আমরা এটা করি একান্তই নিজেদের জন্য। যেমনটি জড়ো হই আমরা আমাদের প্রিয় পহেলা বৈশাখে। কাল ভোরে উঠে যদি দেখি বাংলাদেশটাকে ভারত দখল করে নিয়েছে, আমার তাতে কিছুই এসে যায়না। আমার তাতে কিছুই করার নাই। কারন, আমি কিচ্ছু করতে পারবোনা।

সারা বাংলাদেশ যদি ফাকিস্থান, আপঘানিস্থান হয়ে যায় তাতে আমি বিন্দুমাত্র বিচলিত হবোনা। আমার বিচলিত হওয়ার কোন কাজ নাই। তবে আমি ছোট্ট একটা বিষয়ে চিন্তিত হয়ে পড়ি। আমার অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে এই ভেবে যে, স্বাধীনতার ৪০ বৎসর গত হতে চললো। মোটামুটি এরশাদের আমল থেকে দুই বু’জানের আমলই দেখলাম।

এবার বুঝি দেখতে হয় ফুলফিল গো.আ. আমল। ভাই, চোখ বাঁকা কইরেন না। একেবারে অযৌক্তিক বলিনাই। নাদানের চিন্তাভাবনায় তাই কয়। স্বাধীনতার পরপরই যাদের নিশ্চিহ্ন হবার কথা, আবর্জনার, নোংরা কীট গুলা, যাদের চিহ্নমাত্র সমূলে নিঃশেষ করার কথা ভাবছেন আজ ৪০ বৎসর পর, একবার ভাবেনতো, তা কি পারবেন ? কীভাবে পারবেন ? কাদেরকে নিয়ে ? কার উপর ভরসা করে ? যাদের পারার কথা ছিলো তারা আজ কোন দিকে যাচ্ছে ? তরুণ প্রজন্মের উপরইবা ভরসা রাখেন কী করে ? অথচ ময়লাগুলো কিন্তু ভিতরে ভিতরে ঠিকই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে- সংগঠিত হয়েছে।

এমনই প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে, স্বাধীনতার ৩০/৩৫ বছরের মধ্যেই তাদের গাড়ীতে কিন্তু পত পত করে পতাকা উড়িয়েছে। হোক সে যে কোন ভাবে। আগামী ১৫-২০-২৫ বছরে তারা দেশের শাষনভার হাতে নিবেনা তার গ্যারান্টি কে দেয় ? আজ যদি ক্ষেমতা ছাড়তে হয় তাহলে যাবার সময় আপনাদের হাতে পূঁজি কী থাকবে, বুবুজান ? না। হাতে হারিকেন থাকবেনা। হাতে থাকবে নাকিকান্না।

আবার ক্ষেমতায় আসলে হেন বিচার করবো, তেন বিচার করবো জাতীয় মায়াকান্না। আর থাকবে চুরি-চুট্টামী করা, লুটতরাজ করা কিছু টাকা পয়সা। যা আগের বু’জানেরও ছিলো, যা দিয়ে এই ৫ বছর হুমকী-ধামকী দিয়া গেল। আবর্জনার কীটগুলার কিন্তু চুরি-ছেঁচড়ামী করা লাগবে না। দেখেছি- ওদের সেই অভ্যাসও নাই, হাত-পা’ কাঁপে।

তা- না হলে গত টার্মে পাশের জন এখনোও জেলে, কিন্তু ওদের একজনেরও টিকিটি পর্যন্ত ছুঁতে দেখলামনা। চুরি-ছেঁচড়ামীর অভ্যাস থাকবেই বা কেন ? আপনি নিজে দেখেন না। চোখ-কান বন্ধ নাকী ? কী নেই ওদের ? ওদের কি অভাব না-কি, যে ওদের চুরি-ছেঁচড়ামী করতে হবে ? সারাদেশ জুড়ে- ব্যাংক, বীমা প্রতিষ্ঠান, অত্যাধুনিক হাসপাতাল, হাউজিং এস্টেট কী নেই এদের ? অতি সুক্ষ্ম কৌশলে, কাজ করার জন্য যায়গামতো ওদের নিজেদের লোকগুলাও কিন্তু ঠিকই নিয়োগও দিয়ে গেছে। অথচ এইসব নিয়ন্ত্রণ না করে বাআল সরকার কচুর ৪/৫ টারে ধরে বিচারের নামে জেলে পূরলেই কি ল্যাঠা চুকে যাবে ? না যাবেনা। অতএব হিসাব সোজা।

আম্বা-বিম্পি ছাইড়া যাইবা কই ? রক্তের গরমে বলবা আর যেখানেই যাই অন্ততঃ নোংরা নর্দমায় গিয়ে পড়বনা। ঠিকাছে, দেখে নেব। তুমি, তোমার প্রজন্ম না আসলা ত্যাক্ত-বিরক্ত হয়ে একদিন তোমার পরবর্তী প্রজন্ম ঠিকই আসবে। অচিরেই ওরা ক্ষেমতায় বসবে। ওরা সেই সময়টার অপেক্ষাতেই আছে।

এই নাদান ভেবে কয়, সেদিন বুঝি বেশী দূরে নয়। তা- না হলে এত চাপের মধ্যেও ওরা কোন না কোন ভাবে ঠিকই টিকে আছে। সপরিবারে বংশ বিস্তার করে চলেছে। এই অবস্থা আম্বা, বিম্পি কাউরো হলে এতদিন হয়তো তাদের খোঁজই পাওয়া যেতনা ওষুধ খাওয়ার জন্যও। ঠ্যাং ছেড়ে লাঠি ধরে পরে কিন্তু আর টাইম পাবানা।

তাই বলি কী আম্বা বিম্পি যাই হও- ভিক্ষা ছাড়, আগে কুত্তা সামলাও। সারা পৃথিবীর মানুষ যদি নাস্তিক হয়ে যায় তাতে আমার যেমন কোন লাভ নাই- লোকশানও নাই। তেমনি সারা দুনিয়ার শুদ্ধ সবাই এক কাতারে আস্তিক কিংবা মুসলমান হয়ে গেলেও আমার ঠোঁটের কোনে এক ফোঁটা হাসির ঝলক দেখা দিবেনা। বরং হাসির খোরাক হয় কিছু পৈত্রিক সূত্রের মুসলমানদের কিছু কিছু কর্মকাণ্ড দেখে, যারা . . .। আচ্ছা, আমার স্ত্রীকেতো আদর-সোহাগ জাতীয় যা ইচ্ছা তা করতেই পারি না-কি ? তো আমি যদি কোনরাতে আমার স্ত্রীকে সারারাত ধরে আদর সোহাগ করে চুমুতে চুমুতে ভরিয়ে দেই।

তাহলে কি কোন সমস্যা আছে কাউরো কাছে ? বিশেষ করে মুসলমানদের কাছে ? মনে হয় কোন সমস্যাই নাই। যাক্ বাঁচা গেল! আচ্ছা, আদর করতে করতে- তুমি আমার সোনার চাঁন- পিতলা ঘুঘু, তুমি আমার লাল টুকটুকী ইত্যাদি ইত্যাদি বলাতেও মনে হয় কোন সমস্যা নাই। কিন্তু যদি সারারাত ধরে এসব বলতে বলতে ভোর বেলায় অতি আদরে, আহ্লাদে গদগদ হয়ে স্ত্রীকে বলি- তুমি আমার পরানের আম্মাগো-মা। যারা কদাচিৎ জুম্মার নামাজে যান এমন মুসলমানও এবার আমাকে কী বলবেন ? যারা কিছু বলবেন না তাদের ব্যপারে পরে আসছি। যে ইসলামের ভিত্তিতে বিয়ে করলেন, যে ইসলামের কারণেই এই সামান্য-ছোট্ট কথাটা বলাতে আপনার/আমার স্ত্রী হারাম হয়ে যায়, সেই ইসলামের গণ্ডিতে থেকে আপনি মঙ্গল প্রদ্বীপ জ্বালিয়ে, পূজার ঢাক বাজিয়ে, মঙ্গল প্রতীক নিয়ে মঙ্গল শোভাযাত্রায় নাচবেন, আবার নিজেকে মুসলমানও দাবী করবেন ? ইসলাম কী ছেলের হাতের মোয়া ? তারচে’ আপনি ছেড়ে দেন।

আপনাকে কেউ আটকাবেনা। অযথা কিছু লোককে দোষারোপ করতে যাওয়ার দরকার কী ? মোল্লাদেরও খেয়ে দেয়ে কাজ নাই, তারা আসে আমাদেরকে ইসলামের দাওয়াত দিতে। আরে ব্যাটা উল্লুক কোথাকার ! তুমি নিজে ভালো কাজগুলি কর, ভালো চালচলন দেখাও। ইসলামের ভালো দিকগুলো তুলে ধর যা দৈনন্দিন ব্যক্তি, সামাজিক জীবনে অত্যাবশ্যক। তা রেখে সারদিন বকবক কর জান্নাত-জাহান্নাম নিয়ে, মৃত্যুর পরের সময় নিয়ে।

ঐটাতো অনেক পরের কথা। বেঁচে থাকতে কী হবে, আগে সেই কথা বল। ইসলামী শরিয়ত মোতাবেক চল অন্যের কাছে তোমাকে যাওয়া লাগবে কেন ? এই আধুনিক যুগে, প্রযুক্তির যুগে তোমার কাছেই তারা আসবে । ভাই নাস্তিকেরা, আপনারা মুক্তবুদ্ধির চর্চা করবেন ভালো কথা। আমরাও কিছু শিখি আপনাদের কাছ থেকে।

(এযাবত কী শিখাইছেন আর কী শিখাচ্ছেন-শিখাতে চাচ্ছেন তা কিছুটা হলেও আত্মস্থ করেছি) মুক্তবুদ্ধির চর্চা মানেই দেখি আপনাদের প্রতিপক্ষ থাকে ইসলাম-মুসলমান। আস্তিক মানে কি খালী মুসলমানদেরকেই বুঝেন আপনারা ? আস্তিক মানেতো যারা ভগবান, ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা, গড ইত্যাদিতে বিশ্বাস করে তারাই। আর আপনারা তাদের বিপরীত। যারা ভগবান, ঈশ্বর, সৃষ্টিকর্তা, গড ইত্যাদিতে বিশ্বাসতো না-ই, অস্তিত্বও স্বীকার করেন না। তাহলে হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃষ্টান ধর্মাবলম্বীরা কি আস্তিক না ? ওদের ধর্মগ্রন্থগুলোতে কোন সংকীর্ণতা পাননি আজ পর্যন্তও ? যত সংর্কীর্ণতা সব কোরআন আর হাদীসেই পান ? যত আক্রমণ, রাগ-ক্রোধ সব ইসলাম আর মুসলমানদের উপরেইতো দেখি।

এটা থেকে আমার ধারণা- আপনারা যতটা সংকীণর্, আপনাদের মানসিকতা আরোও বেশী সংকীর্ণ। আমি ভাই নাস্তিক না। কট্টর মুসলিমও না। তবে ঘোরতর আস্তিক। আপনাদের যদি এত লাফালাফি- ফালাফালি তবে গড়ে ফেলুননা একটা নাস্তিক ভূবণ।

আমি সেখানকার বাসিন্দা হই। যেখানে কোন আস্তিক থাকবেনা। চোখের সামনে কাউরো দাফন-কাফন, সৎকার হবেনা। শুনতে হবেনা কোন আযান- উলুধ্বনি। যদিও উলুধ্বনিটা আপনার শুনতেই চান।

পারবেন কি গড়তে এমন ভূবণ ? না পারলেন, অন্ততঃ নিজের পরিবারের দু’চার জন সদস্যকেই নাহয় নাস্তিক হিসেবে দেখান না ! ভাই নাস্তিকরা, সারা পৃথিবীর কোরআন- হাদীস বেটে খাওয়ালেও যেমন আপনি ঈমান আনবেন না- অন্ততঃ আস্তিকও হবেন না। তেমনি সারা পৃথিবীর আপনার মতো সব নাস্তিকেরা আসমান পর্যন্ত যুক্তি খাড়া করেও একটা ঈমানদার মুসলমানের ঈমান এতটুকুও টলাতে পারবেন না। সুতরাং নিজেদেরকে শুধু শুধু সংকীর্ণতার পরিচয় দে’য়ার কোন মানে দেখিনা। Click This Link Click This Link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।