আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এলোমেলো কয়েকটি ছবিতে চট্টগ্রাম... একটা এলোমেলো ছবি ব্লগ

ছাগু তোষণ নীতি নির্ভর মডারেশন প্রক্রিয়াকে ধিক্কার জানাই. ব্লগের এক কোনায় জেনোসাইড বাংলাদেশের লোগো ঝুলিয়ে ছাগু তোষণ নীতির নামে ভন্ডামি বন্ধ করুন... নইলে এই মডারেশন নীতি নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে থাকার নাটক বন্ধ করুন.. ব্লগ পর্যবেক্ষনে, আপাতত শুধু কমেন্টাই..
কয়দিন আগে চিটাগাং হয়ে খাগড়াছড়ি আর রাঙামাটি চক্কর দিয়ে আসলাম... ভাবছিলাম অনেক মজা করবো... কিন্তু বৃষ্টি সবকিছুর বারোটা বাজায় দিলো এমনি গরমে জীবন যায়, আমার ঘুরাঘুরির তিন চার দিনেই কেন যানি বৃষ্টি... কখনো ঝুম ঝুম কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি ঘুরে ফিরে এসে এখন অফিসে আজাইড়া বসা, কোনো কাম কাজ নাই... ব্লগে থাকি এইখানেও কিছু নাই তাই আজাইড়া কয়টা ফটু পুষ্টাইলাম আর কি অফিসের কামে গেলাম, কামই হইলো গাড়িতে বইসা ঘুরাঘুরি। সাথের কলিগ বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার দেখে নাই, ওরে দেখাইতে গেলাম বায়েজিদ বোস্তামীর মাজারে। গাড়ি থামতেই দু মিনিটের জন্য বৃষ্টি থামলো.. নিচের দুইটা মাজারের সামনের ছবি.. মাজারের বিখ্যাত কচ্ছপগুলোকে দেখলাম অনেকদিন পর... টানা বৃষ্টিতে পুকুর পানিতে টইটম্বুর... আগে কচ্ছপগুলা পাউরুটি খেতো, এখন কলা না দিলে খালি পাউরুটি খায় না মুখ ফিরায় নেয়... কচ্ছপগো কয়টা ফটু তুললাম এরা কিন্তু বিলুপ্তপ্রায় একটা প্রজাতি, মিঠাপানির নরম কালো খোলশের কচ্ছপ যা বোস্তামী টার্টল (Bostami Turtle, scientific name: Aspideretes Nigricans) নামে পরিচিত। এখানে এরা মাজারী নামেই পরিচিত। বায়েজিদ বোস্তামীর মাজার বাদে কেবল আসামে কামাক্ষার এক পুকুরে এদের কয়েকটি এখনও বেঁচে আছে বলে ধারণা করা হয়... এদেরই এক বয়োবৃদ্ধ কাছিমের ছবি.. তো এরি মাঝে ঝুম ঝুম বর্ষন আর আমাদের প্রত্যাবর্তন। ঘুরতে ঘুরতে চেরাগীর মোড়ে এসে আবার বৃষ্টি থেমে গেলো... পরদিন গেলাম পতেঙ্গার ওদিকে... এয়ারপোর্টের সামনে শাপলা বাগান ভালোই হয়েছে... চমৎকার পরিবেশ শাপলা ফুলের ছবি দেখেন... বাইরে কর্ণফুলীর ধারে মেঘলা আকাশ উপভোগ করতে খারাপ লাগে নাই.. তবে মানুষজনের ভীড় এই ঘোর বর্ষায়ও তেমন একটা দেখি নাই প্রচন্ড বৃষ্টি আসবে আসবে করছে এর মাঝেও রিকশাগুলো যাত্রীর অপেক্ষায়... খাগড়াছড়ি যাবার পথে কলার কাঁদি বৃষ্টিতে ধুঁয়ে মুছে চমৎকার একটা রং নিয়েছিলো... বৃষ্টি উপেক্ষা করেও ছবি তোলার লোভ সামলাতে পারলাম না দেখেন কলার ছবি.. এই ছবিটা উপরেও দিসিলাম... খাগড়াছড়ি যাবার পথে রাস্তার পাশে একটা চাঁপকল, বিরাট শেকল দিয়ে বাঁধা কিন্তু চাঁপলে পানি পড়ে না চাঁপকলের পাশেই কুকুরটা ঘুমাচ্ছিলো, গায়ের প্রায় উপর দিয়ে শত শত গাড়ি চলে যাচ্ছে বিকার নাই ... ওর ছবির উপরে একটু হাত মকশো করলাম আজ এ পর্যন্তই... সবার শেষে চট্টগ্রাম কলেজের নোটিশ বোর্ডের পাশে অনেক অনেক আগে টাঙানো একটা নোটিশের ছবি দেই... একটা চারাগাছের প্রার্থনা... আমরা মানুষ কিভাবে প্রকৃতির কান্না হয়ে দাড়াই ভাবতেই অবাক লাগে
 

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।