আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সরকারী অফিসার হইতে মুন্চায়

থেমে যাবো বলে তো পথ চলা শুরু করিনি।

ভাবতেসি একটা বিয়া করমু বিসিএস দিয়া। আমার ফ্যামিলী তো তেমুন একডা বিত্তশালী না, তাই পয়সাওয়ালা এক লোকের কইন্যাকে বিবাহ করবো। তাইলে ঢাকা শহরে আমার গাড়ি হবে, বাড়ি হবে। আমার ওয়াইফ আমাকে আর্থিক ভাবে সাপোর্ট দিয়া যাবে।

আর আমি আমার শ্বশুর সাহেবকে সরকারী হয়রানি থেকে বাঁচিয়ে রাখবো। আমার বাচ্চারা তাদের নানার টাকায় স্কলাস্টিকায় পড়বে। আচ্ছা গুলশান বা বারিধারা থেকে উত্তরা যেতে জ্যাম বেশী হয় না তো, তাই না? সবচেয়ে বড় কথা আমার অর্থের অভাব থাকবে না, তাই আমি ঘুষও খাবো না! কিন্তু আমার বসদের চেয়ে আমি বেশি করিৎকর্মা হতে পারবো না। কেননা দেখা যাচ্ছে বেশি করিৎকর্মা হলেই ঢাকার বাইরে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এই জমানায় কেউ কি ঢাকার বাইরে যেতে চায়? আর মন্ত্রী-প্রতি মন্ত্রীরা তো সব ঢিলা।

তারা না বুঝে প্রশাসন, না বুঝে রাজনীতি, আরো বুঝে না আমলাদের মন! আমাদের মন তাদের বউদের মনের চেয়েও জটিল! আমি সরকারি অফিসার, এই জন্য আমাকে অনেক কোম্পানিই শেয়ারের প্লেসমেন্ট দেবে। আমি কোন টাকা না দিয়েও অনেক শেয়ারের মালিক হয়ে যাবো। আমার কাজ হবে অফিসে বসে থেকে শেয়ার বাজার 'ফলো' করা। দেখুন, আপনি কর দিচ্ছেন, যাতে সরকার চালু থাকে। আর আপনাদের করের টাকায় আমাদের মঅত আমলাদের প্রতিপালন করা হয়।

কিন্তু এর পরেও সরকারী প্রশাসন অনেক ধীরগতি সম্পন্ন হয়ে গেছে। তার কারন অনুসন্ধান করে দেখা যাচ্ছে যেঃ ১। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে সৃষ্ট আতঙ্ক ২। মন্ত্রিসভার বেশিরভাগ সদস্য নতুন হওয়ায় ৩। আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয় না থাকায় ৪।

মন্ত্রী ও সচিবের মধ্যে দ্বন্দ্ব ৫। দক্ষ কর্মকর্তাদের ওএসডি করে কর্মহীন বসিয়ে রাখা ৬। দলীয় বিবেচনায় অযোগ্যদের গুরুত্বপূর্ণ পদে পদায়ন ৭। জুনিয়রদের পদোন্নতি দিয়ে সিনিয়রদের পদে বসানোর কারণে প্রশাসনে অসন্তোষ তৈরি হওয়া ৮। কট্টর সরকারসমর্থক অফিসাররাও মনোযোগ দিয়ে কাজ করছে না, দিনের প্রথমভাগ তারা ব্যয় করেন শেয়ার ব্যবসা করছেন [ সূত্র]


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.