আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে জিওফ বয়কটের বিরক্তিকর বিরূপ মন্তব্য

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

টেলিগ্রাফে বয়কটের এনালাইসিস পড়লাম। এখানে দেখুন: Click This Link বাংলাদেশ নিয়ে জিওফ বয়কেটর মন্তব্য শুধু ঔদ্ধত্যপূর্নই নয়, বরং অসত্য। তিনি লিখেছেন, "বহু অর্থ ("জিলিয়ন") ব্যয় করার পরেও বাংলাদেশের খেলার কোন উন্নতিই হয় নি। ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পাবার পরে এত অর্থ কেউ ব্যয় করেনি, কিন্তু বাংলাদেশ ক্রিকেটের একবিন্দু উন্নতি হয় নি। তাদের কিছু ব্যটিং ছিল ভয়ংকর।

" অন্যদিকে আয়ারল্যান্ড এবং হল্যান্ডের খেলার প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন, "আয়ারল্যন্ড এবং হল্যান্ডে অনেক কম লোক ক্রিকেট খেলে অথচ তারা সবাইকে বিনোদন দিয়েছে। " তিনি এই দুটি দেশকে সহায়তা প্রদানের আহ্বান জানান। আমি ক্রিকেট ফ্যান নই। জীবনের নানা ব্যস্ততায় ক্রিকেটের গুরুত্ব আমার কাছে অনেক নীচের প্রায়োরিটিতে থাকে। অন্যদিকে একই বিষয় আমার কিশোর ছেলের কাছে সত্য নয়।

যত কিছুই থাকুক, রাত জেগে ক্রিকেট সে দেখবেই যদিও যে দেশে থাকে সে দেশের মাটিতে ক্রিকেট মোটেই জনপ্রিয় নয়। পাচ দিন ব্যাপ্তীর এই খেলা আমেরিকার মত ব্যস্ত জীবন যাত্রার দেশে জনপ্রিয় হবে কিনা সেটাও একটা প্রশ্ন। তবুও তার এই অতি আগ্রহের পেছনে জড়িয়ে আছে একটি নাম, "বাংলাদেশ" - তার পূর্ব পুরুষ কিংবা পূর্বনারীর দেশ। মাঝে মাঝে আমি বাংলাদেশের ক্রিকেট নিয়ে নানা ইতিহাস বলি। এও বলি তৎকালীন কোচ গর্ডন গ্রীনিজ চান নি বাংলাদেশ ২০০০ এ টেস্ট স্ট্যাটাস পাক।

যার ফলশ্রুতিতে তৎকালীন বিসিসিবি চেয়ারম্যান তানভীর মাজহার তান্না গর্ডন গ্রীনিজকে "বেহায়া বেশরম" বলে ডেকেছিলেন। দুই বছর বাংলাদেশে থেকে বাংলা বুঝতে পেরেছিলেন গ্রীনিজ, খুব কষ্টও পেয়েছিলেন। আমেরিকায় মানুষ ভাবাবেগ নয় বরং যুক্তি এবং বাস্তবতা দিয়ে চালিত। তো আমার ছেলেই আমার দেখা একমাত্র মানুষ যে আমার মতই মনে করে গর্ডন গ্রীনিজ ভুল বলেন নি, আরো পথ পারি দিয়ে টেস্ট স্ট্যাটাস পাওয়া উচিত। কিন্তু সে এও মনে করে, স্বল্প সময়ে বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করেছে।

এখন বাংলাদেশ স্ট্যাটাসের সম্পূর্ন কোয়ালিটিতে রয়েছে। পূর্ব পুরুষ/নারীর দেশ বলে নয়, নিজের বিবেচনা বুদ্ধিতেই সে বাংলাদেশের অর্জনের প্রতি হয়েছে শ্রদ্ধাশীল। বিবেচনাবোধ সম্পন্ন মানুষদের অধিকাংশই এরকমটি বিশ্বাস করবেন বলে আমার ধারনা। জিওফ বয়কট যে বাংলাদেশের প্রতি বিতৃষ্ণ এটা বুঝতে খুব বুদ্ধিমান হওয়া লাগে না। তিনি "জিলিয়ন" শব্দটি লিখেছেন।

কি করে জানলেন যে বাংলাদেশ "জিলিয়ন" ডলার খরচ করেছে? কোয়ার্টার ফাইনালে উঠতে না পারলেও তারা শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছিল। অথচ তিনি এসব ধর্তব্যেই আনেন নি। তিনি বাংলাদেশের পাশাপাশি কেনিয়ার সমালোচনা করেছেন। অথচ আয়ারল্যান্ড এবং হল্যান্ডের বিষয়ে তিনি রীতিমত উদার। অবশ্য বাংলাদেশের বিষয়ে তার মন্তব্য বিনা চ্যালেন্জ্ঞে যায় নি।

হোয়াটমোর নামে একজন মন্তব্যকারী তার কড়া সমালোচনা করেছেন এই বলে যে, "এই বাংলাদেশ টিমই তো নিউজিল্যান্ডকে ৪-০ তে গুড়িয়ে দিয়েছে। " তারপর লিখেছেন, "তুমি ক্রিকেটে এমন কেউ নয়। মন্তব্য করার আগে নিজের দিকে তাকাও। তুমি তোমার প্রথম পনের ম্যাচে এভারেজ করেছে ১৫, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের চেয়েও খারাপ অবস্থা। ৩৯ বছর বয়েসে তুমি ১৫ তম একদিনের ম্যাচ খেলেছ।

অন্যদিকে বাংলাদেশী স্কোয়াডের এভারেজ বয়স ২৩ মাত্র। কিছু সময় তো বাংলাদেশকে দিতে হবে। " হোয়াটমোরকে ধন্যবাদ। বাংলাদেশের পারফরম্যান্সই সমালোচনাকারীদের মুখ বন্ধ করে দিতে পারবে। এগিয়ে যাক বাংলাদেশ।

মুখ বন্ধ হোক সমালোচনাকারীদের।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.