আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেদিন আকাশে শ্রাবনের মেঘ ছিল, ছিল না চাঁদ...

সংগীত জীবনের আর এক নাম (গানের লিংক নিচে) আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে রমনা রেসকোর্স বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে লাখো জনতার উপস্থিতিতে মুক্তিকামী বাঙ্গালির মুক্তির সনদ ঘোষনা করেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলার বুকে স্পন্দিত হবে তার সেই বজ্রকন্ঠের ঘোষনা- "এবারের সংগ্রাম-আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা। " বঙ্গবন্ধুর ন্যায় আজ আমরাও বলতে চাই- "এবারের সংগ্রাম - দেশকে কলংক মুক্ত করার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম- রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ পাওয়ার সংগ্রাম। " প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, আগামীকাল সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে "জাগরন মঞ্চের" মহাসমাবেশ।

সবাই উপস্থিত থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের দেখিয়ে দিন- আমরা বাঙালি- আমরা বাংলাদেশী- এদেশ আমাদের। এখানে পরাজিত পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের ঠাঁই নাই। এই ঐতিহাসিক দিন উপলক্ষে ব্লগার বন্ধুদের জন্য সেই প্রিয় গান- "সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল না চাঁদ। " কণ্ঠ ও সুরঃ সাদী মহম্মদ কথাঃ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সাদী মোহাম্মদের বলেনঃ ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসের কথা। একদিন হারুন ভাইয়ের [খ. ম. হারুন] কার্যালয়ে গেলাম।

খানিক আলাপচারিতার পর তিনি আমাকে বললেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একটি দেশের গান লিখেছেন। ঠিক দেশের গান নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা গান এটি। তিনি আমাকে গানটি সুর করে দেওয়ার জন্য বললেন। আমি মূলত গান সুর করি না। মন-প্রাণ দিয়ে সবসময় রবীন্দ্রসঙ্গীত গাই।

তবে মাঝে মধ্যে নিছক শখের বশে গানে সুর দিয়েছি। কী আর করা! একদিকে হারুন ভাইয়ের অনুরোধ, অন্যদিকে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের লেখা গান। আমার গায়কীর অনেক বড় একজন ভক্ত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তার ওপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান_ সব মিলিয়ে না করতে পারলাম না। গানের কথা না দেখেই জানিয়ে দিলাম সুর করব।

গানের কথা যখন আমার হাতে এসে পৌছল তখন একটু দ্বিধায় পড়ে গেলাম। পুরো গানের মধ্যে কোনো ছন্দময়তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ওই মুহূর্তে কী করব সেটা ভেবে কূলকিনারা হচ্ছিল না। কিন্তু গানের সুর তো আমাকে করতেই হবে। খানিক সংকোচ নিয়ে তাই ফোন দিলাম অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের কাছে।

খুব বিনয়ের সঙ্গে তাকে বললাম, 'সুরের খাতিরে যদি গানের কথা পরিবর্তন করা হয় তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?' তিনি আমাকে বললেন_ 'সুরের জন্য যা কিছু কাটছাঁট করা প্রয়োজন সেটা তুমি করে নাও। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। ' আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের অভয় পেয়ে সতর্কতার সঙ্গে গানের কথায় কিছু পরিবর্তন আনলাম। শুরু করলাম 'সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল না চাঁদ' গানটি সুর করার কঠিন কাজ। এখনকার মতো ওই সময়ও আমি সঙ্গীত কলেজে শিক্ষকতা করি।

একদিন কলেজে যাওয়ার জন্য ছাতা মাথায় ঘর থেকে বের হই। মাথায় তখনও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ওই গানের সুর খুঁজে বের করার পোকা ঘুরঘুর করছে। রিকশায় চড়ে গুনগুনিয়ে গানের সুর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলাম। রিকশায় বসেই একসময় গানের প্রথম চার লাইনের জন্য মনের মতো একটা সুর পেলাম। তখন আমার আনন্দ আর কে দেখে! রিকশা থেকে নেমে সোজা চলে যাই আমাদের শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত বসার কক্ষে।

তখন আমার একটি ক্লাস ছিল। তাই সব ছাত্রছাত্রী শিক্ষকদের কক্ষের সামনে জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু কোনো কিছু খেয়াল না করে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। দ্রুত গানটির প্রথম অন্তরা সুর করে ফেলি। দরজার বাইরে অপেক্ষমাণ আমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে তখন চরম কৌতূহল এই ভেবে_ 'স্যার কেন এমন করে দরজা আটকে দিলো?' গানের সুর তুলে বাইরে এসে ওদের বললাম, আমি নতুন একটি গানের কাজ করছি।

শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পরদিন ক্লাসে ওই গানের প্রথম অন্তরা গেয়ে শুনিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছুতেই বুঝতে পারেনি এটা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান। এটাই আমি চেয়েছিলাম। এটি যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান তা যেন সহজে কেউ বুঝতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছিলাম। গানের মর্ম অনুধাবনের পরই যেন মানুষ বুঝতে পারে এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা গান।

টানা চার মাসের প্রচেষ্টায় গানটি মনের মতো সুর করতে পেরেছিলাম। (সাদী মোহাম্মদের কথার অংশটুকু কপি পেস্ট) জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় ৭ই মার্চ আগামীকাল ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ। জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের এই দিনে রমনা রেসকোর্স বর্তমান সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে লাখো জনতার উপস্থিতিতে মুক্তিকামী বাঙ্গালির মুক্তির সনদ ঘোষনা করেন। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন বাংলার বুকে স্পন্দিত হবে তার সেই বজ্রকন্ঠের ঘোষনা- "এবারের সংগ্রাম-আমাদের মুক্তির সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম- স্বাধীনতার সংগ্রাম জয় বাংলা। " বঙ্গবন্ধুর ন্যায় আজ আমরাও বলতে চাই- "এবারের সংগ্রাম - দেশকে কলংক মুক্ত করার সংগ্রাম এবারের সংগ্রাম- রাজাকার মুক্ত বাংলাদেশ পাওয়ার সংগ্রাম।

" প্রিয় ব্লগার বন্ধুরা, আগামীকাল সোহরাওয়ার্দি উদ্যানে "জাগরন মঞ্চের" মহাসমাবেশ। সবাই উপস্থিত থেকে স্বাধীনতা বিরোধীদের দেখিয়ে দিন- আমরা বাঙালি- আমরা বাংলাদেশী- এদেশ আমাদের। এখানে পরাজিত পাকিস্তানি প্রেতাত্মাদের ঠাঁই নাই। এই ঐতিহাসিক দিন উপলক্ষে ব্লগার বন্ধুদের জন্য সেই প্রিয় গান- "সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল না চাঁদ। " কণ্ঠ ও সুরঃ সাদী মহম্মদ কথাঃ অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ সাদী মোহাম্মদের বলেনঃ ১৯৯৮ সালের এপ্রিল মাসের কথা।

একদিন হারুন ভাইয়ের [খ. ম. হারুন] কার্যালয়ে গেলাম। খানিক আলাপচারিতার পর তিনি আমাকে বললেন, অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ একটি দেশের গান লিখেছেন। ঠিক দেশের গান নয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা গান এটি। তিনি আমাকে গানটি সুর করে দেওয়ার জন্য বললেন। আমি মূলত গান সুর করি না।

মন-প্রাণ দিয়ে সবসময় রবীন্দ্রসঙ্গীত গাই। তবে মাঝে মধ্যে নিছক শখের বশে গানে সুর দিয়েছি। কী আর করা! একদিকে হারুন ভাইয়ের অনুরোধ, অন্যদিকে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের লেখা গান। আমার গায়কীর অনেক বড় একজন ভক্ত আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তার ওপর বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান_ সব মিলিয়ে না করতে পারলাম না।

গানের কথা না দেখেই জানিয়ে দিলাম সুর করব। গানের কথা যখন আমার হাতে এসে পৌছল তখন একটু দ্বিধায় পড়ে গেলাম। পুরো গানের মধ্যে কোনো ছন্দময়তা খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ওই মুহূর্তে কী করব সেটা ভেবে কূলকিনারা হচ্ছিল না। কিন্তু গানের সুর তো আমাকে করতেই হবে।

খানিক সংকোচ নিয়ে তাই ফোন দিলাম অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের কাছে। খুব বিনয়ের সঙ্গে তাকে বললাম, 'সুরের খাতিরে যদি গানের কথা পরিবর্তন করা হয় তাহলে কি কোনো সমস্যা হবে?' তিনি আমাকে বললেন_ 'সুরের জন্য যা কিছু কাটছাঁট করা প্রয়োজন সেটা তুমি করে নাও। এতে আমার কোনো আপত্তি নেই। ' আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের অভয় পেয়ে সতর্কতার সঙ্গে গানের কথায় কিছু পরিবর্তন আনলাম। শুরু করলাম 'সেদিন আকাশে শ্রাবণের মেঘ ছিল, ছিল না চাঁদ' গানটি সুর করার কঠিন কাজ।

এখনকার মতো ওই সময়ও আমি সঙ্গীত কলেজে শিক্ষকতা করি। একদিন কলেজে যাওয়ার জন্য ছাতা মাথায় ঘর থেকে বের হই। মাথায় তখনও বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা ওই গানের সুর খুঁজে বের করার পোকা ঘুরঘুর করছে। রিকশায় চড়ে গুনগুনিয়ে গানের সুর খুঁজে বের করার চেষ্টা করছিলাম। রিকশায় বসেই একসময় গানের প্রথম চার লাইনের জন্য মনের মতো একটা সুর পেলাম।

তখন আমার আনন্দ আর কে দেখে! রিকশা থেকে নেমে সোজা চলে যাই আমাদের শিক্ষকদের জন্য নির্ধারিত বসার কক্ষে। তখন আমার একটি ক্লাস ছিল। তাই সব ছাত্রছাত্রী শিক্ষকদের কক্ষের সামনে জটলা পাকিয়ে দাঁড়িয়ে। কিন্তু কোনো কিছু খেয়াল না করে দরজা বন্ধ করে দিয়েছিলাম। দ্রুত গানটির প্রথম অন্তরা সুর করে ফেলি।

দরজার বাইরে অপেক্ষমাণ আমার শিক্ষার্থীদের মধ্যে তখন চরম কৌতূহল এই ভেবে_ 'স্যার কেন এমন করে দরজা আটকে দিলো?' গানের সুর তুলে বাইরে এসে ওদের বললাম, আমি নতুন একটি গানের কাজ করছি। শিক্ষার্থীদের অনুরোধে পরদিন ক্লাসে ওই গানের প্রথম অন্তরা গেয়ে শুনিয়েছিলাম। কিন্তু ওরা কিছুতেই বুঝতে পারেনি এটা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান। এটাই আমি চেয়েছিলাম। এটি যে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা গান তা যেন সহজে কেউ বুঝতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রেখেছিলাম।

গানের মর্ম অনুধাবনের পরই যেন মানুষ বুঝতে পারে এটা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড নিয়ে লেখা গান। টানা চার মাসের প্রচেষ্টায় গানটি মনের মতো সুর করতে পেরেছিলাম। (সাদী মোহাম্মদের কথার অংশটুকু কপি পেস্ট) জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু জয় ৭ই মার্চ ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.