আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

শুষ্ক মৌসুমে চুল ও ত্বকের পরিচর্যা



ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে চুল ও ত্বকে দেখা দেয় নানা সমস্যা। প্রথমেই আলোচনা করা যাক চুল নিয়ে। রুক্ষ শুষ্ক বা শীত মৌসুমে চুল হয় শুকনো। শুকনো ভাবের সাথে চুলে স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি দেখা যায়- যা খুবই বিরক্তিকর। কারণ এতে চুল বার বার অগোছালো হয়ে পড়ে আর আচড়াতেও অসুবিধা হয়।

চুল এলোমেলো হওয়ার ফলে চুলে জট পাকিয়ে যায়। যা ছাড়াতে গিয়ে হারাতে হয় গোছা গোছা চুল। শীত মৌসুমে এ সমস্যাটি সবচেয়ে বেশি হয়। এসময় আবহাওয়ায় আর্দ্রতা কমে যায়। ফলে চুল শুকনো ও খসখসে হয়ে যায়।

একটু চেষ্টা করলেই আপনি মুক্তি পেতে পারেন এসমস্যা থেকে। যা আপনার হাতের কাছেই আছে। যেমন- চুল : চুলে নিয়মিত কন্ডিশনার ব্যবহার করলে চুলের রুক্ষভাব কমে যায়। কন্ডিশনার চুলের আর্দ্রতা বজায় রাখে বলে চুল সুন্দর ও মসৃন হয়। এক্ষে্ের সকল সময় ভাল কোম্পানির কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন।

রাতে নিয়মিত গরম তেল চুলে ম্যাসেজ করে লাগিয়ে পরদিন কন্ডিশনারমুক্ত তেল দিয়ে চুল ধুলেও অনেক উপকার পাবেন। শ্যাম্পু করার পর চুল মোটা দাতের চিরুনি বা রবারের কাটাযুক্ত ব্রাশ দিয়ে চুল আচড়ানো ভাল। প্লাস্টিকের বা নাইলনের দাত দেওয়া ব্রাশ চুলের স্ট্যাটিক ইলেকট্রিসিটি বাড়িয়ে দেয় বলে এ ধরণের ব্যাশ ব্যবহার না করাই ভাল। পদ্ধতিগুলো সঠিকভাবে পালন করলে শীতকালসহ বিভিন্ন সময়ে চুলের সুষ্কু, স্বাভাবিক ও সুন্দর স্বাস্থ্য ধরে রাখা সম্ভব। শুধু তাই নয়, চুলের বাড়তি সৌন্দর্য্যও লাভ করা যায়।

ত্বক : ত্বক সাধারণত তিন রকমের হয়ে থাকে। যেমন ১. শুষ্ক ত্বক, ২. স্বাভাবিক ত্বক ও ৩. তৈলাক্ত ত্বক। তৈলাক্ত ত্বক যদিও সবসময় বিরক্তিকর, তারপরও রুক্ষ আবহাওয়ায় বা শীতকালে এ ত্বকের সমস্যা অনেকটা কম হয়। অপরদিকে শুকনো ত্বকে যন্ত্রনার মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। এই ত্বকের বাড়তি পরিচর্যা করতে প্রয়োজন হয় তেল, লোশন ময়শ্চারাইজার ক্রীম প্রভৃতির।

এসময় ধুলো হয় বেশি। এ ধুলো ত্বকে লাগানো ক্রীমে এসে আটকে যায়। সারাদিন কাজের পরে বাড়ি ফিরে মুখ ধোয়ার পরও মুখের ত্বকের ভেতরে কিছু ময়লা থেকেই যায়। এই আটকে থাকা ময়লা থেকেই মুখে তৈরী হয় ব্ল্যাক হেড্স। যা ব্রণরুপে পরে প্রকাশ পায়।

শুধু সাবান দিয়ে ধুয়ে ব্রণের উৎস ব্ল্যাকহেড্স দূর করা সম্ভব নয়, তাই শীতকালে মাসে দু’বার মুখে নিয়মিত স্টিম নিতে হবে। স্টিম করার পরপরই ঠান্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলতে হবে। এছাড়াও যা যা করা উচিত : সম্ভব হলে প্রতিদিন গ্লিসারিন বা নিমতেলযুক্ত সাবান দিয়ে মুখ ধুতে হবে। ব্রণ সমস্যার হাত থেকে বাচার জন্য সারামুখে বেণজয়েলযুক্ত ওষুধ লাগানো যায়। মুখে তেল বা ক্রীম রাতে শোয়ার আগে লাগানো ভাল, যাতে বাইরের ধুলোবালি এসে না জমে।

বাইরে বেরুনোর আগে মুখে শুধু ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই যথেষ্ট। এতে ত্বকে ময়লা আটকে থাকার সম্ভাবনা কম। মাঝে মাঝে কাচা দুধের সাথে লেবুর রস মিশিয়ে মুখে দিয়ে ১০/১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললেও মুখ পরিস্কার হয়। শীতের এই রুক্ষ আবহাওয়ায় শুরু থেকেই ত্বক পরিচর্যা করলে আপনি থাকবেন অন্য মৌসুমের মতই ঝকঝকে ও প্রাণবন্ত। টেকনোলজী সম্পর্কে জানুনঃ--- http://www.netcomm1.blogspot.com



এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.