আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

লিবিয়া My Second Home

নির্বোধের সঙ্গে তর্কে যেয়ো না। সে তোমাকে নিজের পর্যায়ে নামিয়ে আনবে এবং নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে তোমাকে হারিয়ে দেবে।

গাদ্দাফি লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী (এইটা বলার কি হইল ? সবাই জানে ই ,তাও বললাম!) । চারিদিকে তাকে নিয়ে কি আলোচনা- সমালোচনা ভালো-ই চলছে । ওয়ার্ল্ড এর মাঝে সাদ্দাম এবং গাদ্দাফি ই হলেন সেই সাহসী নেতা যারা আমেরিকা এর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কখনও কুনঠা বোধ করতো না ।

যার ফলশ্রুতিতে সাদ্দাম এবং ইরাক আজ ধ্বংস । আর লিবিয়া ? লিবিয়া নিয়ে ই আজ আমআর লেখাটি । প্রসঙ্গক্রমে বলে রাখি ব্লগে অনেক লিখায় দেখি যে অনেকে বলেন আপনার লিখার সুত্র কি ? এখানে সুত্র আমি নিজেই এবং আমার মা । আমার আম্মু আব্বু বিয়ের পর ১৯৮৮ এ লিবিয়া চলে আসেন । আমার জন্ম ও তাই লিবিয়াতে ,বয়স যখন ৬ আমার তখন আমি বাংলাদেশ এ প্রথম ব্যাক করি ।

তাই লিবিয়ার সম্পর্কে আমি খুব বেশি একটা সৃতি মন এ করতে পারিনা । তো আমার সেই লিবিয়া কে নিয়ে যখন এতো মাতামাতি তখন আজ আম্মু কে ধরে বসলাম আমিঃ মা লিবিয়ার কাহিনি কি আসলে? আমাকে বল তো ? গাদ্দাফি কি আসলে ভালো নাকি খারাপ ? আম্মু আবার যেকোনো গল্প,কাহিনি , ইতিহাস আমাদের শোনাতে পছন্দ করেন । তাই খুব উৎসাহের সাথে আমাকে বলা শুরু করলেন মাঃ লিবিয়া আসলে একটা খুব সুন্দর একটা দেশ । এখানে অভাব বলতে কিছু নাই । এখানে গাদ্দাফি সরকার জিনিস পত্রে ভর্তুকি দিত ।

আমিঃ ভর্তুকি মানে কি আম্মু ? মাঃ আরে তুমি ভর্তুকি বুঝনা ? ভর্তুকি মানেয় হল ধর সরকার বাইরে থেকে ১০ টাকা দিয়ে চাল কিনলে সেটা জনগন এর কাছে ৫ টাকায় বিক্রি করতো । আমিঃ বলও কি ! তাই নাকি ! মাঃ হুম । লিবিয়াতে মাঠের পর মাঠ পরে থাকত কেও চাষ করতোনা । মরুভূমি ও অনেক ওখানে । গদ্দাফি কি করতো জানো , অনেক জায়গা আর মরুভূমি সবুজ করে ফেলছে চাষ করে।

কৃতিম খাল বানায় রেখে দিয়েছে মরুভূমি তে । রাস্তা ঘাট উন্নতি করে ফেলছে । কারো স্বামী মারা গেলে ভাতা দিতেন। আর জানো ওখানে একটা ভিক্ষুক ও দেখা যেত না । তোমার আব্বু আমাকে যে শহরে নিয়ে উঠায় সেটার নাম ছিল আল-বাইদা ।

আমার ৭বছরের জীবনে সেই শহরে আমি মাত্র একটা ভিক্ষুক দেখেছিলাম । সে তাও লিবিয়ান ছিলনা ,সুদান এর ছিলও । আমিঃ সুদান ? মাঃ হুম লিবিয়ার পাশের দেশ সুদান , মিশর থেকে অনেক লোক লিবিয়াতে এসে পরত কাজের আশায় । আমিঃ ও আচ্ছা । মাঃ তারপর শোন ।

সেই সুদানি মহিলা আমার কাছে ভিক্ষা চেয়ে বুঝল যে আমি বিদেশি ,আরবি ভাষা তেমন বুঝিনা । আমাকে পরে ইশারা করে বুঝাল যে সে কিছু সাহায্য চায় । আমি তখন ভাবতে লাগলাম যে উনাকে কি দিবো ? এক মুঠো চাল দিবো নাকি? ভাবতে ভাবতে উনার ঠেলাগাড়ি তে চোখ গেল! লিবিয়ানরা উনাকে কেও ১কজি চাল তো কেও ১২ টা ডিম, কেও ১ লিটার তেল তো কেও এক ঝুড়ি ফল ভিক্ষায় দিয়ে রেখেছে !আমি তখন রান্নাঘর থেকে এক প্যাকেট মাকারনি (পাস্তা) এনে দিয়ে দিলাম । আমিঃ এ কি মন এ করায় দিলা? আমার এখন মাকারনি খেতে ইচ্ছা করতেসে। মাঃ আচ্ছা দিবনে রান্না করে আগে আমার কথাগুলা তো শোন ? আমিঃআচ্ছা বলও ।

মাঃ গাদ্দাফি কে ওই দেশের মানুষ এতো সম্মান করতো যে ওর ছবি টাকার মধ্য দেখলেই টাকাতে চুমু খেতও । আসে পাশের দেশ গুলাও লিবিয়া এর উপর নির্ভরশীল অনেক । গাদ্দাফির সবচেয়ে বড় দোষ কি জানো, তার কথা হলও তোমাদের আমি সব দিবো একটা ই শর্ত আমার বিরুদ্ধে কেও একটা কথা ও উচ্চারণ করতে পারবানা । কেও করে থাকলে তার মৃত্যু হবে । এভাবে সে অনেক মানুষ কে নিমিষেই মেরে ফেলত ।

স্বভাবত- ই উনি বিলাশ বহুল জীবন যাপন করতেন। তেল সম্পদে ভরপুর সেটাও লুতপাত করে খেতেন । কিন্তু তিনি জনগন এর খেয়াল রাখতেন। জনগন কে বিপদে ফেলে কখন ও নিজে আরামে থাকেননি। আমিঃ তাহলে লিবিয়ান জনগণ কেন বিক্ষোব করলো ? মাঃ সেটাই তো আসল কথা ।

চোখের সামনে ই দেখতে পারা যায় যে একনায়কতন্ত্রও , আর সাথে সরকার এতো ভালো সেই দেশ এর তো উন্নতি অবধারিত । সেখানে নেই কোন বিরোধী দল । নেই কোন দল এ দল এ মারামারি । নেই ৫ বছর পর পর কারচুপি করা ভোট বাবস্থা । আমাদের দেশ দেখনা ৫বসর পর পর সরকার পাল্টাচ্ছে , কিন্তু আসলে কি আমরা আমাদের দেশ নিয়ে সামনে আগাতে পারছি ?আমাদের সরকার রা পুরো ৫বসর অপর দল এর কু-করমের গুণগান করতে করতে কাটিয়ে দেন ।

যাক এই দেশের কথা বাদ দেই । এখন তুমি বলও যে দেশে এত শান্তি ,এত সুখ যে দেশ এর জনসংখ্যা মাত্র ৬৫লাখ সেই দেশের মানুষের কি দরকার গনতন্ত্রের জন্য ডাক দাওয়া ?চিন্তা করে দেখ তোমাকে যদি বলা হয় তুমি কোনটা চাও ?গনতন্ত্র ? নাকি শান্তি ? আমিঃ অবশ্যই শান্তি । মাঃ গাদ্দাফির আগে লিবিয়ার যে প্রেসিডেন্ট ছিলেন , সে ছিল আমেরিকা এর কাঠ পুতলি । যখন গাদ্দাফি ভাষণ দিত টিভি তে দেখতাম আমেরিকা ক শয়তান বলে আখ্যায়িত করতো । কাল-বিন-মাশুর বলে গালি দিতেন।

গাদ্দাফি মানুষের আয় এর একটা অন্স কেটে রাখতো বিভিন্ন দেশ এর মানুষ দের সাহায্যের জন্য । বিসেস করে ফিলিস্তিন দের তিনি অনেক সাহায্য করতেন । এরপর থেকে আমেরিচার নজর অনেক আগে থেকে ই লিবিয়ার উপর ছিল। বিশেশ করে লিবিয়ার তেল সম্পদের উপর । এইসব কারনে তাকে অঙ্ক বার আমেরিকা মেরে ফেলার ও চেষ্টা করেছে ।

আমিঃতাই? ! তারপর ? মাঃ আই জন্য উনি কোঠর নিরাপত্তার মদ্ধ তাক্তেন সবসময় । মাথার টুপিটা পর্যন্ত তার বুলেটপ্রুফ থাকত । উনি রাত এ কথায় ঘুমান কেও জানেনা। আমদের আল-বাইদা শহরে ও উনার মাটির নিচে ঘর ছিল । একবার উনার কাছে রাশিয়া এর কাশ থেকে ফোন আসে যে জলদি বাশা থেকে বাইরে বের হন ।

উনি দওরায় ২ মিনিট এর মাঝে বের হওার সাথে সাথে পুরো বারি বমায় উরে যায় । মারা যায় তাই স্ত্রী – সন্তান । রাশিয়ার সাথে ভালো সম্পর্ক থাকায় এবার প্রানে রক্ষা পেলেন। আর একবার তিনি ডাক্তার এর কাছে গেলে এক নার্স হথাত্ত উনাকে বলে দিলেন জ আপনাকে মারার জন্য ওষুধে বিষ দাওয়া হয়েছে । গাদ্দাফি খুশি হয়ে বললেন ২মি কি চাও বলও ?মায় টি বলল গাদ্দাফি ক বিয়ে করতে চান।

গাদ্দাফি তখন তার তৃতীয় বিয়েতি সম্পন্ন করলেন সেই মেয়েটির সাথে । এখন প্রশ্ন হলও সব আরব দেশ একসাথে কিভাবে গনতন্তের জন্য বিক্ষব করে ?এতা তো আমেরিচার এ চাল ? মানুষ ক উস্কে দাওার চাল । ইরাক , আফগান্নস্থান এর মতো আর একটা দেশ ধ্বংস করার অপচেষ্টা । . আমিঃ কিন্তু অরা তো বলতেসে এখানে ধনি গরিবের বাবধান বেরে গেছে ? মাঃ জানিনা । আমর তো বিশশা হয়না ।

দেখলানা ইরাক কে হামলা করলো জ অদ্র পারমানবিক অরস আছে । কিন্তু কি লাভ হলও হামলা করে ? পারমানবিক অস্র তো আমদের খুজে দেখাতে পারল না । আমিঃ ওদের চোখ আসলে লিবিয়ার উপর মাঃ (দীর্ঘ নিঃশ্বাস) জানিনা কি অবস্থা করবে আই সুন্দর একটা দেশের । অনেক সেরিওউস টাইপ এর কথা হলও এবার এক্তু হাস্যরস হোক। আম্মুকে অনেক আগে একবার বলেচিলাম জ মা এত শান্তি ওখানে রেখে আমরা কেন এই পছা ধাকাতে আসলাম ? তখন আম্মু বলেসিল লাও খাওার জন্য ।

লাও আম্মুর খুব পছন্দের সবজি । এতাত আর লিবিয়াতে পাওা যেত না । তো এর পর থেকে আমি ঢাকার জোতও জাম া পরি বাসায় এসে আম্মু ক রাগ করে বলি লাও এর জন্য ২মি আমক আই খানে নিয়ে আসছ? খাও তুমি লাও এ পাকায় খাও।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।