আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ছাগলের কয়েকটি রোগ ও প্রতিকার

ভালবাসি বাংলা সিনেমা

ছাগল পালন অত্যন্ত লাভজনক পেশা এবং বর্তমানে অনেক জনপ্রিয়। ছাগলকে বলা হয়ে থাকে “গরীবের গাভী”। ছাগল পালনের ক্ষেত্রে খামারির প্রধান চ্যালেঞ্জ হলো ছাগলের নানান অসুখ বালাই। যে কোন সময়ে ছাগলের রোগব্যাধি দেখা দিতে পারে। তাই ছাগলের রোগব্যাধি ও তার প্রতিকার বিষয়ে জানা থাকা সবার জন্যই ভাল।

কৃমি রোগ : লক্ষণ : এই রোগে পাতলা পায়খানা হয়। ঠিকমত ওজন বৃদ্ধি হয় না, শরীর শুকিয়ে যায়, পুষ্টিকর খাবারেও বৃদ্ধি হয় না। খাওয়া কমে যায়, দুর্বল হয়ে যায়৷ মৃত্যুও হতে পারে। চারণভূমিতে মলের সাথে এই কৃমি ছড়িয়ে পড়ে। চিকিত্সা ব্যবস্থা : বর্ষার আগে ও পরে নিয়ম করে কৃমির ঔষধ খাওয়াতে হয়।

তবে কৃমির আক্রমণ যেহেতু যে কোন সময় হতে পারে তাই প্রতিমাসে একবার কৃমির ঔষধ খাওয়ানো দরকার। আসকারিস জাতীয় গোলকৃমি হলে পাইপ্যারাজিন আডিপেট পাউডার প্রতি ৪৫ কেজিতে ১০ গ্রাম হারে বা ছাগল পিছু ৩ গ্রাম করে খালিপেটে সকালে খাওয়াতে হয়, এরপর ২০ দিন পর আবার খাওয়াতে হয়। লিভার বা আস্ফিষ্টোম ফ্লুক হলে ডিসটোডিন ট্যাবলেট প্রতি কেজির জন্য ১০০ - ১৫০ মিগ্রা হারে বা অক্সিক্লোজানাইড লিকুইড ২ - ২.৫ মিলি প্রতি ছাগল পিছু দেওয়া যায় বা প্রতি ৫ কেজি ওজনের জন্য ১ মিলি দেওয়া হয়। ছাগলের ছোঁয়াচে প্লুরো নিউমোনিয়া রোগ লক্ষণ : এই জ্বর (১০৪ ডিগ্রি - ১০৭ ডিগ্রি ) শ্বাসকষ্ট, প্রথম অবস্থায় নাক দিয়ে জল বেরোয়, পরে হলুদ হয়ে যায়। কাশি হয়, দিনদিন রোগা হয়ে যায়, স্টেথো লাগালে বোঝা যায় বুকে জল জমেছে, খিদে কমে যায়।

এক সপ্তাহের মধ্যে ছাগলটি মারা যায়। চিকিত্সা : টেট্রাসাইক্লিন ইনজেকশান বেশী মাত্রায় শিরায় করতে হবে তত্ক্ষণাত বা সালফামেজাথিম (৩৩১/৩%) হলে ৩০ মিলি একবারে ইনজেকশান দিতে হবে। এঁসো রোগ লক্ষণ : এই রোগে মুখের ভিতরের দিকে, জিহ্বায়, ঠোঁটে, পায়ের ক্ষুরে ঘা হয়। চিকিতসা: এফ.এম.ডি. ভ্যাকসিন বছরে দুবার নিলে এই রোগের আক্রমণ হয় না। পেট ফোলা বা ব্লোট লক্ষন: অনেক সময় নতুন সবুজ ঘাস প্রচুর পরিমাণে খেয়ে ফেললে পেট ফুলে যায়।

বাঁ দিকের পেট ফুলে যায়৷ শ্বাসকষ্ট হয়। ছাগল ছটফট করতে থাকে। বেশী পেট ফুলে গেলে ছাগল মারা যায়। চিকিত্সা ও প্রতিকার : এক কাপ তিসির তেল খাইয়ে দিলে স্বস্তি পায়। তাছাড়া ব্লোটোসিল ২০ মিলি ১২ ঘন্টা অন্তর খাওয়ালে রোগ সেরে যেতে পারে।

তবে অত্যধিক পেট ফুলে গেলে সুঁচ ফুটিয়ে গ্যাস বের করে দিতে হয়। কচি সবুজ ঘাস বেশী করে খাওয়ানো ঠিক নয়, সুবাবুলের পাতাও বেশী খাওয়াতে নেই। তথ্যসূত্র: দারিদ্র বিমোচনে ছাগল পালন, মৎস্য ও পশুসম্পদ তথ্য দপ্তর মৎস্য ভবন, রমনা, ঢাকা।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.