আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

এ দেশেই ক্রিমিনালদের বাচাতে ভাংচুর সম্ভব..

http://applemacblog.com/ গতকাল যশোর থেকে খুলনায় আসার পথে বাসে কয়েকজনের ব্যাপক আলোচনা শুনলাম। আলোচনার মূল বিষয় ছিল কেন সরকার একদিনে এতজন কে মেরে ফেলল, না মারলেই কি নয় ? এরা তো শুধুই আন্দোলন করছে তবে কেন তাদের গুলি করে মারা হবে ? অনেকে তো শিবিরদের জন্য প্রায় কান্নায় ভেংগে পরে। শহর থেকে কিছুদুরে তখন একজনের ফোন এল যে বাগেরহাটে নাকি মন্দিরে হামলা চালিয়েছে শিবিরের কর্মীরা এরপর শহরে ঢুকার আগে খবর এল খুলনায় নাকি শিবির হামলা চালিয়ে দুইজন পুলিশ মেরে ফেলেছে, শিববাড়িতে তুমুল গন্ডগল চলছ এবং চরে একজন ব্যাবসায়ী নিহত। এরপরই শুরু হল আলোচকদের পা কাপাকাপি, প্রশ্ন এল যদি আমাদের বাসে হামলা চালায় তখন ? তাদেরই মাঝের একজন বলেই ফেলল কুত্তার বাচ্চাদের গুলি করে মারাই ঠিক । তখন শুরু হল পুলিশের সমলোচনা কেন পুলিশ মেরে ঠান্ডা বানায় দেয় না ইত্যাদি।

এরাই আসলে এক প্রকার লোক যাদের নিজের কিছু না হলে গায়ে লাগে না। এরুপ মানুষের পক্ষেই বলা সম্ভব ৪১ বছর আগের বিচার এখন কেন ? কি দরকার বিচারের, বুইড়াগুলা তো এমনিই কয়দিন পর মারা যাবে। এরা এসব বলে কারন মুক্তিযুদ্ধে তাদের মা,বাবা,ভাই,বোন মারা যাননি। এরা এক প্রকার মানুষ যারা নিজের সার্থই দেখে, কে মরল কে বাচল তাদের দেখার টাইম নাই। কিন্তু এরা বুঝে না এই বিচার না হলে সামনে এই ঘাতক পাকিস্তানি দালালদের হাতেই দেশ চলতে পারে।

একজনের স্টাটাসে পেলাম, ৪০ বছর পর বিচার চাওয়াটা ঠিক নাকি না। হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ কে সাক্ষী রেখে ন্যায় বিচারের উপর অটল থাক, যদি ও এটা তোমাদের,তোমাদের বাবা মায়ের এবং আত্মীয় স্বজনের বিরুদ্ধে যায়; হোক ধনী অথবা গরীব- সবাই আল্লাহ এর মুখাপেক্ষী। যদি ন্যায়বিচার অস্বীকার কর অথবা ব্যক্তিস্বার্থে ব্যবহার করো, তবে জেনে রাখ, আল্লাহ তোমাদের সব কর্মকান্ড সম্পর্কে অবগত ( সুরা আল নিসা ৪:১৩৫) এরপর ও যদি কেউ বলে চল্লিশ বছর আগের অন্যায়ের বিচার চাওয়া নিরর্থক ..... এরপর ও যদি ন্যায়বিচারের দাবিতে মানুষের সোচ্চার হয়ে মাঠে নামাকে পরিহাস করে তাহলে এই কুরানের আয়াত কি তাদের কাছে নিরর্থক ? আজব এই দেশের মানুষ, এ দেশেই সম্ভব কয়েকজন ক্রিমিনালকে বাচাতে জামায়াত শিবিরের মত দল ভাংচুর,হত্যা,লুট,পুলিশ ও মন্দিরএ হামলা চালাতে। কারন অনেক আবাল এখনো তাদেরসাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে। তারা দেখে না যে কিভাবে এই জামায়াত শিবির তাদের ক্রিমিনাল লিডারদের বাচাতে সাধারন মানুষের উপর হামলা চালাচ্ছে, দেশে ভাংচুর চালাচ্ছে।

আর এটা প্রতিরোধ করাই পুলিশ এবং আমাদের সকলের দায়িত্ব। এখনো সময় আছে এই হায়নাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। যাতে করে তারা আর ধর্মের ব্যাবহার করে কাউকে বিভ্রান্ত না করতে পারে। নিজেদের যুদ্ধঅপরাধী লিডারদের বাচাতে যেন সাধারন এবং পুলিশের উপর হামলা চালাতে না পারে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.