আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

চিন্তার কথা।।

কবঠ

কেন এত সমস্যা? তা কি একটি বার ভেবে দেখেছেন। না ভেবে দেখেননি। কেনই বা আপনি ভেবে দেখতে যাবেন। যার যা কাজ সে তার কাজ করুক না ভাই। হুদাই ক্যান ত্যানা পেচাইতে যামু।

বাদ দেন এই বুদ্ধির ঢেকিমার্কা কথাবার্তা। সমস্যায় জর্জরিত বিশ্ব কিন্তু সমাধান নাই। অন্তহীন সমস্যার পাহার ঠেলে ঠেলে রোজ আমরা একটু একটু করে এগুচ্ছি। সব সমস্যার মুলে আল্লামা তেতুল বাবার তেতুল সমস্যাই কিন্তু প্রধান। আসেন একটু খোলাসা করতে ব্যাপারটার ভেতরে প্রবেশ করি।

আল্লামা শফী ও তেতুলের মধ্যে খুব পরিস্কার একটি র্পাথক্য দৃশ্যমান। বক্তা একজন পুরুষ যিনি একটি ধর্মিও সমাজের নেত্রীত্বে আছেন। আর তেতুল নারী সম্প্রদায়ের প্রতীকি রুপ। অর্থাৎ নারীর উপর পুরুষের কর্ত্বিত্ব যাতে ক্ষুন্ন না হয় তার জন্যই পুরুষের এত আহাজারি। সমস্যার সহজ সমাধান হতে পারে, নারীর অধিকার নারীকে ফিরিয়ে দেয়া।

দিয়ে দাও বললেই তো দিয়ে দেয়া যায় না এখানে আছে নানা রকমের প্রতিকুলতা। র্ধমীও প্রতিকুলতা, পুরুষের আধিপত্তিবাদের প্রতিকুলতা, নারীর সহজাত দুর্বল নারীত্বের প্রতিকুলতা। নারী এবং পুরুষের সহজাত প্রবৃত্তিও এর জন্য কম দায়ী নয় অর্থাৎ উভয়েই উভয়ের পরিপুরক। নারী সাজসজ্জা করে পুরুষকে আকৃষ্ট করতে চায়, অনেকটা শিকার ধরার বাসনা। আর পুরুষের পৌরুষ নারীকে আকৃষ্ট করে।

নারী ও পুরুষের এই মনদৌহিক আচরনের কারনেই আজকের এই সমাজ ব্যাবস্থা গড়ে উঠেছিল। ঠিক তখনি ঘটে যায় দুটি নিরব বিপ্লব, পিতৃতান্ত্রিক ও মাতৃতান্ত্রিক সমাজ ব্যাবস্থার দুইটি ধারা। মাতৃতান্ত্রীক সমাজ ব্যাবস্থাটি ক্রমশ্যই দুর্বল হয়ে পড়ে পুরুষের প্রকৃতি প্রদত্ত কিছু সুবিধা ভোগের কারনে। পুরুষের কোন দায় নেই কিন্তু নারীর দায় সর্বোপরি শৃঙ্খলে আবদ্ধ। পুরুষ সেই দিক দিয়ে ভাগ্যবান পুরুষ র্নিবিগ্নে যা খুশি তাই করে বেড়াতে পারে কিন্তু নারীর সে সুযোগ নেই।

তাই সার্থপর পুরুষ সহবাস প্রক্রিয়ায় অংশ নিয়ে চরমতৃপ্তি লাভ করেই খালাশ ওদিকে নারীর কি হাল তা ভাববার অবকাশ তার নেই। পুরুষের আচরন অনেকটা প্রজাপতির মতো উড়ে উড়ে ঘুড়ে ঘুড়ে মধু আরহনই যেন তার একমাত্র কাজ। নারী উচ্ছিষ্টের মতো পরে থাকে তার দায় বহনের নিমেত্তে। সন্তুান উৎপাদন থেকে প্রতিপালন সমস্ত দায়ই যেন একা নারীর, নারী মুখ বুজে তা করেও আসছে আদিম যুগ থেকে অদ্যাবধি । মহাপুরুষদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নারীকে সর্নিভর করার মুল চিন্তাটি কি এবং কেন? তা কিন্তু সত্যসত্যই ভাববার বিষয়।

কোরবানির গরুর মতো পুরুষ যখন বিয়ের জন্য কন্যা দেখে বেড়ায় নারী তখন মুখ বুজে সেই বিক্রয় বানিজ্যে অংশ নিয়ে কন্যাদায় গ্রস্থ পিতাকে সাহায্য করে। নারীকে স্বমহিমায় উদ্ভাসিত হতে দেয়ার অর্থ হলো তার ভাগ্য সে নিজে র্নিধারন করবে। সেখানে কেউ প্রবেশ করবে না। সেই র্নিধারন করবে তার বর্তমান ও তার ভবিষ্যত। পুরুষ ও নারীর অবাধ মেলামেশায় বাধার যে সামাজিক দেয়াল গুলি আমরা র্নিমাণ করেছি তা কি এমনি এমনি না এর পেছনেও রয়েছে নানাবিধ কারণ কিন্তু যে মোক্ষ লাভের জন্য এই দেয়াল গুলি র্নিমাণ হলো তা কি পরিপূর্ন ভাবে আমাদের সমাজটাকে রক্ষা করতে পারছে, পারছে না, বিভিন্ন অজুহাতে নারী পুরুষ তার পছন্দের সঙ্গি বা সাথিটির সাথে দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছে রসলীলা।

যা আমরা সবাই জেনেও না জানার ভান করে এড়িয়ে চলছি। ধর্ম নীতিবোধ সবই এখানে অচল। মানুষ ও পশুর মধ্যে একটি পার্থক্য সুস্পষ্ট। পশু জন্মের সাথে সাথেই সে তার নিজের পায়ে দাড়িয়ে যায় কিন্তু মানুষের ক্ষেত্রে এটা এতো সহজেই হয়ে উঠে না। তাকে একটি নিদৃষ্ট সময় পযন্ত সঠিক ভাবে প্রতিপালন না করলে তার বেচে থাকাটাই মুশকিল হয়ে পড়ে।

তাই পশুরা যা করতে পারে মানুষ তা করতে পারে না। মানুষকে একটি ছকে বাধা জীবন প্রবাহ তৈরী করতে হয় যার ফলশ্রুতি এই পরিবার প্রথা। বাধা নিষেধ ধর্ম আর অধর্মের ফারাক মানুষকে ঘিরে ধরে। বুদ্ধিমান মানুষ সমস্ত কিছু তুচ্ছ করে সে ঠিকই পৌছে যায় তার প্রকৃত অবস্থানে। রাগ, হিংসা, ভয় ও লোভের বশবর্তি হয়ে মানুষ তৈরী করে নিজের নিজের পৃথিবী সেখানে সে রাজা আর সবাই প্রজা।

মহাপুরুষদের যুদ্ধ আসলে সেই সব রাজাদের বিরুদ্ধে। তাই তারা চান নারী তার নিজের পায়ে দাড়াতে শিখুক আর সমস্ত অন্যায় ও অসংগতিকে পাশ কাটিয়ে বুঝে নিক নিজের নিজের অবস্থান। নারী পুরুষের অবাধ মেলামেশার দেয়াল গুলি ভেঙ্গে ফেলতে হবে। মুখে বলা যত সহজ কার্যে পরিনত করা কিন্তু চাট্টিখান কথা নয়। সমাজপতিদের এই সিদ্ধান্তে পৌছাতে হবে যে, নারী ও পুরুষের মেলামেশা দোষের নয়।

দোষ অস্বাভাবিক গমনে। খাদ্য, ঘুম ও বিশ্রাম যেমন সুস্থ্য জীবনের জন্য অপরিহার্য, যৌন মিলনও সুস্থ্য জীবনের চাবিকাঠি। মানুষ একবারের জন্যেই একটি জীবনের স্বাদ পায় তাকে অযথা হেলা ফেলা করে কাটিয়ে দেয়া মানেই জীবন নয়। জীবনটার পৌনপনিক ব্যাবহার করেই জীবনকে সার্থক করে তুলতে হবে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।