আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন প্রতিবন্ধী খায়রুলের

শারীরিক প্রতিবন্ধী হয়েও খায়রুল মনের অদ্যম ইচ্ছা শক্তি সাহস নিয়ে আমবাগান লিজ নিয়ে তার ভাগ্যের চাকা ঘুরিয়ে দিয়েছেন। বিভিন্ন প্রজাতির আম চাষ করে নিজে লাভবান হয়েছেন, পাশাপাশি তার অধীনে ৭০টি পরিবার কর্মসংস্থানের পথ খুঁজে পেয়েছে। প্রতিবন্ধী হয়েও যে স্বাবলম্বী হওয়া যায় তার প্রমাণ রেখেছেন প্রতিবন্ধী খায়রুল ইসলাম (৪৮)। তবে কয়েকদিনের বন্যায় তার বাগানে কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। তারপরও বর্তমানে তিনি সব মিলিয়ে ৫০ লাখ টাকার মালিক।

তবে সরকার বা  ব্যাংক থেকে কোনো ঋণ তিনি পাননি। প্রতিবন্ধি খায়রুল এখন কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

খায়রুল ইসলাম জানান, অভাব অনটনের সংসারে ২০০১ সালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শারিরীক প্রতিবন্ধীতে পরিণত হন খায়রুল। দুঃসময়ে নিজের স্ত্রী সন্তান তাকে একা ফেলে চলে যায়। মানুষ তাকে করুণার চোখে দেখতে থাকে।

মনের ক্ষোভ ও জেদের বশে খায়রুল নিজের পায়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করতে থাকে।

২০০৩ সালে ব্যাংকের জমানো এসপিএস-এর ২০ হাজার টাকা ভাঙ্গিয়ে মানুষের সাথে ফলের ব্যবসায় নামেন তিনি। প্রতিবন্ধী এই মানুষটি শুধু মনের জোরেই নিজের মেধা ও শ্রমকে কাজে লাগিয়ে মানুষের বাগান লিজ নিয়ে তাতে বিভিন্ন প্রজাতির আম আবাদ করে গত ১০/১২ বছরে কয়েক লক্ষ টাকার মালিক হয়েছেন তিনি।

প্রতিবন্ধী খায়রুল গড়ে তোলেন বোচাগঞ্জ উপজেলার সুলতানপুর পি,এস,পি এগ্রো বাগান। প্রায় ১০ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির আমের গাছ রয়েছে এই বাগানে।

খায়রুল ইসলাম ৩ বছরের জন্য লিজ নিয়েছেন এই বাগানটি। পাশাপাশি আরোর ১০টির মত ছোট বড় আম বাগান প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা দিয়ে লিজ নিয়েছেন তিনি। এ বছর আম হয়েছে ভাল তাই খরচ বাদ দিয়ে লাভের মুখ দেখবেন তিনি। খায়রুল নিজের বাগান নিজেই পরিচর্চা করেন। ফরমালিন বা বিভিন্ন ঔষধ মিশিয়ে আম না পাকিয়ে বরং তিনি বাগানের আম গাছে পাকানো অবস্থায় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে বাজারজাত  করেছেন।

ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের ব্যবসায়ীরা তার বাগানের আম্রপলি, ল্যাড়া, সূর্যপুরি, গোপালভোগ, মিশ্রিভোগসহ নানা প্রজাতির আম দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে থাকেন। প্রতি বছরই ১০/১২টি বাগান লিজ নিয়ে তিনি নিজে সহ প্রায় ৭০টি পরিবারের মানুষ এখন সাবলম্বির পথে। এক সময়ের দরিদ্র কৃষক খায়রুল এখন কোটিপতি হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন।

তার পিএইচপি অ্যাগ্রো সুলতানপুর, বোচাগঞ্জ বাগানের ইনচার্জ ফরষ্টে ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিদুর রহমান জয়-এর সার্বিক সহযোগিতা ও পরামর্শে প্রতিবন্ধি খায়রুল অনুপ্রাণিত হয়েই ব্যাপক সাফল্য ও সুনাম অর্জনের পাশাপাশি এখন আর্থিকভাবে সাবলম্বি।  



সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.