আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সাধের রিক্সা



উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানের রিক্সা গুলো রিক্সা চালকদের দিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্যাপারটি খুবই আনন্দদায়ক। আপনি কি বলেন? রিক্সাগুলো একটু স্প্যাশাল ভাবেই তৈরি হয়েছে। ওই রিক্সগুলোয় যারা উঠবেন তারা অবশ্যই নিজেদের সৌভাগ্যবান মনে করবেন। আর তা ছাড়া ওই রিক্সায় চেপে বসলে মানসম্মানের দিকে তাকিয়ে হলেও তাদের ভাড়াটা একটু বেশিই দিতে হবে।

রিক্সায় উঠতে আগে ভিষণ ভালো লাগতো। এখন রিক্সায় উঠতে অনেক চিন্তা ভাবনা করে উঠতে হয়। তাদের আচার-আচরণ অনেক খারাপ হয়ে গেছে। আগে রিক্সা চালকরা সৌখিন ছিলেন। তাদের মন ছিল উদার।

নিজেদের মর্জাদা ও অবস্থান সম্পর্কে তাদের বেশ ভালই জ্ঞান ছিল। কিন্তু এখন তাদের অবস্থার ভীষণ পরিবর্তন হয়েছে। তাদের নিজেদের কে এখন পেসেঞ্জারের সমতূল্য বলে মনে করে। যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করে। অবশ্য আমি সকল রিক্সাচালকদের বলছি না।

তবে বেশির ভাগ রিক্সা চালকদের কথা বলছি। আগে মহিলাদের নিয়ে তাদের একটা আলাদা সম্মান দিত। কিন্তু এখন সুন্দরী ব্যতিত কোন মহিলাকে রিক্সায় ওঠাতে তাদের চিন্তা ভাবনা করতে হয়। আর যদিওবা ওঠে তাহলে তাদের নাজেহাল করে ছারে। আগে দেখতাম মা খালারা রিক্সা চড়লে রিক্সাচালক ভাইরা তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দিত এবং তাদের বাসে চড়ার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা করত।

তাদের মালসামানাগুলোও গাড়িতে এগিয়ে দিত। আবার বাস কন্ডাক্টরকে বলত সাবধানে যেন তাদের নামিয়ে দেয়। এখন তারা মহিলাদের বলে মহিলা মানুষ নিলেই যত্ত সব ঝামেলা। নামতে উঠতে এতো সময় নেয় যে তাদের জন্য আরেকটা পেসেন্জার আমি মিস করি। আরোতো নোংড়া কথা আছেই।

একবার ভেবে দেখুনতো রিক্সায় চড়েছেন আর তাদের সাথে বাকযুদ্ধ হয়নি বা মনমালিন্য হয়নি এমন ঘটনা বর্তমানে আছে কি না। তাদের প্রতি আমাদের এক প্রকার সহমর্মিতা ছিল। তাদের গরীব বলে কিছু কিছু সময় মন উজার করে সাহায্য করার মানষিকতা তৈরি হতো। কিন্তু এখন তাদের ঘৃণা করা ছাড়া আর কিছুই করার নেই। এখনকার রিক্সাচালকদের মন থেকে মায়া-মমতা উঠে গেছে।

তাদের কাছ থেকে অভদ্র আচরণ ছাড়া তেমন কিছু মেলে না। অথচ আমাদের ঐতিহ্য এই রিক্সা। আসুন আমরা তাদের বুঝানোর চেষ্টা করি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।