আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

কি পরিমাণ টাকা নিয়ে বাঁশেরকেল্লা মাঠে নামছে!

"Dream is not what you see in sleep, It is the thing which does not let you sleep" সাইদী লিক্সের পর ইউটিউব থেকে বুশের ভাষণের ভিডিও পেজে পোস্ট করে বাঁশেরকেল্লা ঘোষণা করে যেহেতু বুশের ভাষণ নকল করা যায় সেহেতু মোবাইল আলাপও সাইদী কন্ঠ দিয়ে তৈরি করা যায়। বুশের ভাষণ তৈরিতে বাঁশেরকেল্লার কৃতিত্ব নাই। ভিডিওর কন্ঠও ইংরেজিতে বাঁশেরকেল্লা ভিডিও এডিটর দিয়ে বটমে সাবটাইটেল এড করে দেয় কাজ বলতে এতটুকুই। ফেসবুকে ছাগু পেজ কম না। লাইকের দিক থেকে আয়তনে বিশাল পেজ গুলা ছাগুদের আস্তাচলে পরিনত হইছে।

পেজ থেকে আপডেট দেয়া হয় মিনিটে-ঘন্টায়। হট টপিকে যাই থাক সেটা দল বাইন্দা শেয়ার করে নেকি কামায়। সাইদী সাব বিপদে তারে উদ্ধার করতে হইবে এই তাড়নায় জবাব দেয়ার মত কিছু একটা তারা খুজতেছিল। বাঁশেরকেল্লা সবার আগে এই জবাব দিয়ে লাইম-লাইটে চলে আসে। ১১ ফেব্রুয়ারী থেকে বাঁশেরকেল্লা দেখা যাচ্ছেনা।

বাঁশেরকেল্লা এমন একটি পেজ যা বন্ধ হওয়াতে নয়া দিগন্ত আর সংগ্রামের প্রথম পাতায় রিপোর্ট আসে। শিকড়ের গভীরতা বুঝতে হবে। ফেসবুক পেজ বন্ধ করেনি শুধু বাংলাদেশের কিছু অঞ্চল থেকে দেখা যাচ্ছেনা। তাই বলে পেজে পোস্ট বন্ধ হয়নি কিংবা পোস্টগুলোতে লাইকের সংখ্যা কমেনি। তিন মাসে তেতাল্লিশ হাজার লাইক কম অর্জন না।

তো পেজ বাংলাদেশের কিছু অঞ্চল থেকে দেখা যাচ্ছে না এজন্য নতুন উদ্যমে বাঁশেরকেল্লা মাঠে নেমেছে। ১২ তারিখে একসাথে ৪-৫ টা বাঁশেরকেল্লার ফেসবুকে আগমন ঘটে। কোনটা রিয়েল বাঁশ সেটা ছাগুরাও ইনডিকেট করতে পারছিল না। বাঁশেরকেল্লা ঠিকই লাইকার টেনে এগিয়ে যায়। এত্ত লাইক! টেক্সট বুকে স্থান পাওয়া মুক্তিযুদ্ধের পেজ ১৯ মাসে লাইকার ঊনষাট হাজার সেখানে মাত্র ১৯ দিনে এক লক্ষ দুই হাজার লাইক!!! ইংল্যান্ডের ক্লাব ম্যানইউ একদা লাইক গ্রোয়িং এ সব পেজ ছাড়িয়েছিল।

বাংলাদেশের মোহামেডান-আবাহনীর জন্য বাঁশেরকেল্লা হবে রোল মডেল। ১২ তারিখে ক্রিয়েট হয়ে মাত্র ১৯ দিনে লাইকার ১০২,৪৯৬!!! এবং পেজে নিয়মিত বা একাধিক বার আসছেন এমন পাবলিকের সংখ্যা দুই লক্ষ চার হাজার! ক্যামনে সম্ভব? মাঝখানে একবার খবর বেরিয়েছিল ফেসবুক নাকি টাকা দিয়ে ব্যাবহার করতে হবে। নাহ! জুকার এত টুকু নির্দয় হয়নি। আবার চাইনিজ মেয়ের পাল্লায় পড়ে তুলসি পাতাও থাকেনি। সে নিউজফিড আর সাইডবারে নিয়ে এসেছে বিজ্ঞাপনের ঝুড়ি।

এত এত বিজ্ঞাপন দেখে কেউ টাকা দিয়ে বিজ্ঞাপনহীন ফেসবুক চাইলেও আশ্চর্যের থাকবেনা। বিজ্ঞাপনের একটা ফর্মুলা পেজ প্রমোশান। এখন আলাদা আলাদা ভাবে ফেসবুক পোস্ট প্রমোট করতে দিচ্ছে। প্রত্যেক পোস্ট ৫ কিংবা ১০ ডলারে প্রমোট হবে যা অন্যদের সাইডবারে প্রদর্শিত হবে। ৫ ডলারে লাইকার বাড়বে ২৮০০ থেকে ৫২০০ জন।

১০ ডলারে লাইকার বাড়বে ৪৭০০ থেকে ৮৪০০ জন। একবার ১০ ডলারে প্রমোট করলে পোস্টটি নূন্যতম ৪৭০০ লাইক পাবেই,পোস্ট হিট হলে ৮৪০০ তে পৌঁছুবে। ফেসবুক সাইডবারে সম্প্রতি বেশ নজর কাড়ল। বাঁশযুক্ত দুর্গ কিছু বলতে চাচ্ছে। কি দেখা যাচ্ছে! বাঁশেরকেল্লার লাইকের উৎস পোস্ট প্রমোশান।

যে কোন স্ট্যাটাস বা ফটো পোস্ট করার সাথে সাথে ১০ ডলার দিয়ে প্রমোট করে দেয়া হচ্ছে তা অন্য দের হোমপেজে,সাইডবারে শো করছে। বাঁশেরকেল্লা পোস্ট করার সাথে সাথে সেটা প্রমোট করে দেয়। কেউ একজন লাইক দিলে ফেসবুক তা প্রদর্শন করে তার অন্যদের নিউজফিড,সাইডবারে। যত লাইকার বাড়বে ক্রমে তা অন্যদের হোমপেজে ছড়িয়ে পড়তে থাকবে। বাঁশেরকেল্লা পেজে ঘন্টায় পোস্ট দেয়া হয় গড়ে ৪২ টি।

গত চব্বিশ ঘন্টায় পোস্ট দেয়া হয়েছিল ১০০০ টি। প্রত্যেক পোস্ট ১০ ডলার করে প্রমোট করলে ফেসবুককে দিতে হয় ১০,০০০ ডলার। বর্তমান বাজারে ১ ডলার সমান ৮৫ টাকা। ১০০০০ ডলার = ৮৫০০০০ টাকা। ১০ ডলার করে ঘন্টায় ৪২ টি পোস্ট দিলে ১৯ দিনে মোট ব্যয় হয় ১৬১৫০০০০ টাকা।

যদি ৫ ডলার করে পোস্ট প্রমোট করা হয় তাহলে ১৯ দিনে ব্যয় হয়েছে ৮০৭৫০০০ টাকা। আবার যদি বাঁশেরকেল্লা সবগুলো পোস্ট প্রমোট না করে এর অর্ধেক পরিমাণ পোস্টও প্রমোট করে তাহলে ১০ ডলারের জন্য খরচের পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০৭৫০০০ টাকা ও ৫ ডলারের জন্য খরচ হবে ৪০৩৭৫০০ টাকা। শুধুমাত্র একটি ইস্যুতে পোস্ট করার জন্য কে বা কারা এত টাকা ব্যয় করল? অনবরত কেন ব্যয় করছে? বাঁশেরকেল্লা কি কোন সংস্থা? তাদের এই অর্থের উৎস কি? শাহবাগের আবেদন সহবস্থান নয়,সঙ্গত্যাগ। লিস্টে ছাগুপেজ লাইকার কেউ দেখলেই রিমোভ করা দার্তব্য। আপনার লিস্টে কেউ এই পেজে লাইকার হলে তা ছড়িয়ে পড়বে আপনার হোমপেজে।

একটা লাইক দিলে ফেসবুক স্পন্সর করে দেখাবে আপনার সকল বন্ধুদের নিউজফিড,সাইডবারে। ফেসবুক লাইক একটি বাইনারী ব্যাধি,পেজে স্পন্সর করা হলে তা ভাইরাস আকারে ছড়িয়ে পড়ে। এটা সহজে অনুমান করা যায় বাঁশেরকেল্লা কার হয়ে লাইকার বাড়াতে টাকা ব্যয় করছে। তাদের উদ্দেশ্য কি সেটাও কারো অজানা নয়। আমরা দেখেছি জন্মযুদ্ধ টাকা দিয়ে বই কিনেছিল।

তারা টাকা দিয়ে লাইকার কিনছে। সত্য মিথ্যার পার্থক্য থাকবেই। কখনো পার্থক্য খুঁজে নিতে হয়,এখন সময়ই পার্থক্য গড়ে দিয়েছে। [[ সংগৃহীতঃ http://www.amarblog.com/dice/posts/161339 এই ঠিকানা থেকে ]]  ।

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.