আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

টরন্টো পুলিশ গ্রেফতার করেছে বাংলাদেশী প্রতারকচক্রকে



বাংলাদেশি মালিকানাধীন দেশী মুভারস কোম্পানীর সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রকে গ্রেফতার করেছে টরন্টো পুলিশ। গত ২০ মে কোম্পানীর মালিক সৈয়দ আলতাফ হোসেনের বাড়ি ও অফিসে একটি অভিযান পরিচালনা করে পুলিশ। সেখান থেকে গ্রেফতার করে মোট নয়জনকে। উদ্ধার করে নগদ ২০ হাজার ডলার, ১৩টি মুভিং ট্রাক ও দুইটি গাড়ি । গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সৈয়দ আলতাফ হোসেনের দুই পুত্রও রয়েছে।

কানাডার মেইনস্ট্রিমের টিভি, রেডিও ও পত্র-পত্রিকায় এই সংবাদটি বেশ ফলাও করে প্রচার করা হয়। পুলিশ জানায়, সৈয়দ আলতাফ হোসেনের মালিকাধীন মুভারস কোম্পানীটি দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশী কমিউনিটি সহ অসংখ্য কানাডিয়ানদের সাথে প্রতারণা, জোরপূর্বক টাকা আদায়, চুক্তিভঙ্গ, হুমকি দেয়াসহ নানারকম অপকর্মের সাথে জড়িত ছিলো। এই অপকর্মে তার সার্বক্ষনিক সঙ্গী ছিলো নিজের সন্তানরা। তারা হলেন সৈয়দ আরিফ আদনান হোসেন, সৈয়দ অমিত মনোয়ার হোসেন, সৈয়দ তামিম রেজু হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে ১৬০টি চার্জ নথিভুক্ত করেছে পুলিশ।

শুধু তাই নয় নাগরিকদের সতর্ক করতে কিছুদিন আগে একটি ‘সাবধাণী বার্তা’ও প্রচার করে পুলিশ। তাতেও টনক নড়েনি এই প্রতারক চক্রের। অবশেষে পুলিশ এ্যাকশনে যায়। জানা যায়, দেশী মুভারস এর মালিক ও তার ছেলেরা গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন এথনিক পত্রিকায় অল্প পয়সায় মালামাল আনা নেওয়ার কথা বলে বিজ্ঞাপন দিতো। কোনো গ্রাহক ফোন করলে রেট দেয়া হতো অন্যদের চেয়ে অনেক কম।

তারপর গ্রাহকের সঙ্গে চুক্তি করে অগ্রিম অর্ধেক টাকা নিয়ে নিতো। এরপরই শুরু হতো তাদের প্রতারণা। মালামাল গাড়িতে তোলার পর থেকেই দাবি করতো কয়েকগুণ বেশি টাকা। টাকা দিতে না চাইলে ‘সমস্ত মালামালা গার্বেজ করা হবে’ এই হুমকি দিয়ে গ্রাহককে মানসিকভাবে দুর্বল করে ফেলা হতো। কখনো কখনো রাস্তায়ও ফেলে দিতো।

গ্রাহক পুলিশ ডাকতে চাইলে বলতো ‘পুলিশ আমাদের কিছুই করতে পারবে না। বরং আপনার ঝামেলা বাড়বে’ । এসব ঝক্কিতে না যেয়ে গ্রাহক তাদের দাবিমতো টাকা পরিশোধ করতো। ৫০০ ডলারে চুক্তি করে গ্রাহকের কাছ থেকে ৬০০০ ডলার আদায় করে নিয়েছে এই প্রতারকচক্র এমন অভিযোগও রয়েছে। প্রতারিতরা কানাডার বিভিন্ন মিডিয়াকে ইমেইলে এই ঘটনাগুলো জানাতে থাকে।

টরন্টো ষ্টারের একটি নিউজ টীম অনুসন্ধান চালিয়ে এসব প্রতারণার সত্যতা খুজেঁ পায় এবং টরন্টো পুলিশকে সকল ডকুমেন্টস সরবরাহ করে। এরই প্রেক্ষিতে পুলিশ এদের গ্রেফতার করে। এদের গ্রেফতারের সংবাদ স্থানীয় সংবাদপত্র, রেডিও ও টিভিতে প্রচার হওয়ার পর অনেকেই দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকমকে ফোন করে এই প্রতারক চক্রের আরো অনেক প্রতারণার তথ্য জানিয়েছেন। একজন মিডিয়া ব্যক্তিত্ব জানালেন, এরা নির্বিঘ্নে প্রতারণা চালিয়ে যাবার জন্যে কয়েকদিন পরপরই কোম্পানীর নাম পরিবর্তন করে পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিতো। আবার কয়েকটি মুভারস কোম্পানীর নামে একই অফিস ব্যবহার করতো।

কিন্তু আলাদা ফোন নাম্বার ব্যবহার করতো। টরন্টোর ডাউনটাউনে বসবাসরত একজন বাংলাদেশী শিক্ষক জানালেন, ৪৫০ ডলারে চুক্তি করে নানা অজুহাত ও হুমকি দেখিয়ে এরা আদায় করে ২৩৫০ ডলার। বাংলাদেশি এই পরিবারের প্রতারণার খবরে কমিউনিটিতে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ধরনের কিছু অসৎ মানুষের কারণে আমাদের কমিউনিটির ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। news from... (দ্য বেঙ্গলি টাইমস ডটকম http://www.probaha protidin.com.bd


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।