আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী ফ্লাইওভার চালু ২২ সú

আগামী মাসেই চালু হচ্ছে গুলিস্তান-যাত্রাবাড়ী মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভার। বেসরকারি উদ্যোগে প্রথমবারের মতো নির্মিত হতে যাওয়া নগরীর দীর্ঘতম এ ফ্লাইওভারটি ২২ সেপ্টেম্বর উদ্বোধন করা হবে বলে জানিয়েছে এর অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠান ওরিয়ন গ্রুপ। তারা বলেছে, কয়েক মাসের হরতালের কারণে এর কাজ পিছিয়ে যায়। সব ঠিকঠাক থাকলে এবার আর তারিখ পেছানোর সম্ভাবনা নেই। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এটি চালু হলে নগরীর যানজট অনেকটাই কমবে। ২০১০ সালের জুনের শেষ দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়াল সড়কের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।

যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গত মাসে যাত্রাবাড়ী সড়ক ও ফ্লাইওভার কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করতে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, সেপ্টেম্বরে যাত্রাবাড়ী-গুলিস্তান মেয়র মোহাম্মদ হানিফ ফ্লাইওভারের মূল অংশ যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তান হয়ে পলাশীর মোড় পর্যন্ত প্রায় ১১ কিলোমিটার এ ফ্লাইওভার নির্মাণ করা হচ্ছে পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট-পার্টনারশিপ) পদ্ধতিতে। এতে অর্থায়ন করছে ওরিয়ন গ্রুপ। প্রকল্প তত্ত্বাবধান করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। প্রকল্পটি তৎকালীন ঢাকা সিটি করপোরেশন ২০০৫ সালে গ্রহণ করে। ওয়ান-ইলেভেন-পরবর্তী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে এ প্রকল্পের কাজ স্থগিত রাখা হয়। বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এ ফ্লাইওভার প্রকল্প আবার চালু হলে ২০১০ সালের প্রথম দিকে নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ সময় ফ্লাইওভারের দৈর্ঘ্য সাড়ে ৪ কিলোমিটার থেকে বাড়িয়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার করা হয়।

প্রকল্প পরিচালক আশিকুর রহমান জানান, গত কয়েক মাসের হরতালে ফ্লাইওভারটির নির্মাণকাজ দারুণভাবে ব্যাহত হয়েছে। এ ফ্লাইওভার নির্মাণে অধিকাংশ বিদেশি প্রকৌশলী কাজ করছেন। কিছু দিন আগে হরতালের মধ্যে কাজ করার সময় এক বিদেশি প্রকৌশলী ককটেল বিস্ফোরণ আর পুলিশের টিয়ার শেলের মধ্যে পড়ে অজ্ঞান হয়ে যান। এর পর থেকে হরতালের আগের দিন এবং হরতালের দিন বিদেশি প্রকৌশলীরা কাজ করছেন না। ফলে কয়েক মাসে ফ্লাইওভারের নির্মাণকাজ অনেকখানি পিছিয়ে যায়। প্রকল্প পরিচালক জানান, এরই মধ্যে ফ্লাইওভারের ৯০ শতাংশ নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। স্বাভাবিক গতিতে কাজ চললে আগামী মাসে এ ফ্লাইওভার উদ্বোধন করা হবে।

ডিসিসি দক্ষিণের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, উদ্বোধনের পর ওরিয়ন গ্রুপ নিজেই এর ব্যবস্থাপনা, টোল আদায় এবং রক্ষণাবেক্ষণ করবে। চালুর পর থেকে ২৪ বছর টোল আদায় করবে ওরিয়ন গ্রুপ। টোল আদায় করেই তারা নির্মাণ ব্যয় তুলে নেবে। এরপর এটি হস্তান্তর করা হবে ডিসিসির কাছে। উড়াল সড়কটির ধারণক্ষমতা ২০০ টন এবং স্থায়িত্বকাল ১০০ বছর। এটি ৩০টি জেলার সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করবে।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/     দেখা হয়েছে বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.