আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

স্বর্ণ উদ্ধার হলেও ফেরত পান না মালিকরা

প্রতিবছরই দেশজুড়ে বাড়ছে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতি। তবে চাঞ্চল্যকর এসব ডাকাতির ঘটনা বরাবরই থেকে যাচ্ছে আড়ালে। বেশির ভাগ পড়ছে ধামাচাপা। আবার ডাকাতির স্বর্ণ উদ্ধার হলেও আইনি জটিলতার মারপ্যাঁচে তা ফেরত পান না সংশ্লিষ্ট জুয়েলারি মালিক। দেশে গত এক দশকে স্বর্ণের দোকানে শতাধিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। তবে এর মধ্যে প্রায় অর্ধশতই ঘটেছে চলতি বছর।

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রায়ই প্রকাশ্য দিবালোকে ঘটছে স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনা। দুর্ধর্ষ এসব ডাকাতির সময় ব্যবসায়ী, বিক্রয়কর্মী ও নিরাপত্তাপ্রহরী নিহত হওয়ার ঘটনাও ঘটছে অহরহ। বোমাবাজি, গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে সংঘটিত ডাকাতির ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর সিলেটের নেহার মার্কেটে তিনটি স্বর্ণের দোকানে ডাকাতির ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বাজুস বলেছে, আল বারাকা জুয়েলার্স, কমলা ভাণ্ডার ও পরমা জুয়েলার্সে প্রকাশ্যে ঘটেছে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা। প্রতিটি ঘটনায়ইডাকাত দল বিপুল পরিমাণ স্বর্ণলঙ্কার লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনার বর্ণনা শুনে আতঙ্কে আছেন স্বর্ণের ব্যবসায়ীরা। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাজুস সভাপতি ডা. দিলীপ রায় বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, গত এক দশকে দেশে ঘটেছে শতাধিক ডাকাতির ঘটনা। এর মধ্যে প্রায় অর্ধশতই সংঘটিত হয়েছে চলতি বছর। ডাকাতির ঘটনার প্রকৃত অপরাধীরা সব সময়ই থেকে যাচ্ছে ধরাছোঁয়ার বাইরে। অনেক সময় দু-একটি ঘটনায় লুটকৃত স্বর্ণ উদ্ধার হলেও জুয়েলারি মালিকরা তা ফেরত পান না। তার মতে, স্বর্ণ লোভনীয় হওয়ার কারণেই বেশি ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। বাজুসের তথ্যমতে, চলতি বছর বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে খোয়া গেছে ইসলামপুরের সুবল পোদ্দার জুয়েলার্সের ২২৭ ভরি, ইস্টার্ন প্লাজায় নিউ ববি জুয়েলার্সের ৩৫০ ও নিপুণ জুয়েলার্সের ১২০, নিউ জোনাকী জুয়েলার্সের ৫০০, নারায়ণগঞ্জের রিফাদ জুয়েলার্সের ২৯০, ময়মনসিংহের আলীম জুয়েলার্সের ৪০০ ভরি স্বর্ণ। ২০১২ সালে কচুক্ষেতে স্বর্ণালি জুয়েলার্সের ৫০১ ভরি, ইস্টার্ন প্লাজার শতরূপা জুয়েলার্সের ১৮৮ ও গ্রামবাংলা জুয়েলার্সের ৭৫০, আনারকলি সুপার মার্কেটের ঊর্মি জুয়েলার্সের ২০৫, মিরপুরের মমতা জুয়েলার্সের ১৬১ ও নিউ সানন্দা জুয়েলার্সের ২০০, পল্টনের সানফ্লাওয়ার জুয়েলার্সের ১২৫০ ভরি স্বর্ণ। এ ছাড়া বিগত এক দশকে রাজধানীতে স্বর্ণের দোকানে উল্লেখযোগ্য ডাকাতির ঘটনায় খোয়া গেছে বনানীর নিউ হীরা জুয়েলার্সের ১১৬৬ ভরি, আমিন জুয়েলার্সের ১০৭৬, দেওয়ান জুয়েলার্সের ৭০০, প্রেয়সী জুয়েলার্সের ৭৫০, পরমা জুয়েলার্সের ১৮০০, আইকে জুয়েলার্সের ২৪০০, কনিকা জুয়েলার্সের ৩৪০০, প্রিন্স জুয়েলার্সের ৭০০, ভেনাস জুয়েলার্সের ৪৫০০, মহানগর জুয়েলার্সের ২৪০০, সুলতানা জুয়েলার্সের ৩৪৭৩, নুর জুয়েলার্সের ৯৯২, পিংক পার্ল জুয়েলার্সের ৭০০ ও সানফ্লাওয়ার জুয়েলার্সের ৩৫০০ ভরি স্বর্ণ।

সোর্স: http://www.bd-pratidin.com/

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.