আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

দার্জিলিং (ছবিয়াল পোস্ট)



বাসার ওয়্যারড্রোবে আমার জন্য বরাদ্দ ড্রয়ারটায় কিছু জায়গা খালি করার জন্য কয়েকটি পুরাতন কাপড়-চোপড় সরাতেই চোখে পড়ল ছবির অ্যালবামটা । পাতা উল্টাতেই ফিরে গেলাম ২০০৫ এ । ফ্ল্যাশব্যাকে ভেসে উঠল স্মৃতির সেলুলয়েডে বন্দি থাকা কিছু ছবি – কিন্তু কিছুটা ঝাপসা সেই ছবি – ভিডিও টেপের ফিতা বহু বহু দিন হয়ে গেলে আর ধূলো জমলে যেমনটা হয়ে যায় । অ্যালবামটায় যেমন কিছুটা পড়েছে স্যাঁতসেঁতে কোটিং, তেমনি দার্জিলিং ভ্রমণের স্মৃতিতে জমেছে ধূলোর পলল । ২০০৫ এর মধ্য এপ্রিলের এক রোদ ঝলমলে দিনে বাংলাদেশের বর্ডার পেরিয়ে মধ্য দুপুর নাগাদ শিলিগুড়িতে ।

চারজন আমরা । সেখান থেকে দার্জিলিংয়ে যাবার জীপে উঠলাম । শুরু হল পথ চলা । আগে থেকেই শীতের জামা কাপড় মূল ব্যাগ থেকে সরিয়ে ছোট্ট আরেকটি ব্যাগে নিয়েছিলাম । উপকারিতা পেলাম বেশ কিছুদুর যাবার পর ।

জীপ কি সুন্দর উপরের দিকে টেনে তুলছে আমাদের । শীত শীত লাগতে থাকল একসময় । আর কী আশ্চর্য ! ঠান্ডা সুশীতল বাতাসে যেন ভিতরটা ফাঁকা হয়ে যেতে লাগল । অদ্ভূত সে অনুভূতি ! এই শূণ্যতা সৃষ্টি যেন সৌন্দর্যের পরশে পূর্ণতা পাবার জন্যই । বিকেল নাগাদ দার্জিলিং ।

বিকেলের আলোয় দার্জিলিংঃ সন্ধ্যা গড়ালো, আমরাও ম্যলে । জীবনের কী উচ্ছাস এই ঠান্ডাতেও । ম্যলে সবসময়ই জনসমাগম থাকে, আশেপাশেই নানান দোকান । শো-পিস, কাশ্মিরি শাল কেনা হল । পরদিন বেরিয়ে পড়লাম ঘোরার জন্য ।

ভোরে টাইগারহিলের উদ্দেশ্যে যাবার মিছিলে শামিল আমরাও । কিন্তু ভাগ্যে নেই চিরবরফের পাহাড়ের ওপর প্রথম সূর্যের মিষ্টি কমলা রং এর মাখামাখি দেখা । আকাশ পরিস্কার না থাকলে এটা অনেকের ভাগ্যেই জোটে না । লাল সূর্যটা দেখলাম কিন্তু তাও বেশ কিছুক্ষণ পর । কিভাবে যেন কালেকশন থেকে এই ছবিটা মিস হয়ে গেল ।

ঘুরতে ঘুরতে রক গার্ডেন । জলধারার উৎস খুঁজতে খুঁজতেই কি রেলিং দেয়া সরু পথ বানানো শহুরে যান্ত্রিকতার পটভূমিতে যতটা না, প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝে উপাসনালয় ততটা অসামান্য মনে হয় । দেখুন পথে যেতে যেতে বর্ণিল ফুল আর দুর্দান্ত পাহাড়ি বাঁক । আরো কত বর্ণিল ফুল যে চোখে পড়েছিল । বর্ণিল ফুলের মতই বর্ণবহুল দার্জিলিং এর বাড়িগুলো ।

পরে আফসোস হয়েছিল কেন যে রং বেরং এর বাড়িগুলোর ছবি তুলিনি ! চলতি পথে আরেকটি ছবি । ঘুরেছি গঙ্গামায়া পার্কও । একটি পাহাড়ি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান । মিরিক । বরফ গলা ঝরণার ধারা দিয়ে প্রাকৃতিকভাবে ৈতরি মিরিক লেক ।

লেকের পানিতে প্যাডেল বোট চালানো । আহা । আরেকটি ছবি । একজনের পরীক্ষা ছিল বলে ভ্রমণ দীর্ঘ হয়নি । কালিংপং টা মিস হল ।

যা হয়েছে তাও কিছুমাত্র কম নয় । পোস্ট বড় হয়ে গেছে তাই আর কোন ছবি নয় । এবার একটা গান । দার্জিলিং নিয়ে নিচের গানটা ছাড়া এরচে’ ভাল কোন গান আমার শুনার সৌভাগ্য হয়নি । লিখতে গিয়ে মনে পড়ল অঞ্জন দত্তের সেই গানটি ।

কিছু লাইন ( লিরিক্স ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী ) । খাদের ধারের রেলিংটা সেই দুষ্টু দো দস্যি রিংটা আমার শৈশবের দার্জিলিংটা । ........................... .....................। । খাদে নামতে আজ ভয় করে নেই যে কেউ আর হাতটাকে ধরার ।

বাংলাদেশের পাহাড়ি সৌন্দর্য দেখা: ## ফিরে এলাম সাত পাকে বাঁধা ঢাকায়; নীলগিরি,নীলাচল আবার ডাকছে আয়, আয়, আয় View this link

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।