আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

একজন কুমারী মেয়ের মা হওয়ার সম্ভাবনাঃ বৈজ্ঞানিক ভিত্তি

চুশীল/প্রগুদিশীল/প্রচুদিশীল ব্লগার দ্বারা সাম্প্রদায়িক ঘোষণা করা হয়েছে।

আমরা জানি স্ত্রী-ভীমরুল, স্ত্রী-মাছ, স্ত্রী-পাখী, এবং স্ত্রী-টিকটিকি, এরা সবাই এদের পুরুষ সঙ্গীর সাথে যৌন ক্রিয়া ছাড়াই ডিম/বাচ্চা দিতে পারে। উল্লেখ্য, ঐ প্রাণীগুলোর কেউ-ই স্তন্যপায়ী নয়। মানুষ হচ্ছে স্তন্যপায়ী। প্রশ্ন জাগতে পারে স্তন্যপায়ী প্রাণী জগতের বাসিন্দা তথা একজন কুমারী মেয়ের মা হওয়ার সম্ভাবনা কতটুকু!! উত্তর হচ্ছে, হ্যাঁ, একজন কুমারী মেয়েরও (কোন রকম যৌন সম্পর্ক ছাড়া) মা হওয়ার সম্ভব।

ইহার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে এবং দিন দিন বিজ্ঞানের উন্নতির ফলে এই আশা করাই যেতে পারে। এক্ষেত্রে কিছু বিরল ঘটনা ঘটতে হবে এবং এইসব ঘটনাগুলো ঘটার সম্ভাবনা ভার্চুয়ালি শূণ্য। একজন কুমারীকে মা হতে হলে তার নিজের ডিম্ব-গুলোর একটিকে অবশ্যই গর্ভ-নিষেক নির্দেশক জৈব-রাসায়নিক পরিবর্তন করতে হবে এবং শুক্রানু ডিএনএ'র অভাব পুরণের জন্য অস্বাভাবিকভাবে বাড়তে হবে। এই ব্যাপারটা অনেকটাই সহজ এবং ডিম্ব বা ডিম্ব-পূর্ব অবস্থার কোষগুলোতে এই ঘটনা ঘটতে পারে, যার সম্ভাবনা কয়েক হাজার মহিলার মধ্যে একজন। কিন্তু একটা সফল বাচ্চা দিতে ডিম্ব'কে কমপক্ষে দু-টো বিশেষ জ্বীনগতভাবে মুছন কাজ করতে হবে।

স্পাইক সেন্স করার পর ডিম্ব ভাগ হতে শুরু করে। শুক্রানু প্রবেশের সময় ইহা স্বাভাবিকভাবেই ঘটে। কিন্তু সতঃস্ফুর্ত ক্যালসিয়াম স্পাইকও দেখা যেতে পারে, সে ক্ষেত্রে ডিম্ব তার কাজ যথারীতি শুরু করতে পারে। ত্রুটিযুক্ত শুক্রানু (যাতে ডিএনএ নাই) ফেইক ক্যালসিয়াম স্পাইক তৈরি করতে পারে। নিষেক হওয়ার পর ডিম্ব কোষ বিভাজনের ফাইনাল স্টেইজ সম্পন্ন করতে পারে (মিওসিস-২) ।

এই সময় ডিম্ব তার অর্ধেক জ্বীনবস্ত হারায়, যাতে শুক্রানুর ডিএনএ স্থান পেতে পারে। কিন্তু যদি শুক্রানু না থাকে তাহলে বিভাজিত প্রত্যেক অর্ধ-ডিম্ব কোষ আস্তে আস্তে কমে আসবে এবং উভয় কোষের মৃত্যু ঘটবে। কুমারী জন্মদান অব্যাহত রাখতে হলে অনিয়মতান্ত্রিকভাবে নিষিক্ত ডিম্বের মিওসিস প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দেয়া যাবে না। মানবজাতির মধ্যে যৌনসংসর্গ ব্যতীত সন্তানজন্ম (Parthenogenesis ) আপাতঃদৃষ্টিতে সম্ভব নয়। কারণ, ডিম্বানু এবং শুক্রানু উভয়ের সিগন্যালই প্রয়োজন।

একটা অনুপস্থিত থাকলে অন্যটা প্রকট থাকবে এবং ফাইনালি নিষিক্ত ডিম্ব মারা যাবে। এই প্রবলেম দূর করার অবশ্য একটা উপায় আছে। জাপানের একটা টিম, একজোড়া মাতৃ-জ্বীন দূর করে সফল একটা ইঁদুরের বাচ্চা জন্ম দিতে সফল হয়েছে। কাজেই, মানবজাতির মধ্যে কুমারী মাতার সন্তান জন্মদান সম্ভব হলেও তার সম্ভাবনা খুব-খুব-খুব-খুবই কম। মূলত এই যে জ্বীনগত মুছনকার্য, ইহার সম্ভাবনা এক বিলিয়নভাগের একভাগ।

ধন্যবাদ সবাইকে। (বিঃ দ্রঃ আমি জীব-বিজ্ঞানের ছাত্র নই, তবে মাইটোসিস/মিয়োসিস পড়েছিলাম এইচএসসি'তে। ভুল হলে ক্ষমাপ্রার্থী)


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.