শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ কে আজাদের কাছে কারখানাটির মালিকানা হস্তান্তর করা হয়।
এ সময় মিলটির ২০ জন মৃত শ্রমিককে পরিবার প্রতি বকেয়া বেতন বাবদ ২৫ হাজার টাকার চেক প্রদান করা হয়।
আগামী ডিসেম্বর মাসে মিলটি রিফাত গার্মেন্টস নামে পুনরায় চালু হবে।
শনিবার দুপুরে মসলিন কটন মিলস উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আয়োজিত মালিকানা হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী।
তার উপস্থিতিতে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি মিলটির নতুন উগ্যোক্তা একে আজাদের কাছে মিলের চাবি ও দলিলাদি তুলে দেন।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব আশরাফ মকবুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন কালিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম নজরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা এ বি এম তারিকুল ইসলাম, উপসচিব সাইফুদ্দিন আহম্মদ মজুমদার।
অনুষ্ঠানে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী বলেন, অনেক সরকার মিলটি চালুর কথা বললেও কেউ পারেনি। আওয়ামীলীগ সরকার পেরেছে।
একটি কমিটি করে দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়া গেলে সেপ্টেম্বরে সকল শ্রমিকের বকেয়া মজুরি পরিশোধ করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে আজাদ বলেন, গ্যাস ও বিদ্যুতের সংস্থান হলে আগামী ডিসেম্বরে এখানে একটি গার্মেন্টস চালু হবে। তাতে প্রায় ১০ হাজার লোকের কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কালীগঞ্জে ১৯৫১ সালে ২৪০ বিঘা জমির উপর মসলিন কটন মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠিত হয়। মিলের পাশে রয়েছে শীতলক্ষ্যা নদী, রেল স্টেশন, মহাসড়ক।
৫২ হাজার স্পিন্ডল, ৪৯৮টি উইভিং, ৪৯৬টি স্পিনিং তাঁতের এ মিলে ২ হাজার ৮৮৫ জন কর্মকর্তা/কর্মচারী ৩ শিফটে কর্মরত ছিলেন।
মিলের শ্রমিকেরা নিজেদের উদ্যোগে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ এবং একটি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।
১৯৯১ সালে মিলটির দু’টি শাখা ও ১৯৯৩ সালে অপর শাখাটি বন্ধ হয়ে যায়।
হা-মীম গ্রুপের পক্ষে রিফাত গার্মেন্টস ১৩৫ কোটি টাকায় মিলটি কিনে নিয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।