আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাইরাস ... ভাইরাস ... !!! জানুন ভাইরাসের ইতিহাস! না পড়লে মিস করবেন…..

আমাকে যদি পৃথিবির যেকোন দেশে থাকার সুযোগ দেয়া হয় ...তবুও আমি বলবো ...আমি এদেশে থাকতে চাই ... আমি জানি আমার দেশ ঘুনে ধরা ... মরচে পড়া ... তবুও ... আমার দেশ যদি পৃথিবীর সবচেয়ে বাজে দেশ হয় ... এটা আমার ( তরুন সমাজের ) দ্বায়িত্ব আমার দেশকে সুন্দর করে গড়ে তোলা

কম্পিউটার ব্যবহার করেছেন কিন্তু ভাইরাসের সম্মূখীন হননি এমন কাউকে পাওয়াই ভার। ভাইরাস নিয়ে অনেক জল্পনা-কল্পনা। উৎসাহীদের আগ্রাহ মেটাতে এই প্রচেষ্টা। জানুন ভাইরাসের ইতিহাস! না পড়লে মিস করবেন….. কম্পিউটার ভাইরাস কি? ভাইরাস হল এমন একটি প্রোগ্রাম যা একটি ধ্বংশকারী/সন্ত্রাসী হিসেবে নিজেকে (অর্থাৎ এর “এক্সিকিউটেবল” অংশকে) অন্যান্য প্রোগ্রামের সাথে সংযোগ করে সংক্রমণ ঘটায় এবং ধ্বংশযজ্ঞ চালায়। কম্পিউটারের পরিভাষায় ভাইরাস (VIRUS) শব্দটি ভাঙলে পাওয়া যায় ‘ভাইটাল ইনফরমেশন রিসোর্সেস আন্ডার সিজ (Vital Information Resources Under Seize)’ অর্থাৎ গুরুত্বপূর্ণ উৎসগুলো বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

প্রখ্যাত গবেষক ‘ফ্রেড কোহেন’ ভাইরাসের নামকরণ করেন। ভাইরাসের ইতিহাস পর্যালোচনা ১৯৮৬-১৯৮৭ প্রারম্ভিক পরিচয়ঃ ১৯৮৬ সালে পাকিস্তানের দুই প্রোগ্রামার আমজাদ ও বাসিত উপলদ্ধি করল ফ্লপি ডিস্কের বুটসেক্টর executable কোড ধারণ করে এবং এ কোড কম্পিউটার চালু করলেই রান করে যদি ড্রাইভে ডিস্ক থাকে। তারা আরও উপলদ্ধি করে, এ কোড তাদের নিজস্ব প্রোগ্রাম (কোড) দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয় যা মেমোরি রেসিডেন্ট প্রোগ্রাম হতে পারে এবং যা নিজের কপি তৈরি করতে সক্ষম। প্রোগ্রাম নিজের অনুলিপি তৈরি করতে পারে বলে তারা এর নাম দেয় ‘ভাইরাস’। কিন্তু এটি শুধুমাত্র ৩৬০ কিলোবাইট ফ্লপি ডিস্ককে সংক্রমিত করে।

১৯৮৭ সালে University of Delaware অনুভব করল তাদের কম্পিউটার এ ভাইরাস দ্বারা সংক্রমিত। যখন কম্পিউটার শুরু করে ফ্লপি ডিস্কের লেবেল ‘(c) Brain’ দেখতে পেল। এটিই প্রথম ভাইরাসের আক্রমণ এবং এটি ডঃ সলেমন পযাবেক্ষণ করেন। এ ভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের জনৈকা কম্পিউটার কর্মী দেখে একে ভাইরাস বলে মনে করেন এবং ডিস্ক থেকে ডেটা পুনরুদ্ধারের কাজে নিমগ্ন ডঃ সলেমনের কাছে যান। ডঃ সলেমন একে বিশ্লেষণ করেন এবং এভাবে তিনি এন্টিভাইরাস ব্যবসায়ে আসেন।

ইতিমধ্যে ১৯৮৬ তে Ralf Burger নামক এক প্রোগ্রামার উপলদ্ধি করল, একটি ফাইল আরেকটি ভাইলের সংযুক্তিতে নিজে নিজের অনুলিপি (কপি) তৈরি করতে সক্ষম। তিনি এর উপর একটি ডেমোনেস্ট্রেশন লিখেন যাকে Virdem বলা হয়। তিনি এটি Chaos Computer Club এ বিতরণ করেন ডিসেম্বরের কনফারেন্সে যেটির Theme ছিল ভাইরাস সম্পর্কে। Virdem যেকোন com ফাইলকে আক্রান্ত করতে পারে। এর পে-লোড ভীতিকর নয়।

এ ব্যাপারে Ralf খুব বেশি উৎসাহি হয়ে এ সম্পর্কিত একটি বই লেখেন। Ralf বুট সেক্টর ভাইরাস নিয়ে কোন চিন্তা করেন নি, তাই এ সম্পর্কে বইতে কিছু বললেন নি। ১৯৮৭ সালে Charlie, Vienna নামক ভাইরাসের উপন্থিতি লক্ষ্য করা যায়, যা মেশিনকে হ্যাং বা রিবুট করে দেয়। ইতিমধ্যে ইসরাইলের তেলআবিতে অন্য একজন প্রোগ্রামার Suriv-01 নামে ভাইরাস তৈরি করে। এটি ছিল মেমোরি রেসিডেন্ট ভাইরাস কিন্তু এটি .com ফাইলকে আক্রমণ করত।

তার দ্বিতীয় ভাইরাস হল Suriv-02 যা শুধু .exe ফাইলকে আক্রমণ করে এবং এটি হল পৃথিবীর প্রথম .exe ফাইল আক্রমলকারী ভাইরাস। তার তৃতীয় ভাইরাস হল Suriv-03 যা .com এবং .exe উভয় ফাইলকে আক্রমণ করে। তার চতুর্থ ভাইরাস পৃথিবীর সর্বত্র ছড়িয়ে যায় এবং তা Jerosalem নামে পরিচিত হয়। এ ভাইরাস আক্রান্ত ফাইল প্রতি শুক্রবার ১৩ তারিখে চালালে ভাইরাস ফাইলকে মুছে ফেলে। ইতিমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে Fred Chohen কম্পিউটার ভাইরাসের উপর তত্ত্বমূলক প্রবন্ধ লেখে।

Dr. Chohen প্রমাণ করেন যে কেউ প্রোগ্রাম রচনা করতে সক্ষম নন যা কোন ফাইল দেখে ১০০% নিশ্চিতভাবে বলতে পারে এতে ভাইরাস আছে কি না। তিনি কিছু পরীক্ষা চালান। তিনি সিস্টেমের জন্য একটি ভাইরাস রিলিজ করেন এবং আবিষ্কার করেন যে, এটি যে কারো অনুমানের চেয়েও অনেক বেশি দ্রুত বিচরণ করতে পারে। ১৯৮৭ তে Chohen, Lehigh University তে যোগদান করেন এবং এখানে Lehigh নামক ভাইরাস তৈরি করেন। Lehigh নিশ্চিত ছিল একটি অক্ষম ভাইরাস, এটি কখনো বিস্তার লাভ করতে পারে না।

কারণ এটি শুধু মাত্র Command.com ফাইলকে সংক্রমিত করে এবং চতুর্থ অনুলিপি তৈরির পর এটি Host এর অনেক ক্ষতি সাধন করে। এ ভাইরাসের একটি নীতি ছিল যে এটি দ্রুত এর Host কে Damage করে বেঁচে থাকত না। Lehigh ছিল জঘন্যতম বিপদজ্জনক। চতুর্থ অনুলিপি তৈরির পর এটি ডিস্কে অভাররাইট করত, বেশিরভাগ FAT কে আঘাত করত। কিন্তু একটি ভাইরাস যা শুধুমাত্র Command.com ফাইলকে আক্রন্ত করত তা বেশি সংক্রমক ছিল না।

যাই হোক না কেন Lehigh ভাইরাস ব্যাপক প্রচার পায়। যখন সবকিছু চলতেছিল, Newzealand এর University of Wellington এর ছাত্র একটি ভাইরাস তৈরি করে যার Soft-restraint এবং Memory-restraint Replication থাকায় সারা বিশ্বে দ্রুত প্রসার লাভ করে। ইটালীর ইউনিভার্সিটি অব টুরিনের একজন প্রোগ্রামার অন্য আরেকটি বুট সেক্টর ভাইরাস লেখেন। এ ভাইরাস রান করে স্ক্রীণে লাফানো বল প্রদর্শীত হয়। এটি Italian, Ping-Pong / Bounching Ball নামে পরিচিত।

এ সময় আমেরিকাতে Yale নামক অন্য আরেকটি বুট সেক্টর ভাইরাস দেখা যায়। ১৯৮৭ তেই একজন জার্মানী প্রোগ্রামার Cascade ভাইরাস লেখেন। ১৯৮৮- খেলা হল শুরু ১৯৮৮ সালে বানিজ্যিকভাবে বিভিন্ন এন্টিভাইরাস সফটওয়্যার তৈরি হয়। ­IBM কম্পিউটার ভাইরাসের ব্যাপারে জোরালো পদক্ষেপ নেয়। ১৯৮৮ সালে Virus-B নামে অপর একটি সাংঘাতিক ভাইরাস লেখা হয়।

১৯৮৮ এর শেষের দিকে Jerosalem ভাইরাস দ্বারা একটি অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠান মারাত্মক ক্ষতির সম্মূখীন হয়। ভাইরাসের উপর প্রথম সেমিনার অনুষ্ঠিত হয় ডঃ সলেমানের প্রচেষ্টায় এবং একই বছর তিনি তৈরি করেন প্রথম এন্টিভাইরাস Toolkit । ১৯৮৯- তথ্য সন্ত্রাস Jerisalem ভাইরাসের রূপান্তরিত ভাইরাস Fu Manchu বৃটিশ ভাইরাস গবেষকদের হাতে আসে। মার্চে Data crime নামক ভা্‌ইরাস দেখা দেয় হল্যান্ডে, এতে অনেক কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে এবং এ ভাইরাস অক্টোবরে আমেরিকাতেও ধরা পড়ে। লন্ডনের Royal National Institute of Blind, Jerosalem ভাইরাস দ্বারা আকান্ত হয়।

আমেরিকাতে বিতরণকৃত এইডস সম্পর্কিত তথ্য সমৃদ্ধ বিশহাজার ডিস্কে দেয়া প্রোগ্রাম ইন্সটল করে অনেক ব্যবহারকারী বেশ বিপাকে পড়েন। Aids Information Disk ইনস্টল করার পর একটি হিডেন ডিরেক্টরী ও ফাইল তৈরি করে এবং Autoexec.bat ফাইলকে পরিবর্তন করে ফেলে। এর ফলে ৯০বার বুট হওয়ার পর সব ফাইল নামকে ট্রোজন এনপ্রিপ্টেড করে হিডেন এট্রিবিউট দেয় এবং একটি ফাইলই থাকে যাতে Po Box7, Panama এ ঠিকানায় $১৮৯ পাঠানোর কথা বলে। পুলিশ এ ব্যাপারে তদন্ত করে দায়ীকে গেপ্তার করে। ১৯৮৯ এর শেষ নাগাদ প্রায় ২ডজন ভাইরাস সম্পর্কে জানা যায়।

কিন্তু এ সময়ে রাশিয়া ও বুলগেরিয়াতে কি হচ্ছে তা অনেকের অজানা থেকে যায়। ১৯৯০- কঠিন এক খেলা Vienna ভাইরাস থেকে প্রথম Polymerphic ভাইরাস তৈরি হয়। এ বছর বুলগেরিয়া থেকে অনেক ভাইরাস উদ্ভব হয় আর এরা নিজেকে Dark Avenger নামে পরিচয় দেয়। এ ভাইরাস নতুন দু’টি ধারণার জন্ম দেয়। ১. `Fast Infector’ এ ভাইরাস মেমোরিতে ওপেন ফাইলকে আক্রামণ করে ও দ্রুত হার্ডডিস্কে আক্রান্ত করে।

২. Subtle Damage. Dark Avenger ভাইরাসটি শুধু ডেটা নয়, ডেটার ব্যাকআপও নষ্ট করতে চেষ্টা করে। এবছর বুলগেরিয়াতে প্রথম Virus Exchange BBS (VX BBS) বের হয়। ১৯৯০ এর ২য় সপ্তাহে Whale ভাইরাস দেখা দেয়। এটি বেশ বড় ও জটিল ভাইরাস যা বিশ্লেষণ করতে ভাইরাস গবেষকদের অনেক সময় লেগেছিল। ১৯৯০ এর শেষে এন্টিভাইরাস ভাইরাস লেখকদের চেয়ে শক্তিশালী ও সংগঠিত হয়।

১৯৯০ এর ডিসেম্বরে হ্যামবুর্গে European Institute for Computer Anti-virus Research (EICAR) প্রতিষ্ঠিত হয়। তারা এন্টিভাইরাস গবেষক ও ভেন্ডারদের মধ্যে আলোচনার ব্যবস্থা করে ও সরকারকে ভাইরাস লেখকদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার জন্য বলে। যখন EICAR প্রতিষ্ঠিত হয় তখন পর্যন্ত প্রায় ১৫০টি ভাইরাস ছিল ও বুলগেরিয়ান ভাইরাস তৈরির কারখানা পুরোদমে চলছিল। ১৯৯১- প্রডাক্ট চালু ও পলিমরফিজম ১৯৯১ তে ভাইরাস সমস্যা মোটামুটি সমাধানে আসে। ডিসেম্বর ১৯৯০ তে Symantec Norton Antivirus চালু করে।

এপ্রিল ১৯৯১ তে Central Point CPAV চালু করে। কিন্তু ডিসেম্বর ১৯৯১ এর সবচেয়ে বড় সমস্যা হল Glut (অসংখ্য ভাইরাস)। ডিসেম্বর ১৯৯০ তে ২০০-৩০০ ভাইরাস ছিল। কিন্তু ডিসেম্বর ১৯৯১ তে এর সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ১২০০তে। পূর্ব ইউরোপ থেকে বেশি ভাইরাস তৈরি হয়।

এতে এন্টিভাইরাস গবেষকরা প্রতিষেধক তৈরিতে বেশ হিমসিম খান। Tequila (সুইজারল্যান্ড) হল প্রথম বিস্তারকারী Polymorphic ভাইরাস। ১৯৯২-ব্যস্ত বছর জানুয়ারী ১৯৯২তে Dark Avenger থেকে Self Mutating Engine (MtE) দেখা গিয়েছিল। প্রথমে এটাকে দেথা গিয়েছিল ভাইরাস নাম ছিল Dedicated কিন্তু সহসা MtE দেথা দিয়েছিল। প্রথমে ধরে নেয়া হয়েছিল MtE তে অজস্র ভাইরাস থাকতে পারে, কারণ এ্টি ভাইরাস খুঁজতে কঠিনতর করে।

ঐ সময় Starship নামক অপর একটি সম্পূর্ণ পলিমরফিক ভাইরাস আসে। ১৯৯২তে বিশ্বে ব্যবহারকারীদের মধ্যে ভাইরাস আতংক দেখা দেয় এবং কম্পিউটার বিক্রেতারা আতংকিত হয়ে পড়ে। ৬ই মার্চের পূর্ব পর্যন্ত শুধু আমেরিকাতে প্রায় ১০হাজার কম্পিউটার অকেজো হয়ে পড়ে। আগষ্ট, ৯২তে প্রথম ভাইরাস অথরিং প্যাকেজ দেখা দেয়, যা ব্যবহার করে যে কেউ ভাইরাস তৈরি করতে পারত। ১৯৯২ এর শেষের দিকে ইংল্যান্ডে গঠিত হয় ভাইরাস লেখক সমিতি Association of Really Cruel Viruses (ARCV) ভাইরাস প্রতিরোধ গোষ্ঠির সহায়তায় স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের কম্পিউটার ক্রাইম ইউনিট এদের চিহ্নিত করে ও গ্রেফতার করে।

ARCV তিন মাসে কয়েক ডজন ভাইরাস তৈরি করে। ১৯৯৩- পলিমরফিক ভাইরাস ও ইঞ্জিন ১৯৯৩ এর প্রথম দিকে হল্যান্ড Trident নামক নতুন ভাইরাস লেখক আবিষ্কৃত হয়। Trident এর প্রধান লেখক মাসুদ খাফির Trident Polymorphic Engine (TPE) লিখে ও এটি ব্যবহার করে GRARFE নামক নতুন ভাইরাস ছাড়ে। Cruncher ভাইরাস হল Compression ভাইরাস যা স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজেকে ফাইলে যুক্ত করে বিভিন্ন কম্পিউটারে অটো-ইনস্টল করে। ইতিমধ্যে Dark Avenger DAME (Dark Angel’s Multiple Encryptor) ছাড়ে ও এটি ব্যবহার করে Trigger নামক ভাইরাস তৈরি করে।

Trident আগের চেয়েও জটিল ও কঠিন TPE এর ভার্সন ১.৪ এবং এটি ব্যবহার করে তৈরি Bosnia ভাইরাস ছাড়ে্। এ বছরই উচ্চ পলিমরফিক ভাইরাস Tremor দেখা দেয়। Dark Ray এবং John Tardy তাদের দলে যোগ দেয়ায় ১৯৯৩ এর মাঝামাঝি Trident গোষ্ঠি আরও উন্নতি লাভ করে। Tardy 888 বাইটে সম্পূর্ণ পলিমারফিক ভাইরাস ছাড়ে। ১৯৯৩ এর সবচেয়ে খারপ সংবাদ হল পলিমারফিক ইঞ্জিন এবং পলিমারফিক প্যাকেজের ছড়াছড়ি যা দিয়ে সহজেই এমন ভাইরাস তৈরি করা যায় যা এন্টিভাইরাস স্ক্যানার দিয়া ধরা কঠিন।

১৯৯৩তে XTREE এন্টিভাইরাস কোম্পানি তাদের ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার ঘোষণা দেয়- এটিই হল প্রখম ঘটনা যে একটি বড় এন্টিভাইরাস কোম্পানী গুটিয়ে ফেলা। এছাড়াও এ বছর অনেক এন্টিভাইরাস কোম্পানী বন্ধ হয়ে যায়। একই বছর ডঃ সলেমন Find Virus এবং Virus Guard এর ল্যাংগুয়েজ জন্য VIRTRAN এর জন্য Queen’s Award পান। ভাইরাস তৈরির প্যাকেজ ব্যবহার করে তৈরি ভাইরাসের সংখ্যাধিক্যর এন্টিভাইরাস লেখকরা হিমসিম খাচ্ছিল। এসব ভাইরাস বিশ্লেষণ করতে তাদের জন্য সহজ ব্যবস্থার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।

এর সমাধান হল Generic Decryption Engine (GDE) যা সন্দেহজনক ফাইলকে কোড Decrypt করে এ সিদ্ধান্তে উপনীত করে যে ফাইলটিতে ভাইরাস আছে কি নেই। ১৯৯৪ CPAV বন্ধ ও অজস্র ভাইরাসের আগমন ১৯৯৪ এর এপ্রিলে Central Point Software প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ হয়ে যায়। Central Point এন্টিভাইরাস মার্কেটে তাদের CPAV প্রডাক্ট নিয়ে জনপ্রিয় ছিল। এবছর অজস্র ভাইরাসের আগমন ঘটে। বছরের শুরু ভাইরাস ছিল ৪০০০ এবং শেষে হল প্রায় ৬০০০।

ইউরোপের ভাইরাস লেখক গোষ্ঠি আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। দুরপ্রাচ্যে (Far fast) Mulation Engine তৈরি শুরু করে। Dark Slyer থেকে DSME অন্তর্ভূক্ত করে। ভাইরাসের এই মারাত্মক ছড়াছড়ি এন্টিভাইরাস ভেন্ডারদের সংকটে ফেলে দেয়। ডঃ সলেমান ভাইরাস প্রাচুর্যের সাথে তাল মিলিয়ে Combination পচন্দ করেন।

কিছু Combination ভাইরাস উত্তর-পশ্চিম ইংল্যান্ড থেকে বের হয়। ১৯৯৪ তে তিনটি ভাইরাস Natas, One-Half, SMEG.Pathogen আলাদা আলাদাভাবে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করে। ১৯৯৫ ডকুমেন্ট ধ্বংসকারী ম্যাক্রোভাইরাসের উদ্ভব ১৯৯৫ এর ২৬শে মে Smeg ভাইরাস তৈরির অপরাধে ইংল্যান্ডের প্লেমাউথে ২৬ বছর বযস্ক Christopher Pile, Computer Misuse Act এর আওতায় দন্ডিত হন। ১৯৯৫ এর মধ্য পর্যন্ত ভাইরাসের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় ৭০০০ এ। এন্টিভাইরাস নির্মাতারা আতংকিত হয়ে উঠেন।

দূরপ্রাচ্যের অনেক প্রোগ্রামার অনেক ভাইরাস নকল করে নতুন ভাইরাস তৈরি করেন। যেমন, তাইওয়ানের CVEX ভাইরাস পরীক্ষা করলে ধরা পড়ে যে এটি Jerosalem ভাইরাসের নকল। Virogen নামক প্রোগ্রামার VICE এবং Pinworm ভাইরাস লেখেন। ১৯৯৫ এর মধ্যভাগে ডঃ সলেমন Advanced Heuristic Analysis (AHA) উপস্থিত করান যা /ANALYZE সুইচ ব্যবহার করে Find Virus কে নতুন সম্ভাব্য ভাইরাস পরীক্ষা করতে Allow করে। ১৯৯৫ এর আগষ্টে প্রথম ম্যাক্রোভাইরাস WM/Concept এর উদ্ভব ঘটে।

এই ভাইরাস এমএস ওয়ার্ডের৬.০ এর ডকুমেন্টকে আক্রান্ত করে। ডকুমেন্টে ম্যাক্রো তৈরি থেকে এ ভাইরাস তৈরি হয়। ভাইরাসের ভয়াবহ আক্রমণে বিশ্বব্যাপী কম্পিউটার বিপর্যয় ৯৯ এর ২৬শে এপ্রিল বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার CIH বা চেননোবিল নামক ভাইরাসের আক্রমণে বিপর্যয়ের সম্মূখীন হয়। টাইম বোমার মতো নির্দিষ্ট সময়ে এ ভাইরাসটি কম্পিউটারকে আক্রমণ করে। একই সময়ে সারাবিশ্বে ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার এটাই সবচেয়ে আলোড়ন সৃষ্টিকারী ঘটনা।

কম্পিউটার সিস্টেমে সময় ও তারিখের জন্য ঘড়ি সেট করা আছে। ঘড়ির কাটায় ২৬শে এপ্রিল, ১৯৯৯ হওয়ার সাথে সাথে কম্পিউটারে লুকায়িত সিআইএইচ ভাইরাস বিপর্যয়ের সৃষ্টি করে। বাংলাদেশসহ বিশ্বে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার অচল হয়ে পড়ে। পশ্চিমাদেশগুলোর তুলনায় এশিয়ার বিপর্যয়ের মাত্রা অনেক ভয়াবহ। এই ভাইরাসের ভয়াবহতা সম্পর্কে এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর উদাসীনতার ফলে এই বিপর্যয় ঘটেছে।

অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্র অনেক কম ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যাপক প্রচারনার ফলে যথাসময়ে এন্টিভাইরাস আপগ্রড কারায় কর্পোরেট হাউজগুলো এই বিপর্যয় এড়াতে পেরেছে। পিটার্স বুর্গের মেলোন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার ইমারজেন্সি রেসপন্স টিমের মুখপাত্র বিল পোলক বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ২৩৮২টি কম্পিউটার ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে”। সারা চীনে ১ লাখেরও বেশি কম্পিউটার CIH ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হয। চীনের বৃহত্তম এন্টিভাইরাসের সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান রুইজিন কোম্পানীর জিএম লিউ জু একে মহাবিপর্যয় বলে আখ্যায়িত করেন।

দক্ষিণ কোরিয়ার অবস্থা সবচেয়ে ভয়াবহ। দক্ষিন কোরিয়ার তথ্য ও যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী আন বিউং-ইয়প ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমরা এই ভাইরাসটির ধ্বংশ ক্ষমতা সম্পর্কে অজ্ঞ ছিলাম এবং বিষয়টির প্রতি যথেষ্ট গুরুত্ব দেইনি”। তিনি বলেছেলেন, “কম্পিউটার ভাইরাস সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করে তুলতে হবে ও সর্তকতা পদ্ধতিকে আরও শক্তিশালী করতে হবে”। সরকারী সূত্রমতে, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ লক্ষ কম্পিউটার CIH ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল। তবে, এন্টিভাইরাস কোম্পানীগুলো দাবি করেছে, ৬ লাখেরও বেশি কম্পিউটার ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হয়েছে।

তুরষ্কের র‍্যাডিকেল পত্রিকা জানিয়েছে, বারংবার সর্তক করার সত্ত্বেও, কেউই বিষয়টি তেমন গুরুত্ব দেয়নি। ফলে যা ঘটার তাই ঘটেছে। প্রচুর কম্পিউটার ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে অচল হয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপি সবাই চেষ্টা করে এ বিপর্যায় কাটিযে উঠার জন্য। এই ভাইরাসটি ২৬শে এপ্রিল, ২৬শে জুন ও প্রতি মাসের ২৬ তারিখে আক্রমণ করতে দেখা যায়।

এই ভাইরাসের আক্রামণ থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য এখনই সর্তক থাকুন। [সংকলিত] কৃতজ্ঞতা ঃ BACK4u ভাই ... ( টেকটিউন্স)

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.