আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে একমুখী বাণিজ্যই হ্য়



ফেনীর বিলোনিয়া স্থলবন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি উভয় কার্যক্রম পরিচালনার কথা থাকলেও বর্তমানে শুধু বাংলাদেশ থেকে রপ্তানিই চলছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, ভারতীয় কাস্টমস কর্মকর্তাদের বাধার কারণে এটি এখন একমুখী স্থলবন্দরে পরিণত হয়েছে। ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করেন, অবকাঠামোগত দুর্বলতা, প্রয়োজনীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর অভাব, গুদামঘর ও মালামাল মাপার যন্ত্র না থাকা, ওয়্যারহাউস নির্মাণসহ বিভিন্ন সমস্যার কারণে এই বন্দরের কার্যক্রম বিঘ্নিত হচ্ছে। এ ছাড়া জটিলতার কারণে বন্দর এলাকায় ১৫ একর জমি অধিগ্রহণ করতে না পারায় অবকাঠামো উন্নয়নসহ অন্যান্য কাজ করা যাচ্ছে না বলে জানায় স্থানীয় প্রশাসন। ২০০৯ সালের ৪ অক্টোবর বিলোনিয়া স্থলবন্দরের উদ্বোধন হলেও এখনো অবকাঠামো উন্নয়ন হয়নি।

এখনো একটি পুরোনো ও পরিত্যক্ত ভবনে মাত্র একজন কর্মকর্তা দিয়ে কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। বিলোনিয়া সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কয়েকজন সদস্য জানান, বর্তমানে এই স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে সিমেন্ট, ইট, পাথর ও শুঁটকি রপ্তানি হচ্ছে। আর ভারত থেকে গরু, বাঁশ, কাঠসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানির সুযোগ থাকলেও সেই দেশের কাস্টমস কর্মকর্তাদের বাধার কারণে তা একদম সম্ভব হচ্ছে না। বিলোনিয়া ল্যান্ড কাস্টমস অফিসার হেদায়েত উল্যাহ জানান, উদ্বোধনের পর থেকে ভারতে ইট, সিমেন্ট, পাথর, শুঁটকি রপ্তানি করে এই পর্যন্ত প্রায় ৩০ কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় পাঁচ লাখ টাকা ভ্রমণকর আদায় করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ভারতের বিলোনিয়া কাস্টমস কর্মকর্তাদের বাধার কারণে সেই দেশ থেকে পণ্য আমদানি হচ্ছে না। বিলোনিয়া সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. গিয়াসউদ্দিন জানান, প্রতিদিন রপ্তানি কার্যক্রম চললেও বন্দরে কোনো কর্মকর্তা থাকেন না। তাই ব্যবসায়ীদের ফেনীতে গিয়ে কর্মকর্তাদের সই করিয়ে আনতে হয়। আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলী ভুট্টো জানান, প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ ট্রাক মালামাল লোড-আনলোড হয়। ব্যবসায়ীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, শুধু অবকাঠামোগত সমস্যা নয়, বিলোনিয়া সীমান্ত ফাঁড়ির বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডও (বিজিবি) বিভিন্ন অজুহাতে দীর্ঘ সময় ধরে ট্রাক আটকে রাখে।

তবে ব্যবসায়ীদের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন বাংলাদেশ বর্ডার গার্ডের কোম্পানি কমান্ডার মো. খুরশীদ আলম। তিনি প্রথম আলোকে জানান, অনেক সময় কোন ধরনের মালামাল কী পরিমাণে যাচ্ছে, তা দেখার জন্য ট্রাক আটকানো হয়। এ ছাড়া আর কোনো কারণে ট্রাক আটকানো হয় না। পরশুরাম উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফ আহাম্মদ খান জানান, বিলোনিয়া স্থলবন্দরের বিভিন্ন অবকাঠামোসহ ওপেন ইয়ার্ড করার জন্য ১৫ একর জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে। রাস্তা প্রশস্তকরণসহ বিভিন্ন অবকাঠামো নির্মাণের ব্যাপারে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে, যাতে শিগগির কাজ শুরু করা যায় উৎস:প্রথমআলো


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।