আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বোলগার দুপুরের সাথে সিরিয়াস চ্যাট ২১+VsL

আসেন দুর্নীতি করি। আর এই দুনিয়াটাকেই খুচাই!

দুপুরে নকাইলো! : হ্যালো : (আমি মজাক মাইরা কইলাম)খেলো : কে? : আমি কে নাকি আপনে কে? : আপনি কে? : আমি ওকে! : ওকে মানে? : একবার ভূটকা গোপাল ভাড় বাজারে মাছ কিনতে গেলো। হঠাৎ একখান বড় পাঙ্গাস মাছ দেইখা জিগাইলো,"রুই মাছের ভাগা কত?" অমনি মাছআলা ভাংচি কাইটা কইলো," ২০০ টাকা!" তখন গোপাল ভাড় কইছিলো,"ওকে!" তখন মাছআলা বড় আনন্দিত হইয়া বয়ান দিলো,"ও হইলো আমার বৌ এর খালাত ভাইয়ের শ্বশুরের ঘরের পুতির নাতিন!" : ওরে খাইছে....আমারে ক্ষমা করেন। : কেন, ভাংতি নাই? সমস্যা নাই, আমার কাছে ৫০০ টাকার ভাংতি আছে, ভিক্ষুকের কাছেও আজকাল ৫০০, ১০০০ এর ভাংতি লইয়া ঘুরে! : আপনে এত কথা বলেন কেন? আপনি কি পাগল? : জ্বি হ। ইহা প্রমানিত! : ও আচ্ছা, ্তো আপনে এখানে কি করছেন, পাগলা গারদে যাচ্ছেন না কেন? : ইহা একখান মহান ইতিহাস।

পাতিহাস মতে আমি যখন ক্লাস নাইনে তখন নাকি ক্লাস ফাইভের এক টীচার আমার বেতাইয়া কইছিলো,"তরে আজকা পাগলা গারদে লইয়া যামু!" আমি তখন এমুন কান্নাকাটি করছিলাম যে শিক্ষকে ডরাইয়া আমারে বাসায় দিয়া আসে! অতএব ইহা প্রমানিত সত্য যে আমার ছোটকাল থিকাই মাথায় ছোটখাটো ডিফেক্ট আছে! : হায় খোদা, রইন্যা, একটু চুপ করবি? : কস কি মোমিন! আপনে আমার নাম জানলেন কেমনে? : আপনার নামতো আমার ম্যাসেন্জ্ঞারে তাই দেখাচ্ছে। : কন কি? আমার নামতো হাফ কাফ নাইলে জুনিচিরো দেখানোর কথা। আইচ্ছা মনে পড়ছে আপনে যখন কইছিলেন আপনে মাইয়া তখনই এডাইছি। ভালা কথা আপনে কি সিঙ্গেল নাকি ডাবল, দেখতে কি সুন্দরী? : জ্বি আমি সিঙ্গেল! : কই থাকেন? : স্কটল্যান্ডের এডিনবরায়! : কন কি? এই না কইলেন আপনে সিঙ্গেল, সিঙ্গেল একজন হইয়া একলগে দুইজায়গায় থাকেন কেমনে? : মানে? : মানে হইলো স্কটল্যান্ড হইলো একখান জায়গা আর এডিনবরা আরেক খান জায়গা। তো একজন মানুষ দুইজায়গায় থাকে কেমনে? : আরে....স্কটল্যান্ডের একটা জায়গার নাম এডিনবরায়।

: ও আচ্ছা আপনে স্কটল্যান্ডের বাচ্চা এডিনবরার কাছে থাকেন! ভালা। তো এডিনবরা সাহেব লোক ভালো নাকি? লিভ টুগেদারে কুনো সমস্যা করে নাকি? : ওরে যন্ত্রনা, উদাসী তুমারে খাসি করুম আমি? : আরে কয় কি? আপনে আমার ব্লগের নাম জালেন কেমনে? ম্যাসেন্জারে আমার এই নামও দেখায় নাকি? : না, লাস্ট টাইম আপনে আপনের ব্লগের লিংক দিয়া বলছিলেন আপনেরে নাকি উদাসী নামেই চেনে সবাই! : আইচ্ছা কন তো লাস্ট টাইম আমি কি কি কইছি? : অত মনে নাই তবে আপনের মন খারাপ ছিলো। মনের দুঃখে আপনে নাকি মাথা নীচে পা উপরে দিয়া কি যেনো করছিলেন আর আপনের কি কি কষ্ট সেগুলো বলছিলেন। পরে দেখলাম আপনি একটা কিসের যেনো লিংক দিলেন, খুলে দেখি একটা পর্ন সাইট! : কয় কি? খাড়ান.....একটু মনে কইরা লই.....আইচ্ছা মনে পড়ছে ঐ সময় আমি আরও তিনজনের লগে চ্যাট মারতাছিলাম ঐসময় ইংল্যান্ডের মাগাও আছিলো ওর নাম রাসেল। একচুয়ালী ওর মন খারাপ আছিলো।

ও কইলো যে ভালো একখান লিংক আছে দেখলে মন চাঙ্গা হইয়া যায়। আমি ওর সব কিছু কপি কইরা পেস্ট করছিলাম কুন জায়গায় মনে নাই। অনেক দিন পর চেক করতে গিয়া দেখি ওর কোনো লেখা সেভ করি নাই। মনে হয় ভুলে আপনের কাছে চইলা গেছে। সরি! : বুঝলাম।

ইটস ওকে! : আপনের নামটা জানা হইলো না। : দুপুর। : কে কইছে? এখনতো রাইত আমাগো এইখানে স্কটল্যান্ডে তো আরও রাইত! : ওরে যন্ত্রনা, আমার নাম দুপুর! : ও আইচ্ছা কিসে মানে কোন ব্লগে লিখেন? : আমি কোনো ব্লগে লিখি না, খালি পরীক্ষার সময় খাতায় লিখি! : ফানি! মানে কইতাছি সামু, আমু আলু সবজায়গায় খোজ দিলাম এই নামে কোনো লিংক নাই, কোনো ব্লগে এই নামের কুনো বোলগার পাইলাম না! : জ্বি এটা আমার ব্লগনেম না, আমার আসল নাম! : কি আজব নাম, কয়দিন পর দেখা যাইবো আন্ডা বাচ্চাগো জিগাইলে কইবো,"মাঝরাইত","আমবস্যা", "বিয়াইনবেলা" কত কি! কইবো মাঝরাইতে উইঠা ভ্যা ভ্যা কইরা কানতাম আর বিছানা ভিজাইতাম বইলা মায়ে এই নাম রাখছে! কি সেলুকাস! তো আপনের নামের শানে নযূল কি জানতে পারি? : উফ! একটা কথা বল? আপনের সাথে না আমার কথা বলতে ভালো লাগছে না! আপনে অনেক কথা বলেন! : এইটাও সত্য! যাওনের আগে একখান উত্তর পাইলাম না। আপনি কি দেখতে সুন্দর নাকি কালা একটু জানতে মন চাইলো। কোনো ফটুক দেখান যাইবো? : ওকে দেখেন তাইলে! এই বইলা একখান ফটুক দিলো ফটুক খুইলা দেখি ১ ডজন মাইয়া কেউ খাড়াইয়া কেউ বইসা কেউ হাসি কেউ উকুন বাছে কেউ ক্যামেরার দিকে ইন্দুরের মতো চাইয়া আছে! : ওরে বাপ, আপনে না সিঙ্গেল? এইখান দেখি ১২ টা! আপনে কি চাকমা? : না! : তাইলে কি খাসিয়া নাকি সাওতাল? : ওরে যন্ত্রনা, আমি খাসিয়াও না ওরাং ওটাং ও না আমি বাঙ্গালী! : বুঝলাম না, কথা কইতাছেন বাংলায় মাগার ফটুক দিছেন সব বোচন গো ফটুক, বাংলা না হইলে শিওর ঠাহর করতাম আপনে চৈনিক বোচন নাইলে কোরিয়ান বোচন! : সরি, এখানে আসলে আমি নাই।

আমি ক্যামেরা দিয়ে ছবি তুলছিলাম! : মরন আমার, কইলাম আপনের ছবি, আপনের হাতে তুলা ছবির কথা কই নাই! ঐ ছবিতে আপনে থাকতে হইবো! এর পর আরেকখান ফটুক দিলো। ঐখানে দেখি একটা ব্রীজের উপর কিছু লোক ঘুরা ঘুরা করতাছে। গুনা দিয়া দেখলাম পাচটা সাদা চামড়া আরেকখান বোচন পোলা কেউ হাতে ব্যাগ কেউ ক্যামেরা লইয়া হাটতাছে কেউ খালি হাতে। দুই তিনটা মাইয়া তার মাধ্যমে একখান বোসনের চেহারা দেখা যায় আর বাকি দুইটার পিছন সাইড দেখা যায়। মানে তারা ব্রীজের ওপর খাড়াইয়া সীনারী দেখতাছে! : বুঝছি, আমার মাথার দুইটা স্ক্রু ঢিলা থাকলে আপনের মাথায় হেই স্ক্রুও নাই! : কেন? আপনে আমার ছবি চাইছেন আমি ছবি দিছি! : আপনের চেহারা না দিয়া পিঠ আর পশ্চাদের ছবি দেইখা কি করুম? শুনেন আপনের চেহারা দেখা যায় এমুন আপনে একলা খাড়াইয়া আছেন এমুন ফটুক দেন।

খবরদার পাসপোর্টেরফটুক দিলে সোজা স্কটল্যান্ডে আইসা এডিন বয়রার পেটে চাক্কু মাইরা আপনের মার্ডার করুম! : ওকে, বলবেন তো! এখনই দিচ্ছি! অমনি সে সাইন আউট হইয়া গেলো! যন্ত্রনা প্রদানকারী মাইয়া মানুষ বড় ভেজাইলা, না পারে শয়তানি করতে না পারে সিরিয়াস হইতে খালি করে আকাম কুকাম! আবার টাইটেলে লেখেছে: আকাম করতাছি, পারলে ঠেকা! এমুন অদ্ভূত স্ট্যাটাস বাপের জন্মে দূরে থাকা নিজের জন্মে দেখি নাই!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।