আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিঙ্গাপুর টু মালয়শিয়া

এখনো অনেক অজানা ভাষার অচেনা শব্দের ত ই পৃথিবীর অনেক কিছুই অজানা-অচেনা রয়ে গেছে!! পৃথিবীতে কত অপূর্ব রহস্য লুকিয়ে আছে- যারা দেখতে চায় তাদের ঝিঁঝিঁ পোকার বাগানে নিমন্ত্রণ। http://zizipoka.com/

ডিসেম্বারের ১৭ তারিখ সকাল ১০টা ৩০মিনিটেই আমাদের এ্যারপোর্টে নেয়ার জন্য মাইক্রবাস এসে পরে। আগের দিনই বলে রাখা ছিলো “মিস্টার ইয়াং হো”কে, ইনিই ছিলেন আমাদের সিঙ্গাপুর ভ্রমণে ব্যবহৃত মাক্রবাসের ড্রাইভার। আমাদের সিংঙ্গাপুর টু মালায়শিয়া ফ্লইট টাইম দুপুর ১টা ২৫মিনিটে। সিঙ্গাপুরে আসার সময় হোটেল রিজারভেশানের কাগজ না থাকায় বিশাল ঝামেলা পোহাতে হয়েছে।

তাই এবার সমস্ত কাগজ-পত্র ভাতিজা সোহেলের কাছ থেকে আমার কাছে নিয়ে রেখেছি। কিন্তু এবারও ভুল আমাদের পিছু ছাড়েনি, এবার দেখি মালয়শিয়ার হোটেলের রিজারভেশানের কাজগই নেই। সকালের নাস্তার সময় বেশ কয়েকবার ঢাকায় ফোন করে আমাদের ট্যুর-অপারেটারের কাছ থেকে হোটেলের নাম জেনে নিতে সক্ষম হই। এবার আবার খেচর হওয়ার পালা, মাত্র এক ঘন্টার উড়ালেই চলে যাওয়া যায় মালয়শিয়া। এয়ারপোর্টের সমস্ত ঝামেলা মিটিয়ে চড়ে বসি প্লেনে।

৩০/৩৫ মিনিট যাওয়ার পরেই আকাশে দেখাদেয় কালো মেঘের ঘনঘটা। প্লেনের ছোট্ট জানালা দিয়ে দেখি কাছেই একগুচ্ছ মেঘ থেকে বৃষ্টি ঝরছে। কিছুক্ষণ পরেই আবহাওয়া বেশ খারাপ হয়ে যায়, কালো আর ঘন সাদা মেঘের ভিতর দিয়ে উড়ে চলেছি। প্রচন্ড ঝাকুনি আর গোগো শব্দে অনেকেই ভয় পেয়ে যায়। মেঘ, মেঘের ভিতরে বৃষ্টি আর বৃষ্টিতে ভিজে উড়েচলেছি একবার উচু আর একবার নিচু দিয়ে মেঘের বাইরে বেরোবার প্রচেষ্ঠায়।

জানালার কাচে বৃষ্টি ফোঁটা বিচিত্র সব নকশা কেটে দ্রুত হারিয়ে যাচ্ছে পিছনে। একটু পরেই হঠাৎ করে দেখি প্লেনটি অনেক নিচে নেমে এসেছে, উপরের ঝনঝাট এখানে অনেক কম। উপরের মেঘগুলি এখনো হালকা বৃষ্টি ঝরিয়ে যাচ্ছে। এরই মাঝে নিচে দেখতে পাই আদিগন্ত পামগাছের বাগান, গাঢ় সবুজে একাকার। খুব দ্রুত উচ্চতা হারাচ্ছি।

দেখতে দেখতে পামবাগানের মাথা ছুই ছুই করে উড়েচলছি। আসলে এ্যায়ারপোর্টে চলে এসেছি, এখনই ল্যান্ড করবে প্লেন, অথচ এতোক্ষণ বুঝতেই পারিনি। এখনো বৃষ্টি পরছে ভালই, বৃষ্টিস্নাতো রানওয়েতে চাকা ছোঁয়ায় প্লেন। কিন্তু অবাক হয়ে যাই যখন দেখি এই বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নামতে হবে প্লন থেকে। বাইরে বৃষ্টি কম হলেও ভিশন বাতাস রয়েছে।

ডিসেম্বরে এমন বাতাস আর বৃষ্টি আমরা বাংলাদেশে কল্পনাও করতে পারি না, শীত নেই এক বিন্দুও। ছাতা মাথায় বৃষ্টির ছটায় কোনরকমে কাকভেজা হয়ে এসে দাঁড়াই ইমেগ্রেশানের সামনে। যাবতীয় ফর্মালিটি সেরে এসে দাঁড়াই এয়ারপোর্টের গেটে, যেখানে আমাদের রিসিভ করতে আসবে হোটেল থেকে। কিন্তু না, এখানে কেউ নেই আমাদের জন্য। আশেপাশে খুঁজেও কাউকে পাওয়া গেলো না।

মোবাইলে অনেক চেষ্ঠা করেও বাংলাদেশের ট্যুর-এজেন্টকে ধরতে পারলাম না। এভাবে বার বার চেষ্ঠা করে আর আশেপাশে খুঁজতে খুঁজতে ঘন্টাদুয়েকের বেশি সময় পেরিয়ে যায়। বাধ্য হয়ে এ্যায়ারপোর্ট থেকে একটি মাইক্রবাস ভাড়া করি হোটেলে যাওয়ার জন্য ২০০ রিঙ্গিতে। হোটেলে গিয়ে কি দেখতে হবে আল্লাহ জানে, আমাদের হাতে রিজারভেশানের কোনো প্রমাণও নেই। অনেকটা পথ পারিদিয়ে একসময় এসে পৌছাই হোটেলে।

রিসিপশান থেকে জানতে পারি আমাদের জন্য রুম বুক করা আছে কিন্তু মাত্র এক রাতের জন্য। আমরা দুরাত এখানে থাকবো বললে ওরা জানায় সেটা সম্ভব না, কারণ হোটেলের কোনো রুমই পরের দিন খালি থাকবে না। কালকের কথা কলকে দেখা যাবে, আজতো আগে রুমে উঠি!! বিকেল গড়িয়ে সন্ধা হচ্ছে দুপুরের খাওয়া হয়নি, আগে ফ্রেশ হয়ে খাওয়া দাওয়া সারি- তারপর দেখা যাবে কি হয় আগামী কাল। আমরা ফ্রেশ হতে গেলাম আপনার ততোক্ষণ ঐদিনে তোলা কিছু ছবি দেখেন। ১।

সিঙ্গাপুর এ্যারপোর্টে মনির ভাইয়ের সাথে ২। সিঙ্গাপুর এ্যারপোর্টে ৩। সিঙ্গাপুর এ্যারপোর্টে ৪। বড় দিনের জন্য এই সাজ। ৫।

বড় দিনের জন্য এই সাজ। ৬। সিঙ্গাপুর এ্যারপোর্টে ৭। বড় দিনের জন্য এই সাজ। ৮।

সাইফুল, দস্যু, সাইফুল ২ ও ভাতিজা সোহেল। ৯। পাখির চোখে দেখা.... ১০। সাপের মত একেবেকে বয়েচলে নদী ১১ । আকাশ থেকে দেখা বৃষ্টি ঝরানো মেঘ ১২।

হোটেলের রুম থেকে তুলা Kulal Lumpur টাওয়ার ১২। Kulal Lumpur টাওয়ার ১৩। Kulal Lumpur টাওয়ার ১৪। হোটেলের রুম থেকে তুলা Numismat জাদুঘর চলবে......... আরো দেখুন সিঙ্গাপুর ভ্রমণের প্রথম দিন সিঙ্গাপুর ভ্রমণের দ্বিতীয় দিন


এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।