আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সিঙ্গাপুর হতে পারে উদাহরণ

সিঙ্গাপুরে এলে যে বিষয়টি প্রথম চোখে পড়ে, তা হলো শহরটির পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। পথঘাট, অফিস-আদালত কিংবা আবাসিক এলাকা—সর্বত্র ঝকঝকে তকতকে। এর পেছনে একটা বড় কারণ, এখানকার অধিবাসীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে খুবই সচেতন। যত্রতত্র কেউ কখনো ময়লা ফেলে না এই দেশে। ভুলক্রমে কেউ এ রকম করলে, মুহূর্তেই কেউ একজন এসে সেটা কাছাকাছি ডাস্টবিনে ফেলে আসবে।

শুধু পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয়, যেকোনো স্থানে শৃঙ্খলা মেনে চলা কিংবা পাশের মানুষটির দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া এখানে স্থানীয় সংস্কৃতির একটা অপরিহার্য অংশ। দেশ থেকে বাবা এসেছেন আমার কাছে। তাঁকে নিয়ে বের হয়েছি সিঙ্গাপুর দর্শনে। ট্রেনে বয়স্ক মানুষ দেখে সঙ্গে সঙ্গে একাধিক তরুণ আসন ছেড়ে দিল তাঁকে। আমার বাবা তাদের ব্যবহারে পুরোপুরি মুগ্ধ! এখানে সভ্যতার চূড়ান্ত সব অগ্রগতি দেখে তিনি যতখানি না বিস্মিত হয়েছেন, তার চেয়েও বেশি মুগ্ধ তিনি এখানকার মানুষের ব্যবহার দেখে।

সিঙ্গাপুর মাল্টিকালচারাল দেশ। ছোট্ট এই দেশটির সরকারি ভাষা চারটি—ইংরেজি, তামিল, চায়নিজ আর মালয়েশিয়ান। তবে মোটামুটিভাবে পৃথিবীর সব দেশের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান দেখা যায় এখানে। কোথাও কোনো হইচই নেই। পাশের জনকে ডিঙিয়ে এগিয়ে যাওয়ার তাড়াহুড়ো নেই।

একসঙ্গে একজায়গায় কোনো কাজ থাকলে শৃঙ্খলাবদ্ধ হয়ে সারি বেঁধে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করে সবাই। বাসে-ট্রেনে শিশু-বৃদ্ধদের জন্য আলাদা আসন বরাদ্দ থাকে। বেশির ভাগ সময় দেখা যায়, এই আসনগুলো তো বটেই, অন্যান্য আসনের একটা অংশ ফাঁকা থাকে। এর মানে এখানে যাত্রী কম তা নয়। বেশির ভাগ যাত্রী মনে করেন, শিশু-বৃদ্ধ না হলেও অনেকের প্রয়োজন হতে পারে আসনের।

সামর্থ্য থাকলে গণপরিবহনে দাঁড়িয়ে যাওয়াই এখানকার সংস্কৃতি। Little Things Mean a Lot—এ ধরনের কথা শুধু পথঘাটে সাইনবোর্ডে লেখা থাকে না। সবাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে কথাটি এবং মেনে চলে এখানে। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।